Friday, December 7, 2018

বাংলা অশিক্ষিত এবং হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আমাদের মত বাংলা-অশক্ষিতদের কতগুলো বাংলা দৃষ্টি দিয়েছিলেন। সময়ের পলিতে কিছু কিছু দৃষ্টিভঙ্গী হয়ত পাল্টেছে কিন্তু তিনি যে ঠ্যালা দিয়ে বাংলা অক্ষে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তার ভূমিকা আজ স্বীকার না করলে মহাপাতকী হতে হবে। এটা বলা যায় একলব্যি
১) ১০০০ বছর আগে বাগদী ইত্যাদিরা রাজা ছিল যেখান থেকে সাধারণ জীবনবৃত্তের খোঁজের যাত্রা, হকার-কারিগরদের আশ্রয় গ্রহন
২) পটুয়ারা বৌদ্ধদের সময়ের পেশা, তাদের তখন নাম ছিল মষ্করী
৩) হাতি পোষমানাবার শাস্ত্র এবং মুণি পালকাপ্য বাংলাতেই আবির্ভূত হন (আসামে আউনিয়াঁটি সত্রতে হস্তীবিদ্যার্ণব পুথি হাতির দাঁত থেকে তৈরি পূর্ণাবয়ব ৫x৭ পাটি দেখে এসেছি)
৪) ধর্মের প্রতীক কুর্ম, বৌদ্ধ চৈত্যের ইঙ্গিতিক রূপ - যা পরে ভুল প্রমানিত হয়েছে কিন্তু ধর্ম যে রাঢ বাংলার কৃষ্টিতে বিপুল বিশাল ভূমিকা পালন করেছে তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন
৫) কোন পরিবেশে বৌদ্ধ শ্রমণেরা ইস্লামে আশ্রয় নিলেন তার ভূমিকা - যা নিয়ে পরে বিনয় ঘোষ বিশদে কাজ করবেন কর্তাভজা বা সতীমা আলোচনায় বাংলার গণআচারে ইসলামের প্রভাব।
৬) গাজন বাংলার সার্বজনীন উৎসব
৭) বেনের মেয়ে পড়ে প্রথম বুঝলাম বাঙালি এক সময় বিপুল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও করত
8) দীপঙ্কর তিব্বতে চলে গেলে বাংলা আঁধার হয়ে যাবে - দীপঙ্করের গুরু নাঢ়পাদের জবানে মন্তব্যটি প্রকাশ করে বৌদ্ধ মঠে পঠন প্রক্রিয়ার অন্তর্নিহিত ভালনারেবিলিটি প্রকাশ করেছেন। সেই রাস্তা ধরে বুঝতে চেষ্টা করি আক্রমনকারীর লুঠ বা খুন অত্যাচার সইতে পারল না কেন বৌদ্ধ পঠন ব্যবস্থা। হরপ্রসাদের মত স্টেটিস্ট জ্ঞানী দীপঙ্করের সঙ্গে রত্নাকর শান্তি নাঢ় পাদ, বা নাঢ়ী ইত্যাদির জ্ঞানচর্চা আলোচনাটি করেছিলেন বলেই বুঝলাম কেন্দ্রিভূত যে কোন ব্যবস্থাই ভঙ্গুর, তাকে রাষ্ট্রীয় ঠ্যাকনা দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। রাজারা সরে গেলে ঠ্যাকনা সরে যায় আর ব্যবস্থার ভূমিশয্যানিশ্চিত করে।
আরও অনেক কিছু যা এক্ষুণি মনে পড়ছে না।

No comments: