এই ঔপনিবেশিক চাকরি দেওয়া নির্ভর পড়াশোনাটাই উঠে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। পড়াশোনা করে যে সব মানুষ চাকরি জোটাত, এবং কর্পোরেট/রাষ্ট্র তাদের শ্রম চুষে গায়েগতরে বেড়ে উঠত, এআই পরিকাঠামোয় সেই শ্রম নির্ভর কাজটাই থাকবে না। চাকরি দেওয়ার যে মরীচিকা তৈরি করেছিল পুঁজি, সেটার কোনও অস্তিত্বই থাকছে না। সে সেই পড়াশোনা করে আর করবে কী?
আজ প্রতি বছর প্রাথমিকে ভর্তি হয় ২৫+ লক্ষ, উচ্চমাধ্যমিক দেয় ১৩+ লক্ষ, মাধ্যমিক দেয় ৮+ লক্ষ, স্নাতকে বসে ৮০ হাজার, অর্থাৎ প্রাথমিকে ভর্তি হওয়ার সংখ্যার ৩ শতাংশ স্নাতক পরীক্ষায় বসে। পাস করে কত জানি না। সে পরিসংখ্যান পাই নি।এই পাস করাদেরই রাষ্ট্র, কর্পোরেটে চাকরি দেওয়া। এদের নিয়েই যাদবপুর, জেএনইউ, আইআইটি, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইআইএম, টোয়েফেল, অক্সফোর্ড, আইএএস, আইপিএস ইত্যাদির কাঠামোর স্বপ্ন রচনা। এরাই কর্পোরেট/রাষ্ট্র কাঠামোর শিরদাঁড়া।
এরাই ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের মানুষ উচ্ছেদের, জমি দখলদারির সংবিধান তৈরি করেন। অর্থাৎ কর্পোরেট রাষ্ট্রযন্ত্র চালানো এবং লাভের সিন্দুক ভরার কাজ করায় এই স্নাতক দিয়ে। তার কারখানা চালাতে শ্রমিক লাগে, দপ্তর চালাতে মুন্সি লাগে, লাভের হিসেব করার জন্যে দালাল অর্থাৎ ম্যানেজার, শিক্ষক লাগে, শ্রমিক যাতে ত্যান্ডাইম্যান্ডাই না করতে পারে উচ্চশিক্ষিত কোতোয়াল বা সেনাপতি লাগে।
কিন্তু ভদ্রবিত্তকে চাকরি দেওয়া ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার এই ইকো সিস্টেমটাই বদলে যায়? ১৭৮০ থেকে ২০২০ অবদি প্রায় ২৫০ বছর ধরে পুঁজি যে ইকো সিস্টেমে কারখানা, রাষ্ট্র চালিয়েছে, প্রতিবাদীকে কখনো লেবেঞ্চুষ ধরিয়েছে, কখনো ডান্ডা মেরেছে, ফাঁসিতেও চড়িয়েছে, সেই ব্যবস্থার মৌলক কাঠামোর একটা শ্রমকেই প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে, কারখানার ফ্লোর আর দপ্তর থেকে, তাহলে প্রতি বছর যে ৮০ হাজার চাকরি পাওয়ার জন্যে পাস করতে চায়, তাদের কী হবে? খুব বেশি হলে দালাল-ম্যানেজার তৈরির কারখানা বা পড়াশোনার জায়গা থাকবে আর সব ভ্যানিস হয়ে যাবে।
প্রতিবছর যে ২৪ লক্ষ ২০ হাজার পড়াশোনা উদ্বৃত্ত হল? তাদেরই ক্ষুদ্র একাংশ এই করোনার পরে শহর থেকে গ্রামের দিকে হেঁটে আসা মানুষ। পাড়ার দোকানে বসার জন্যে, ছোট ব্যবসা চালাবার জন্যে এই পড়াশোনার দরকার নেই, মাঠে খাটার জন্যে অন্য জ্ঞানচর্চার দরকার, একজনও পাসকরা কৃষি প্রযুক্তিবিদ মাসে যে অর্থ সরকার বা কর্পোরেটের থেকে রোজগার করেন, তাকে যদি মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তার একাংশও তুলতে পারবেন না। তারা থোড়াই এদের ওপর নির্ভর করে।
শ্রম নির্ভর এই পড়ার কাঠামোর কী হবে? আপনার হাতে আর এক দশক পরে মেকলিয় পড়াশোনা থাকবে কীনা ভাবুন।
ভাবুন মধ্যবিত্ত।
এরাই ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের মানুষ উচ্ছেদের, জমি দখলদারির সংবিধান তৈরি করেন। অর্থাৎ কর্পোরেট রাষ্ট্রযন্ত্র চালানো এবং লাভের সিন্দুক ভরার কাজ করায় এই স্নাতক দিয়ে। তার কারখানা চালাতে শ্রমিক লাগে, দপ্তর চালাতে মুন্সি লাগে, লাভের হিসেব করার জন্যে দালাল অর্থাৎ ম্যানেজার, শিক্ষক লাগে, শ্রমিক যাতে ত্যান্ডাইম্যান্ডাই না করতে পারে উচ্চশিক্ষিত কোতোয়াল বা সেনাপতি লাগে।
কিন্তু ভদ্রবিত্তকে চাকরি দেওয়া ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার এই ইকো সিস্টেমটাই বদলে যায়? ১৭৮০ থেকে ২০২০ অবদি প্রায় ২৫০ বছর ধরে পুঁজি যে ইকো সিস্টেমে কারখানা, রাষ্ট্র চালিয়েছে, প্রতিবাদীকে কখনো লেবেঞ্চুষ ধরিয়েছে, কখনো ডান্ডা মেরেছে, ফাঁসিতেও চড়িয়েছে, সেই ব্যবস্থার মৌলক কাঠামোর একটা শ্রমকেই প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে, কারখানার ফ্লোর আর দপ্তর থেকে, তাহলে প্রতি বছর যে ৮০ হাজার চাকরি পাওয়ার জন্যে পাস করতে চায়, তাদের কী হবে? খুব বেশি হলে দালাল-ম্যানেজার তৈরির কারখানা বা পড়াশোনার জায়গা থাকবে আর সব ভ্যানিস হয়ে যাবে।
প্রতিবছর যে ২৪ লক্ষ ২০ হাজার পড়াশোনা উদ্বৃত্ত হল? তাদেরই ক্ষুদ্র একাংশ এই করোনার পরে শহর থেকে গ্রামের দিকে হেঁটে আসা মানুষ। পাড়ার দোকানে বসার জন্যে, ছোট ব্যবসা চালাবার জন্যে এই পড়াশোনার দরকার নেই, মাঠে খাটার জন্যে অন্য জ্ঞানচর্চার দরকার, একজনও পাসকরা কৃষি প্রযুক্তিবিদ মাসে যে অর্থ সরকার বা কর্পোরেটের থেকে রোজগার করেন, তাকে যদি মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তার একাংশও তুলতে পারবেন না। তারা থোড়াই এদের ওপর নির্ভর করে।
শ্রম নির্ভর এই পড়ার কাঠামোর কী হবে? আপনার হাতে আর এক দশক পরে মেকলিয় পড়াশোনা থাকবে কীনা ভাবুন।
ভাবুন মধ্যবিত্ত।
No comments:
Post a Comment