Saturday, December 1, 2018

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা - মধ্যবিত্তের উপনিবেশী লব্জ চিনুন - গ্রাম কৃষ্টি মরলে শহুরে ভদ্রবিত্তের উল্লাস

গ্রাম কৃষ্টি লুপ্ত না বাল। 
এটা ভদ্রবিত্তের করে খাওয়ার তাল।
---
লোক সংস্কৃতি চর্চায় ভদ্রদের কাছে অবলুপ্ত/হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি অসম্ভব প্রিয় শব্দ, কারণ ইওরোপিয় নির্দেশে গ্রামের কৃষ্টি বিক্রি করে পেট চলে, একে মরা দ্যাখাতে পারলে তার ক্যালমা বাড়ে।। গ্রাম কৃষ্টি মরে গেলে তার আনন্দের সীমা থাকে না। গ্রাম কৃষ্টি বেঁচে থাকছে দেখালে তার কাজ কোথায়? মৃত দেহ উদ্ধার করার কাজ করছে দেখালে নামটাম হয়। প্রখ্যাত ভদ্রবিত্ত যে গ্রাম চেনে না, অথচ শহরে বড় আঁতেল, ইওরোপ মারিয়ে খায়, তারা পিঠচাপড়ানিটাপড়ানি দ্যায়। গবেষক কলার তুলে ঘুরে বেড়ায়, কি হনু হলুম দেখিয়ে।
----
সরকারের স্বীকৃতিতে বাঁচে বিপ্লবী থিয়েটার, কোন গাঁইয়া পালা সরকারী স্বীকৃতিতে বেঁচে থাকে না।ম, দরকারও হয় না, তার পাশে থাকে সমাজ।
---
আমি কারিগর, অভিকরশিল্পীদের যে সংগঠনে যুক্ত তাতে উত্তর দখিণ দিনাজপুর মিলে ১৪টা খন দল আছে। ২০১৩ সালে কালিয়াগঞ্জের কাছে ফতেপুরের মেলায় ৭ দিনে রাত ১টা পর্যন্ত ১০টা দল অনুষ্ঠান করেছিল, লোককে তাড়িয়ে তবে মেলা বন্ধ করি। তার আগে সরকারের কাছে গেলে তারা বলে ওদের কাছে কোন তালিকা নেই। অথচ শিশির মজুমদার ধনঞ্জয় রায় এ নিয়ে বিশদে কাজ করেছেন ৫০ বছর আগে থেকে।
মাস কয়েক আগে খনপালা কানাইশোরি পুলিশমার্ডার করে ১৭দিন জেল খাটা মাধাই মহান্ত মারা গেলেন।
গণেশ রবিদাসের দল বা কামেশ্বর দেশির দল বর্তমানে অসাধারণ পালা গাইছে।
---
ভদ্রবিত্ত, লাখ টাকা মাইনে পাওয়া আমলারা নিজেদের স্বার্থে বামফ্রন্টকে খেয়েছে, তারা তৃণমূলকেও খাবে।
---

No comments: