Monday, December 3, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৯৭

বাংলাজুড়ে ছড়ানো আড়ংগুলির তাঁতের সঙ্গে জুড়ে থাকা কারিগরেরা যে বিপুল বৈচিত্রের কাপড় তৈরি করত  তার পরিমান সত্যিই পাগল করে দেওয়ার। অষ্টাদশ শতকের প্রথম দশ বছরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির খাতায় পাওয়া যাচ্ছে অন্তত ১৫০ রকম মসলিন, সূক্ষ্ম এবং মোটা ক্যালিকো, রেশম এবং মেলানো মেশানো তন্তুর শীর্ষকের বস্ত্র। এই পণ্যের শ্রেণী বিভাগ করা খুবই কঠিন কাজ, আজকেও। সেই বৈচিত্রের ফুলপ্রুফ তালিকা করা আজও যতদূর সম্ভব করা যাবে না। জন টেলর লিখছেন শুধু ঢাকাতেই ১০০ বৈচিত্রের কাপড় তৈরি হত(Home Misc., vol. 456F, f.173)। ৬.২ তালিকা থেকে আমরা দেখছি খুবই দামি পণ্য মসলিন আর সিল্কপিস পণ্যের সাধারণ লব্জে বিস্তৃত তালিকা তৈরিই খুব জটিল কাজ। কিছু খুব পরিচিত নামের মসলিনের বৈচিত্র যেমন  জামদানি, নয়নসুখ বা বা রেশম বস্ত্র যেমন জামাওয়ার। এ ছাড়া খুব সাধারণ মসলিন বা রেশম পণ্যের খুব দাম ছিল না। ফলে ডাচ আর ব্রিটিশ কোম্পানি বিপুল পরিমানে এই দুটি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করত। যদিও সূক্ষ্ম এবং ভালতম বৈচিত্রের মসলিনের বিপুল দাম ছিল, এটাও মনে রাখা দরকার বুননের সূক্ষ্মতার ওপর মসলিনের বিপুল দাম হত। টেলর বলছেন, নবাব সিরাজের সময়(১৭৫৬-৫৭) যে জামদানির দাম ২৫০ টাকা ছিল সেটি ১৭৬০ সালে ঢাকার নাজিম মহম্মদ রেজা খাঁএর জন্যে বোনা হত ৪৫০টাকা দামে। এই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছের এই জন্যে নয় যে সেই বুননে খুব ভাল সুতো ব্যবসার করা হয়েছে বরং কাপড়ের ওপর ব্যয়বহুল শিল্প আঙ্গিকের কাজের জন্যে (expensive patterns) এই দাম ধার্য করা হয়েছিল(৩৪)। যে জামদানি ১৭৫২/৫৩ সালে রপ্তানি করছে ডাচ আর ব্রিটিশেরা, তার দাম মাত্র ৩১-৪৩ টাকার। ৬.৩এর তালিকায় কোম্পানি যে সব দামি কাপড় রপ্তানি করত তার কিছুটা ঝাঁকি প্রদর্শন করা গ্যাল

No comments: