আমি বা আপনি কেউ বিশেষজ্ঞ নই - সেটা আমাদের জোর। কিন্তু আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ হল আমরা তাত্ত্বিক জ্ঞান নয় সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করি। আমরা নিজের এলাকা ছাড়াও সংগঠন করি বলে বৃহত্তর বাংলার মানুষের সঙ্গে কথা বলি আর ইতিহাস চর্চা করি।
১) এই মুহূর্তে কোনও সরকারের সঙ্গেই কথা বলে কোনও লাভ নেই। পুঁজি এখন নতুন একটা ফেজে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। মানুষ ছাড়া, খুব বড় কাঠামো ছাড়া কারখানা, দপ্তর চালাবার জন্যে পুঁজি তৈরি। সে শ্রমিক ভয় পায়, ঘেন্না করে। তাকে তাড়াবার জন্যেই শ্রম প্রতিস্থাপনকারী যন্ত্রের উদ্ভব গোটা ১৭০০জুড়ে, কাজে লাগল ১৭৮০তে। তার জন্য বাংলাকে লুঠ বাঙ্গালিকে প্রাণ আর আফ্রিকাকে শ্রম দিতে হয়েছে।
২) সেই শ্রম প্রতিস্থাপনকারী ভাবনা আজ নতুন উচ্চতায় পৌছেছে। যে কাপড়ের কল চালাতে ৫০ বছর আগে ৩০০ একর জায়গা লাগত, আজকে ১০ বাই ১০ ঘরে সেটিকে চালানো যায়।
৩) মিতসুবিশি, বোয়িং ইত্যাদির তৈরি আগামীর আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ন্যানো টেকনোলজি দিয়ে উৎপাদন এবং সেবা দানের কাজটা চালাবে। ফলে উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বহু বহু মানুষকে তার ছাঁটাই করতে হবে। বহু অর্থে কয়েক কোটি - যত লোক ছিয়াত্তর আর বিয়াল্লিশে মারা গিয়েছিল তার ২০/৩০ গুণ।
৪) তার সঙ্গে ছোট ছোট ব্যবসা, যাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সেগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। রাজনৈতিকভাবে তার ছাঁটাই করা সমস্যার। তার লভ্যাংশ মার খাচ্ছে। ভোট আছে - আমরা চিন নই। পথ করোনা।
৫) যেমন আমাদের প্রতিবাদী বন্ধু Debajyotiর মুড়ির কারখানা। এটা সাধারণ মানুষের পরম্পরার খাদ্য ব্যবস্থার অংশ। তার সঙ্গে আরও কয়েক হাজার ব্যবসা থাকলে সাধারণ মানুষের তার উৎপাদন কাজে লাগে সকালের বা অবসরের খাওয়ার জন্যে। যন্ত্রতে আর রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা দীর্ঘকাল ধরে প্যাকেটে রাখা খাবারের বাজার বাড়ানোর কাজ কিছুটা হলেও আটকাচ্ছে। সরকারের পক্ষে তাদের রাজনৈতিকভাবে উচ্ছেদ করা অসম্ভব। তাই সরকারের একটাই উদ্দেশ্য যতটা পারা যায় লকডডাউন কার্যকর করে তার মত ছোট ছোট কর্পোরেট বিরোধী ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা।
৬)ছাঁটাই ছাড়া লকডডাউনের অনেক লাভ কর্পোরেটদের ভর্তুকি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। একটাই কথা হবে মাল কী করে বেচব জানি না - সাহায্য দাও। যন্ত্র বসাব - টাকা দাও। বাজার বাড়াব টাকা দাও।
৭)ইতিমধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার কমিয়েছে - ব্যাঙ্ক মার্জার করেছে।জনপ্রতিনিধিদের ৩০% ভাতা কেটেছে, বিজেপির সদস্যদের থেকে মহিলাদের গয়না চেয়েছে। এই আবহাওয়ায় পাবলিকের মাইনে কাটার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে আইন করেও টাকা কাটা হতে পারে।
এটা কর্পোরেটের উইন উইন সিচুয়েশন।
বিপুল মন্দা থেকে কোনও রক্ত না ফেলে উত্তরণের যায়গা তৈরি হল।
--
৮) কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা দাঁড়াল কয়েক লক্ষ ছোটলোক শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া। এটা তারা আন্দাজই করতে পারে নি। এ আই লাগু করতে গেলেও সময় লাগবে, অন্তত এক দেড় দশক। কয়েক লক্ষ পরিবার শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া এবং তাদের সক্কলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা পুঁজির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এটাই তাদের এখন মাথা ব্যথা।
২) সেই শ্রম প্রতিস্থাপনকারী ভাবনা আজ নতুন উচ্চতায় পৌছেছে। যে কাপড়ের কল চালাতে ৫০ বছর আগে ৩০০ একর জায়গা লাগত, আজকে ১০ বাই ১০ ঘরে সেটিকে চালানো যায়।
৩) মিতসুবিশি, বোয়িং ইত্যাদির তৈরি আগামীর আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ন্যানো টেকনোলজি দিয়ে উৎপাদন এবং সেবা দানের কাজটা চালাবে। ফলে উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বহু বহু মানুষকে তার ছাঁটাই করতে হবে। বহু অর্থে কয়েক কোটি - যত লোক ছিয়াত্তর আর বিয়াল্লিশে মারা গিয়েছিল তার ২০/৩০ গুণ।
৪) তার সঙ্গে ছোট ছোট ব্যবসা, যাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সেগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। রাজনৈতিকভাবে তার ছাঁটাই করা সমস্যার। তার লভ্যাংশ মার খাচ্ছে। ভোট আছে - আমরা চিন নই। পথ করোনা।
৫) যেমন আমাদের প্রতিবাদী বন্ধু Debajyotiর মুড়ির কারখানা। এটা সাধারণ মানুষের পরম্পরার খাদ্য ব্যবস্থার অংশ। তার সঙ্গে আরও কয়েক হাজার ব্যবসা থাকলে সাধারণ মানুষের তার উৎপাদন কাজে লাগে সকালের বা অবসরের খাওয়ার জন্যে। যন্ত্রতে আর রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা দীর্ঘকাল ধরে প্যাকেটে রাখা খাবারের বাজার বাড়ানোর কাজ কিছুটা হলেও আটকাচ্ছে। সরকারের পক্ষে তাদের রাজনৈতিকভাবে উচ্ছেদ করা অসম্ভব। তাই সরকারের একটাই উদ্দেশ্য যতটা পারা যায় লকডডাউন কার্যকর করে তার মত ছোট ছোট কর্পোরেট বিরোধী ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা।
৬)ছাঁটাই ছাড়া লকডডাউনের অনেক লাভ কর্পোরেটদের ভর্তুকি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে গেল। একটাই কথা হবে মাল কী করে বেচব জানি না - সাহায্য দাও। যন্ত্র বসাব - টাকা দাও। বাজার বাড়াব টাকা দাও।
৭)ইতিমধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক সুদের হার কমিয়েছে - ব্যাঙ্ক মার্জার করেছে।জনপ্রতিনিধিদের ৩০% ভাতা কেটেছে, বিজেপির সদস্যদের থেকে মহিলাদের গয়না চেয়েছে। এই আবহাওয়ায় পাবলিকের মাইনে কাটার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে আইন করেও টাকা কাটা হতে পারে।
এটা কর্পোরেটের উইন উইন সিচুয়েশন।
বিপুল মন্দা থেকে কোনও রক্ত না ফেলে উত্তরণের যায়গা তৈরি হল।
--
৮) কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা দাঁড়াল কয়েক লক্ষ ছোটলোক শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া। এটা তারা আন্দাজই করতে পারে নি। এ আই লাগু করতে গেলেও সময় লাগবে, অন্তত এক দেড় দশক। কয়েক লক্ষ পরিবার শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া এবং তাদের সক্কলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা পুঁজির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এটাই তাদের এখন মাথা ব্যথা।
No comments:
Post a Comment