Tuesday, August 15, 2017

আমার গ্রাম সভ্যতার বৃষ্টির জল চাই - বিতর্ক

কলকাতা ডুবছে বলে বেশি বৃষ্টি চাই না, এটা গ্রাম-বিরোধী দাবি। কলকাতাকে ধ্বন্সের মুখোমুখি এনে দাঁড় করীয়েছেন বাংলার ভদ্র সমাজ। তাদের তৈরি কৃতকর্ম থেকে তাদেরই বাঁচাতে এ কেমন দাবি? এই বৃষ্টির জল না হলে ভদ্র সমাজের মুখে যে অন্ন উঠবে না।
এ বিষয়ে আমাদের গাঁইয়াদের বক্তব্য-
কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গঙ্গা মজে গিয়ে(আজ যেটা টালির নালার অংশ) রাস্তার ধারে ধারে প্রচুর জলাশয় সৃষ্টি করেছে। অন্তত কয়েক দশক আগে এই জলাশয়গুলির সঙ্গে বেগোর খাল, মণিখাল, বাসন্তী খাল এরকম হাজারো খালের সংযোগ ছিল - যেখান দিয়ে কলকাতার বৃষ্টির জমা জল বেরোত।
আজ যেটা ক্রিক রো বৌবাজার, মলঙ্গা লেন, অক্রুর দত্ত লেন, তার পাশে আমতার বুজে যাওয়া দামোদরের জেলেরা বাস করতেন, তার আজও নাম জেলে পাড়া(অক্রুর দত্ত লেন - যেখানে হিন্দুস্থ্যান রেকর্ডসেরে দোকান ছিল, বালসারা বাবুর বাড়ি ছিল প্রখ্যাত ধনীদের বাস ছিল, মেদিনীপুর থেকে আসা বিদ্যাসাগর মশাই প্রথম থাকতেন বা রমানাথ কবিরাজ লেন যেখানে আজও কলকাতা কৈবর্ত সমিতির বিশাল বাড়িটা আছে কয়েক বছর আগে স্বাধীনতা সংগ্রামী শঙ্কর প্রসাদ দে, তাঁর সমাজ কৈবর্তদের ওপরে বই লিখে তাঁর কর্তব্য করে গিয়েছেন) পাড়া ১৮০০ সালে বুজিয়ে ফেলে রাস্তা করা হয়।
তো আজও কলকাতা থেকে গড়িয়া হয়ে কেউ যদি জয়নগর যান, জমি, জলাশয় চুরি করে বাড়ি তোলার সময়েও নেতাজী সুভাষ রোডের পাশে পাশে প্রচুর জলাশয় দেখতে পাবেন - এগুলো মূলত আদি গঙ্গার মরা খাত। জয়নগর মজিলপুরে আজও ঘোষ গঙ্গা, মিত্র গঙ্গা আছে - অর্থাৎ ঘোষেদের, মিত্তিরদের জায়গা দিয়ে যাওয়া মজা আদি গঙ্গার খাত - যার জন্য মজিলদহ নাম।
তো ঠিকই তো গোটা মণিখাল বা বেগোর খাল বা বাগজোলা খাল সব চুরি হয়ে গিয়েছে। মানুষ তার ওপরে বাস করছে। টালিনালার বা অদি গঙ্গার ওপরে হয়েছে আত্মঘাতী মেট্রো রেল। তার জলবহন ক্ষমতা শূন্যে এসে ঠেকেছে। একটু বেশি জল হলেই নাকতলা, রাণীকুঠি, গড়িয়া থই থই।
কলকাতা বা তার আশে এত মানুষ বাড়ি করেছেন গত কয়েক দশক যে প্রায় সব জলাশয় নেই হয়ে গিয়েছে। তাতে জলাশয়ের বা বিশ্বের কিছু এসে যায় না, কিন্তু গোটা মনুষ্য সমাজ যে ধ্বংসের দিকে তিলে তিলে প্রাণ দিয়ে এগিয়ে চলছে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
মন্তব্যগুলি
Anindya Ray কলকাতার ধান কাঠের খাটে শোওয়া মানুষ গুলো এই মর্ম বুঝবে না। কারণ ওদের ভাত না থাকলে বিরিয়াণী নাহলে চাউমিন খেয়ে নেবে।
তাই গ্রাম বাংলায় বৃস্টির গুরুত্বটা আপনি আমিই বুঝব।
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda সেটাও তো জুটবে না। সেগুলো তৈরি করতে গেলে মূলতঃ বর্ষায় চাষের প্রয়োজন আছে।
পরিচালনা করুন
Samik Saha কিছুদিন আগে কাগজে এক গান্ডু(বিশেষজ্ঞ) মহারাষ্ট্রের ক্ষরা পরিস্থিতির সমাধান বাৎলেছিল - ইস্রায়েলের মত আমাদেরও বর্ষার ওপর নির্ভর না করে, গাছের গোড়ায় ফোঁটা ফোঁটা জল দিয়ে স্বয়ংক্রিয় চাষের পদ্ধতি শেখা উচিত। খোঁজ করলে দেখা যাবে সে ব্যাটা নির্ঘাৎ কোন সরকারী কমিশনের সদস্য। সক্কাল বেলা মুখ খারাপ করলাম, তবে ওটুকু ভদ্রতা ছাড়াই আমাদের চলে যাবে।
পরিচালনা করুন
Bidhan Biswas খাল বোজানোর কথায় 
নদিয়ার অন্জনার কথা আছে ভূমধ্যসাগরে
পরিচালনা করুন
মানস দাশ আপনি অনেক পেছনে চলে গেছেন। এখনকার মানুষ কল্পনা করতে পারবেন না!
তার চাইতে ইদানিং কালের সবচাইতে ভালো উদাহরণ হল,


দক্ষিণে বাইপাস সংলগ্ন অঞ্চল এবং বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি, বেহালা, জোকা, 
আর উত্তরে, রাজারহাট, আর কাজী নজরুল ইসলাম সরণির দুই পাশ সংলগ্ন অসংখ্য জলা জমি।
সর্বশেষ উদাহরণ উল্টোডাঙ্গা থেকে লেকটাউন পর্য্যন্ত নয়ানজুলি।
এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেট থেকে দোলতলা পর্য্যন্ত যশোর রোডের দুই পাশের নয়ানজুলিও উধাও। সঙ্গে প্রচুর গাছ।
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda আত্মঘাতী ভদ্র মানুষ, আত্মঘাতী ভদ্র সভ্যতা... সক্কলকে নিয়ে মানব সভ্যতাকে ধ্বন্সের পথে নিয়ে যাচ্ছে
পরিচালনা করুন
মানস দাশ ভদ্র মানুষের বিজ্ঞান বলেছে,
একদিকে ধ্বংস না করলে,
অপর দিকে নির্মাণ হবে কিভাবে!
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda আগামী দিনের মানব সভ্যতার কবরখানা নির্মান হচ্ছে
পরিচালনা করুন
মানস দাশ এন্ড্রয়েড মানুষ তৈরির প্রথম ধাপ উত্তীর্ন হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য সাপ্লাই এর জন্যে, এই গবেষনা চলছিলো।
পরিচালনা করুন
Swarnendu Sil · 37 জন পারস্পরিক বন্ধু
ভদ্র—অভদ্র কোনরকম বিজ্ঞানই এরকম কথা বলছে না৷ আপনাদের অনেক কথাই আমার ভাল লাগে ও সহমত বলেই বলছি, বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনাচিন্তাগুলো আর একটু ভেবে দেখতে পারেন৷ এই সভ্যতা খুব বিজ্ঞানের প্রেসক্রিপশন মেনে তৈরী হচ্ছে এমন নয়৷ আমরা একই লড়াই লড়ছি, তাই অনর্থক পরস্পরকে শত্রু ভেবে কি লাভ?
পরিচালনা করুন
মানস দাশ এই মুহূর্তে বাঙ্গুর থেকে দমদম পার্ক পর্য্যন্ত বিশাল জলাশয়টি, সুচতুর ভাবে, অতি সন্তর্পনে, ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে।
পরিচালনা করুন
Subhas Das প্রকৃতির দিকে না তাকিয়ে প্রয়োজন মেটালে,সামগ্রিক চিন্তা ছেড়ে আশু বাধা মেটালে এমন হয়। জোরদার হয়। কারণ রাজনীতি পাশে এসে দঁাড়ায়। কিন্তু প্রকৃতির প্রতিশোধ ভয়ঙ্কর।
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda গোটা মানব সভ্যতার বিলয় - বিশ্ব বাঁচবে, প্রকৃতি বাঁচবে, কিন্তু মানুষ বাঁচবে না
পরিচালনা করুন
মানস দাশ আমি অবশ্য এই বিবর্তন মেনে নেবো।
খেলার মাঠে আগাছা সাফ করতে করতে একসময় খানিকটা মাটি তুলে ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে মাটি দিতে হয়।
মানব সভ্যতাও নোংরামির সীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে। তাই এই সভ্যতা সম্পূর্ন ভাবে ধ্বংস হয়ে, আবার নতুন ভাবে শুরু হওয়া দরকার।
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda আমাদের ফিরিতেই হবে। নয় তো উপায় নেই। যেমন করে রাসায়নিক কৃষি আবার ফিরছে দেশিয় কৃষিতে। লুঠেরা কর্পোরেটদের বন্ধু ভদ্রদের সামাজিক ভাবে ক্ষমতায় রেখে সেটা সম্ভব নয়।
পরিচালনা করুন
Abhijit Kumar Sen যত দূর মনে পড়ছে নদী বিশেষজ্ঞ কপিল বাবু মোহনার মুখ ছোট করার কথা বলেছিলেন তাতে করে ভাটার সময় ভাগীরথীর পলি ধুয়ে বেড়িয়ে যাবে, ফলে গঙ্গায় পলি জমার প্রবণতা কমবে। এছাড়া দামোদর উপত্যকার বাঁধগুলিও সংস্কার দরকার, কিন্তু বামফ্রন্টও শনেনি।।টি এম সিও শুনবেনা।। কাজেই বন্যাই আমাদের ভবিতব্য।
পরিচালনা করুন
Susovan Maity majority of cities built on more fertile land .. humans are probably born stupid ..  অনুবাদ দেখুন

No comments: