Wednesday, October 18, 2017

ইওরোপিয় কমিশনের ফান্ডিং নিয়ে কারা গ্রাম বিকাশের কাজ করেন

বাংলা নাটক ডট কমের ইওরোপিয় কমিশনের ফান্ডিং আছে এটা জানি এবং সেটা কয়েক কোটি টাকার। এছাড়াও বহু রাজ্য সরকারের প্রচুর দপ্তরের এওয়ারনেস প্রোগ্রামের কাজ করে থাকে, এবং সে বাবদে অপরিসীম অর্থ রোজগার করে। গত দুবছর মমতা সরকার লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পিদের দিয়ে সব ধরণের অনুষ্ঠান করাচ্ছেন, ফলে বাংলায় তাঁদের কপাল পুড়েছে এবাবদে।
 
ওনাদের সঙ্গে বড় আমলাদের সম্পর্ক অস্বাভাবিক ভাল, চুটকিতে তাঁরা তাঁদের বিদেশ ভ্রমণ করান। ফলে সরকারি বেসরকারি ফান্ডিং তাঁদের কাছে নস্যি। ব্যবসা এর উপজাত কর্ম - শুধু ব্যবসা করে এই ধরণের ব্যবস্থাপনা চালানো যায় না।
---
গত দেড় বছর আগে, বছর আপনাদের যদি মনে থাকে দেখবেন আমরা বিশ্ববাংলার মুখোশ প্রদর্শনীতে(যেটা শুরু হয়েছিল মোহরকুঞ্জে) বাংলার সব ধরণের মুখোশ দিয়েছিলাম। এই মেলাটার উদ্যোক্তা ছিলেন কিন্তু বাংলা নাটক - যায়গা নিয়েছিল বিশ্ববাংলা - মধুদা আর সন্তোষকে শেষ মুহূর্তে কাজ দেখাবার জন্য নিয়ে আসা হয়। দক্ষিণবঙ্গের মহুল করার মুখোশ থেকে শুরু করে রাবণ কাটা থেকে দার্জিলিঙ্গের ছম সব ছিল। বিশ্ববাংলার বাংলার মুখোশের বইটার প্রথম সংস্করণ যদি কেউ দেখেন তাহলে দেখবেন একটা নকল রাবণকাটা মুখোশএর ছবি দেওয়া আছে। সেটা মহিষবাথানের/কুশমণ্ডির(শিল্পীর নাম আর সংগঠনের নাম বলছি না, যাদের সঙ্গে ওঁরা এখন মেলা করছেন।) মুখা শিল্পিকে দিয়ে বানিয়েছেন। ওঁরা রাবণকাটা মুখোশ শিল্পীই পান নি। শেষে আমাদের হাত দিতে হয় এবং সেই মেলায় রাবণকাটার দুটো মুখোশ দিতে পারি। 
---
শুধু বাউল ফকিরদের কথা কি বলছেন, যে দশটা যায়গায় তাঁরা অনুষ্ঠান করছেন সেখানেই শিল্পীদের মধ্যে বিপুল গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
পাঁচমুড়াতে গিয়ে দেখবেন, যে কমুনিটি হল ব্যবস্থা তাঁরা বানিয়েছেন, সেটা ব্যবহারযোগ্য নয়, আর ভাড়াও প্রচুর, গ্রামে অতটাকা দিয়ে কে এই কাঠামো ভাড়া নেবে? প্রত্যেক জায়গায় একই ঘটনা ঘটছে। 
প্রজেক্টের উতপাতের ধন চিতপাতে।
---
শুনেছিলাম বিশ্ববাংলার সঙ্গে ওঁদের সম্পর্ক ভাল। দেখলাম বিশ্ববাংলা যে দুটো প্রদর্শনী করেছেন বাংলার পুতুল আর বাংলার মুখোশ সে দুটিতে আমরাই তাঁদের সাহায্য করি। পুতুল খুঁজে আনায় Somaর অবদান ভোলার নয়। এটা নিয়ে বিশদ লেখার ইচ্ছে আছে, আমি আর সোমা যেভাবে নিজেদের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে গাড়ি নিটে গোটা দক্ষিণ বঙ্গ থেকে পুতুল জোগাড় করেছি তা উপন্যাসকেও হার মানায়। বিশ্ববাংলা 
আমাদের সদস্যদের থেকে এবছরও পুতুল কিনছেন, তার ইতিহাস জানছেন জানাচ্ছেন শিল্পীকে সম্মান দিচ্ছেন এটাই অনেক।

শেষ পর্যন্ত ওদের মত বিশ্ববাংলা সমাজ সেবার ঘোমটা রাখছে না। তারা ব্যবসা করছেন, এবং এই ব্যবসায় কারিগরদের লাভ হচ্ছে। মধুদার মুখোশ কলকাতায় ক্রেতা দুজন বিশ্ববাংলা আর Soumenদা। তাদের ওয়েবসাইটে যান দেখবেন দ্বিতীয় মুখোশ মধুদার।

No comments: