Saturday, December 1, 2018

ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন – এইটিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল - সুশীল চৌধুরী৯০

বস্ত্রশিল্পের কাঠামো এবং সংগঠন
বাংলায় যে সূক্ষ্ম বস্ত্র উতপাদিত হত সেগুলি শয়ে শয়ে বছর ধরে সারা বিশ্বের বাজারগুলিতে সমাদৃত হয়ে এসেছে। এমন কি ১৭৬০ সালের শেষের দিকে ডাচ মুসাফির স্তাভার্নিয়ে মন্তব্য করেন, বাংলার মসলিন এতই সূক্ষ্ম,যে সেটির ২০ গজ পরিমান দৈর্ঘ ট্যাঁকে রাখা একটি তামাক(আদতে নস্যিই) কোটোয় পুরে রাখা যায়(J.S. Stavorinus, Voyages, vol. 1, p.413. The 'tobacco-box' actually meant snuff-box)। শুধু যে একবার ঘুরতে আসা কোন পশ্চিমি মুসাফির বাংলার বস্ত্র শিল্পের সূক্ষ্মতায় প্রায় মোহিত হলেন, ১৭৫০ সালে বাংলায় বাস করা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিযুক্ত চাকুরে-ঐতিহাসিক রবার্ট ওর্মের মনেও প্রায় ধাঁধা লেগে গিয়েছিল, how works of such extraordinary niceness can be produced by a people ... who must be deprived of such tools as seem absolutely necessary to finish such manufactures। তার বিস্ময়াবিষ্ট মন আরও অত্যাশ্চর্য হয় যখন তিনি দ্যাখেন যে ঢাকা, where all the cloths for the use of the king and his seraglio are made যেখানে such wonderful fineness as to exceed ten times the price of any linens permitted to be made for Europeans, or any one else in the kingdom। এই বস্ত্র তৈরি করে যে দক্ষতাপূর্ণ কিন্তু তথাকথিত গরীব, যন্ত্রপাতিহীন বাংলার তাঁতি, তাদের কাজের গুণমানের সঙ্গে ওর্মে ইওরোপিয় তাঁতিদের তুলনা করলেন। তিনি লিখছেন, As much as an Indian is born deficient in mechanical strength, so much his whole frame endowed with an exceeding degree of sensibility and pliantness. The hand of an Indian cook-wench shall be more delicate than that of an European beauty; the skin·and features of a porter shall be, softer than those of a petit maztr (Robert Orme, Historical Fragments, p.412)।

একইভাবে ১৭৮৯ সালে ডেনেরা বাংলার বস্ত্র শিল্প নিয়ে যে প্রতিবেদন রচনা করে, তাতে লেখা হয় কিভাবে, through unwearying industry and with the help of a few paltry tools বাংলার তাঁতিরা তৈরি করে the prettiest and finest cloths without use of machines(Ole Feldbaeck, 'Clot}:l Prodtfction in .13engal', Bl'P, vol. LXXXVI (July-Dec. 1967), p.126)। ১৮০০ সালের ঢাকা বস্ত্র শিল্প নিয়ে, ঢাকার কমার্সিয়াল রেসিডেন্ট, জন টেলর প্রখ্যাত সমীক্ষায় লিখলেন কিভাবে singular beauty of the Fabric  এবং the extraordinary skill requisite in manufacturing it(Home Misc., vol. 456F, f.147)। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার এই প্রায় রূপকথাসম গুণমাণের সূক্ষ্মবস্ত্র তৈরি করার দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে পরম্পরাগতভাবে বিকাশশীল সাধারণ এবং মাঝারি গুণমানের কাপড় তৈরি আর ব্যবসার বিশ্বজোড়া বিশাল বাজার তৈরি করতে পেরেছিল শুধু বাংলায় নয় ভারতের নানান প্রান্তে এবং এশিয়ার নানা দেশেও। সপ্তদশ শতকে এবং অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার বস্ত্রশিল্প করমণ্ডল, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণপুর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল – এই সব বাজারে তার মুল পণ্য ছিল মোটা এবং মাঝারি গোছের কাপড়; এছাড়াও আগরা, লাহোর, মুলতান, পারস্যের উপসাগর এবং লোহিত সাগরে সূক্ষ্ম কাপড়ের বিস্তৃত বাজার ছিল। ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি কাপড় ব্যবসায় কোন বাছবিচার করত না, তারা সূক্ষ্ম এবং মোটা সব ধরণের কাপড় নিয়ে ব্যবসা করত। 

No comments: