Wednesday, April 8, 2020

লকডাউনে ক্রাফটটাউনে পরিরা

ভবিষ্যদ্রষ্টা শিবরাম পরিষেবার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন পরিদের দেওয়া সেবা, যে সেবা কোনও দিন কোনও মানুষ পায় নি।
---
পরি গ্রামীণ নেটওয়ার্ক তৈরি করা এই মানুষটার ওপর সমস্ত শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এরা সক্কলে ওপরে ওপরে এবং বড় পুঁজির তৈরি করে দেওয়া মধ্যবিত্ত দৃষ্টিতে কারিগরদের দেখেন। এই ব্যবস্থার মূল অর্থনীতি বোঝেন না, এই সম্ভাবনা বোঝেন না, সমস্যাটাও বোঝেন না। সবাই কারিগরি বলতে এমএসএমই বোঝেন; সেটা আরও বড় সমস্যা।
মোদি বা লকডাউনের ওপর এই ব্যবস্থার অর্থনীতিটাই নির্ভর করে না। সে অতীতে ছিয়াত্তরের গণহত্যার সময় তিন বছর একটানা কাজ করতে পারে নি, তাতে কিন্তু তার ব্যবস্থাটা মুখথুবড়ে পড়ে নি।
আদতে যে ইকো সিস্টেমটা তৈরি হয়েছিল কয়েক হাজার বছর ধরে, সেটার মূলেই আঘাত এসেছে আজ থেকে শতখানেক বছর আগে। আগে কারিগরি ছিল আড়ং ভিত্তিক। আজ কর্পোরেটেদের একাংশ এই উৎপাদন ব্যবস্থায় নাক গলিয়েছে। তাই অতীতে যে ভাবে কারিগরেরা টিকে থাকতেন, নানান দুর্যোগের সময়েও পরস্পরের হাত ধরাধরি করে একে ওপরে ওপর নির্ভরশীল হয়ে, আজ জেদ ধরে যারা পড়ে আছেন, তারা আর পারছেন না, কারণ এই উৎপাদন ব্যবস্থাটা পুরোপুরি ধসে না পড়লেও শৃংখলটার কয়েকটা আংটা অকেজো হয়ে গিয়েছে।
---
পরীর কাজটা একাডেমিক ও ফিল্ড এক্সসাএসাইজ হিসেবে ভাল, পিঠচাপড়ানি পাওয়ার মত। গবেষকের আরও বৃহত্তরভাবে কাজের ফান্ডিংও আসতে পারে।
কয়েকজন হাতে গোণা মানুষ বাদ দিলে ভদ্রবিত্ত জগত থেকে আসা কেউই কারিগরি অর্থনীতি খুব একটা কেউ বোজেন না, তিনি খরা দাও ঈশ্বরের লেখক হলেও নয়।

https://ruralindiaonline.org/articles/locking-down-craft-handmade-hung-out-to-dry/?fbclid=IwAR31t-XFyMFtAi5NVba6I-BQiticFO9cp5CXya9bGWhLBhvy44PNXWTyNqs

No comments: