শাঁখের করাত
খুব বেশী মানুষ জানেন না, যে শাঁখা বাঙালি বউদের, ঐতিহ্যের গর্ব, সেই শাঁখা খুব শক্ত ও কঠিন হওয়ায় এটা যে কেউ কাটতে পারে না৷ শাঁখা কাটার জন্য বিশেষ দক্ষতা ও যন্ত্র লাগে৷ প্রাচীন ভারতে যেহেতু প্রতিটি পেশাকেই আলাদা গোত্রে আলাদা করে দেয়া হয়েছিল, তাই শাঁখার যারা কারিগর, তাদেরও একটা নির্দিষ্ট গোত্র ছিল, যার নাম বাংলায় শাঁখারী৷ শাঁখা কাটা ও কারুকাজ করে বাজারজাত করাই তাদের কাজ, অন্য কেউ এটা করতে পারে না৷
শঙ্খশিল্পের কাজের মধ্যে কুরা ভাঙা, গেঁড়াপাড়া, ঝাঁপানি, শাঁখা কাটাই, গাঁড়াসাজি, ডিজাইন করা, মালামতি করা ও পুটিং দেয়া৷ শাঁখারিরা শঙ্খ কাটতেন শাঁখের করাত দিয়ে, এখন কাটা হয় বিদ্যুতের যন্ত্রে৷ বিদ্যুতকাটাই যন্ত্রর প্রভাবে বিগত কয়েক দশকে তাঁদের জীবিকা থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন হাজার হাজার শিল্পী, শিল্পীদের চোখে আজ কাজ না পাওয়া, ঠিকঠাক নজুরি না পাওয়ার হতাশা, অন্যান্য লোকশিল্পের মতই শাঁখা শিল্পে অস্তরাগের ছোঁয়া, যান্ত্রিক যুগে এসে এখন এ কাজে মেশিন ব্যবহৃত হলেও শিল্পটি অগ্রসর হতে পারছে না৷ কেননা শাঁখা বিদ্যুতচালিত যন্ত্রে কাটা হলেও আদতে কিন্তু সূক্ষ্মকাজ করতে হয় হতেই, শাঁখ আর শাঁখার দাম বেড়ে চলেলেও শিল্পীদের মজুরি বাড়ে না, দেড় দুহাজার পেতেই মুখের রক্ত উঠেযায়, একজন দক্ষ শিল্পী দিনে ১৫/২০ জোড়া শঙ্খ পণ্য তৈরি করতে পারেন৷ তাতে তার দিনে একশ পঞ্চাশ থেকে দুইশ টাকা আয় হয়৷ সলভিনস্ ১৭৯২তে কলকাতায় এসে বাংলার শিল্পী, পরিবহনসহ নানান প্রকৃতি, পেশার মানুষের ছবি এঁকেছিলেন৷ সেখানে সুগঠিত শাঁখারি আর শাঁখের করতের একটি ছবিও পাই৷
নক্সী কাঁথার মাঠএও আমরা পাই শাঁখের করাতের উল্লেখ -
আজকে রূপার সকলি আঁধার, বাড়া-ভাতে ওড়ে ছাই, কলঙ্ক কথা সবে জানিয়াছে, কেহ বুঝি বাকি নাই |
জেনেছে আকাশ, জেনেছে বাতাস, জেনেছে বনের তরু ; উদাস-দৃষ্টি য়ত দিকে চাহে সব যেন শূনো মরু |
চারিদিক হতে উঠিতেছে সুর, ধিক্কার! ধিক্কার!! শাঁখের করাত কাটিতেছে তারে লয়ে কলঙ্ক ধার |ব্যথায় ব্যথায় দিন কেটে গেল, আসিল ব্যথার সাঁজ, পূবে কলঙ্কী কালো রাত এল, চরণে ঝিঁঝির ঝাঁজ! অনেক সুখের দুখের সাক্ষী বাঁশের বাঁশীটি নিয়ে, বসিল রূপাই বাড়ির সামনে মধ্য মাঠেতে গিয়ে |
রূপসাধনে শঙ্খের ব্যবহার
গহনারূপে, বাদ্যযন্ত্ররূপে এর ব্যবহার যেমন অবশ্যম্ভাবী তেমনি প্রসাধনী ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে৷ প্রসাধনী রূপে শাঁখাগুঁড়ো, শঙ্খচুরের উল্লেখ পাওয়া যায় ভারতের নানান সাহিত্য আর পুরাণে, অতীতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অধিকাংশই শাঁখার গুঁড়াকে পাউডার বা প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার করত৷ আজও নানান জাতের প্রসাধনীর ভীড়ে ব্রণের দাগ তুলতে বা সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য হিন্দু সমাজে তো বটেই মুসলিমদের অনেকেও এগুঁড়ো ব্যবহার করে থাকেন৷ শঙ্খ কাটার সময় শঙ্খের গুঁড়া বের হয়, যা মুখের দাগ দূর করতে ব্যবহার করে মেয়েরা৷ আজ শহরের শাঁখারীবাজারগুলো থেকে শঙ্খগুঁড়া কিনে নিয়ে যায় প্রসাধন কোম্পানি, বিক্রি করে কোটি কোটি কাঞ্চনমূল্যে৷
আয়ুর্বেদে শঙ্খের ব্যবহারের নির্দেশ
শঙ্খধৃত জলেতে ঔষধিগুণের কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে-
1) রাতে শাঁখে জল ধরে রেখে পরেরদিন ত্বকে সেই জল ঘষলে ত্বকের নানান রোগে মুক্তিঘটে
2) ত্বকে সাদা দাগ তুলে বলা হচ্ছে, শাঁখে 12 ঘন্টা জল ঘরে রেখে সেই জল সাদা দাগগুলোতে বোলাতে হবে, কয়েকদিন বাদেই সাদা দাগের উপশম ঘটবে
3) রাতে শাঁখের জলে গোলাপ জল মিশিয়ে পরের দিন সেই জল মাথার চুলে লাগাতে হবে, চুলের ঘণত্ব আর কাজলত্ব বহুদিন বজায় থাকবে, সেই জল ভ্রু বা দাড়িতে ঘসলেও সেচুলগুলিও কালো হবে
4) শাঁখে রাখা 12 ঘন্টার জস পান করলে পাকস্থলী বিষয়ক সমস্যা বা অন্ত্রে ক্ষতও সারানো যায়
5) সেই 12 ঘন্টা রাখা একই জলে সাধারণ জল মিশিয়ে চোখ ধুলে চোখের নানান রোগ ভাল হয়, উজ্জ্বল হয়,
6) চোখের নিচে কালো দাগে এই জল বুলোলে কয়েকদিন পর সেই দাগ উঠে যায়
7) ব্রণর দাগের ওপরে এই জল বোলালে সেই কালো দাগ উঠে যায়
এছাড়াও শাঁখ বাজানোর শব্দের কম্পনে জীবানু নাশের কথাও উল্লেখ পাওযা যায় আয়ুর্বেদে, তাই নানান মঙ্গল কর্যে শঙ্খবাদনের নিদান দেওয়া হয়৷
বাংলার শাঁখারিরা
হাজার হাজার বছর ধরে যে শিল্পীরা, প্রযুক্তিবিদেরা শাঁখ, শাঁখা তৈরী করে আসছেন, তাদের কথা না বললে শাঁখার নিয়ে প্রবন্ধের ইতি টানা যাবে না৷
সাধারণ আমরা ভুলে যাই, আমাদের পথ দেখানো বিশেষজ্ঞরাও ভুলে যান, বাংলা তথা ভারতেরর আবহমানকাল ধরে লৌকিক শিল্পীরা বাজারে যাঁরা শুধুই পশরা সাজিয়ে বসেন, তাঁরা যে শুধু ব্যাপারিই নন, তাঁরা আমাদের প্রত্যহিক জীবনের থোড়-বড়ি-খাড়াভাবে বেঁচে থাকার প্রণোদনার উত্সস্বরূপ৷ এঁদের একটি বড় অংশ বহুদিন ধরেই অবহেলায় সমাজের প্রন্তে পড়ে থাকেন৷ অথচ তাদের এই অবহেলা বোধহয় প্রাপ্য ছিল না৷ এদের তুলনা শুধুই এঁরা৷ লৌকিক শিল্পীদের এক বড় অংশ শাঁখারিরা এক দেহে প্রযুক্তিবিদ, শিল্পী আবার যখন তাঁরা তাঁদের নিজস্ব শিল্পদ্রব্যের পশরা সাজিয়ে বসেন – তখন তাঁরা ব্যাপারী৷ সেই শিল্পদ্রব্যের ওপর নানান শৈল্পিক কাজ করার দায এঁরাই নিজেদের কাঁধে তুলে নেন, আর সেই বংশ পরম্পরায কাজের যেন ঘরানা তৈরি হয়ে যায় শহর থেকে শহরে মহল্লা থেকে মহল্লায়৷
এঁরা যুগযুগ ধরে শঙ্খসহ নানান শিল্পের প্রযুক্তি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করে বাঁচিয়ে রেখে দেশের লৌকিক প্রযুক্তির সেবা করে চলেন৷ হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের দেশের লৌকিক শিল্পীরা তাঁদের সাধের প্রযুক্তি বাঁচিয়ে রেখেছেন, শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, বাজারও তৈরি করে চলেছেন নিজেদের দক্ষতায়৷ এধরণের শিল্পী কারিগরের পাশে আজও কিন্তু সশক্তভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাংলার মহিলারাই, যাঁরা নীরবে বয়ে নিয়ে চলেন দেশের সংস্কৃতি৷
এক সময় দাক্ষিণাত্যের শিল্পীরা শঙ্খকে 'পারওয়া' নামে অভিহিত করতেন৷ ড. দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন- ভগ্নস্তূপ থেকে শঙ্খশিল্প আবিষ্কার হয়, বাংলার গীতিকায়ও শংখের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ ঐতিহাসিক জেমস হরনেল লিখেছেন যে, দক্ষিণ ভারতের মাননার উপসাগরের তীরে শঙ্খশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয়-তৃতীয় শতকে৷ তখন গ্রিক ও মিশরীয় বণিকদের মাধ্যমে তামিলের শঙ্খ রপ্তানি হত৷ তবে তামিলনাড়ু, দাক্ষিণাত্য, গুজরাট এবং বাংলায় শঙ্খশিল্পের চূড়ান্ত প্রসার ঘটে৷ বঙ্গের নারীরা দেবালয়ে সূক্ষ্ম কারুকার্য খচিত শঙ্খের অলঙ্কার ব্যবহার করতেন৷ বাংলার মেয়েদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শঙ্খের গহনা৷
শঙ্খ শিল্পায়ন নবশাখ শ্রেণীভুক্ত শঙ্খবণিক সমপ্রদায়ের বৃত্তি বা পেশা৷ শঙ্খ মানুষের পুরনো স্মৃতিবাহী একটি উপাদান৷ কারণ শাঁখা, সিঁদুর সনাতন হিন্দু ধর্মের সদস্যদের ব্যবহৃত চিহ্ন৷ হিন্দু সধবা নারীর জন্য হাতের শাঁখা অপরিহার্য৷ বিয়ের সময় হিন্দু মেয়েদের গায়ে হলুদ দিয়ে ধর্মীয় আচার পালনের মাধ্যমে নবপরিণীতাকে শাঁখা পরানো হয়৷ সুতরাং শাঁখা হিন্দু নারীদের বৈবাহিক অবস্থার ইঙ্গিতবাহী স্বামীর অস্তিত্ব প্রকাশ এবং দাম্পত্য সুখের পরিচায়ক৷ স্বামীর প্রয়াণে হাতের শাঁখা ভেঙে ফেলা হয়৷ শাঁখার ব্যবহার দেখা যায় মন্দির কিংবা গৃহে পূজার উপকরণ হিসেবে৷ সেগুলো হলো বাদ্যশঙ্খ এবং জলশঙ্খ৷ শাঁখারিরা পেশার সঙ্গে ধর্মের ঘনিষ্ঠতা অর্থনৈতিক লাভ-লোকসানের পাশাপাশি নিজেদের পেশাকে পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মনে করে৷ গবেষকদের ধারণা, প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে দক্ষিণ ভারতে শঙ্খশিল্পের উদ্ভব৷ কালক্রমে ঢাকা আর বিষ্ণুপুর শহর শঙ্খশিল্পের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে৷ শঙ্খশিল্পকে কেন্দ্র করে অতীতে দাক্ষিণাত্য, ঢাকা, বরিশাল, বগুড়া, নদীয়া, মাদ্রাজ, কলকাতা, বিষ্ণুপুর, রংপুর, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলে এক বিশেষ শিল্পসমাজ বিকশিত হয়৷ এ শিল্পের সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে জড়িত৷ শঙ্খশিল্পের বিকাশে অর্থনৈতিক ও পৌরাণিক ইতিহাস জড়িত৷ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রুচিবোধের মাধ্যমে শঙ্খশিল্পের ঐতিহাসিক পরিচয় ফুটে ওঠে৷
কলকাতার এক শাঁখারিপাড়ায় বাংলার হাজারো শাঁখার দোকানেরমত শাঁখার একটি দোকান সাজিয়ে বসেছেন নাগ পরিবার৷ কতশত বছর আগে তা আর তাদের মনে নেই৷ দোকানে নানা রকমের শাঁখা থরে থরে সাজানো৷ ভারি দৃষ্টিনন্দন, নজরকাড়া এবং একটির কারুকার্য আরেকটির থেকে পুরোপুরি আলাদা৷ কোনোটাতে যদি ময়ূরের ছাপ তোলা, তবে অন্যটাতে আছে হাতির মুখ৷ যথেষ্ট ধৈর্য ও শৈল্পিক মন না থাকলে সম্ভব নয় এমনভাবে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা৷ একটা শঙ্খ কেটে পাঁচ থেকে বড়জোর ছটা শাঁখা তৈরি হয়৷ তিন শ থেকে দেড় হাজার টাকায় একজোড়া শাঁখার বিক্রি৷ শাঁখার ওপর নানান পাথর বসানো হয়, বসানো হয় স্বর্ণ৷ শুধু শাঁখাই নয়, হিন্দুদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস ও বিয়ের টুকিটাকি সামগ্রী—মুকুট, সিঁদুর, পলা—এসবও পাওয়া যায় এখানে৷ প্রতিদিনের সান্ধ্য আরতির প্রধান বাদ্য শঙ্খও পাওয়া যায় এসব দোকানে৷ পরিবার প্রধান বললেন, শ্রীলঙ্কা বা মাদ্রাজ থেকে একটি শঙ্খের আমদানির দাম পড়ে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা৷ এ রকম একটি শঙ্খ কেটে চার-পাঁচটির বেশি শাঁখা তৈরি করা যায় না৷ এতে এক জোড়া শাঁখার উত্পাদনমূল্য কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পড়ে৷ দেখা গেছে, শঙ্খবণিকেরা এ রকম এক জোড়া দেশি কারুকাজের শাঁখার দাম রাখছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা৷ শঙ্খ ঘরসজ্জা ও অলংকার হিসেবেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়৷ পদ্মডুগী, সাত দানা (সাতগাছা চুড়ি), পাঁচ দানা ও তিন দানার চুড়ি এবং সাদা বালা ও আউলাবেশী বালা এখন সবচেয়ে বেশি চলে৷ তবে সামর্থ্যবানেরা শাঁখার ওপর এখন স্বর্ণের কারুকাজ করে হাতের বালা হিসেবেও পরেন৷ যদিও শঙ্খ কাটায় তেমন খরচ নেই৷ তবে এক জোড়া শাঁখায় নকশা করার মজুরি প্রায় ২০০ টাকা৷ বণিকেরা বলেন, এখানে শিল্পীর মজুরি কমানো সম্ভব নয়৷ তাই শাঁখারী, নকশাকার ও শঙ্খ কেনার খরচ মিলিয়ে এক জোড়া শাঁখার যে উত্পাদন খরচ পড়ে, তাতে লাভ রেখে বেশি দামে শাঁখা বিক্রি করে লাভ করা অসাধ্যপ্রায়৷
শাঁখারীপাড়ার আর এক দোকানি নাগপরিবারের পারিবারিক ব্যবসা প্রায় ৭৫ বছরের৷ তিনি বলেন, ‘যে শামুক থেকে শাঁখা বা শঙ্খ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করা হয়, তা আসে শ্রীলঙ্কা থেকে৷ এ ছাড়া কেবল মাদ্রাজে এই শাঁখ পাওয়া যায়৷ আমরা ছয় মাস পরপর শ্রীলঙ্কায় যাই, অনেক শঙ্খ নিয়ে আসি৷ তারপর আমরা নিজেরা শাঁখের করাত দিয়ে কাটি এবং তার ওপর শিল্পীদের দিয়ে ডিজাইন করাই৷’ তিনি জানান, ১৫-২০ রকম নকশার শাঁখা এখন বাজারে পাওয়া যায়৷ তার মধ্যে বেকি নামের নকশাটা বেশি চলছে৷ অতীতে শাঁখার গহনা গড়ার জন্য শাঁখের করাত- সংস্কৃতে যাকে কুশ বলে- ব্যবহৃত হত৷ এ এলাকায় এখনো প্রায় ৭০/৮০টি পরিবার এ শিল্পের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তাদের একমাত্র পেশাও বটে৷ কিন্তু সীমিত গন্ডির মধ্যে থেকে বিদেশ, দেশেক নানান প্রান্তথেকে কাঁচামাল আমদানি করে এ শিল্পের মাধ্যমে উপার্জন করাটা দায় হয়ে পড়েছে৷
শাঁখা যদি-বা সব সমুদ্রেই জন্ম নেয় কিন্তু তারা যে শাঁখা দিয়ে কাজ করেন তা কেবল ভারত মহাসাগরে জন্ম নেয়৷ আর এ শ্রেণীর শাঁখা তাদের শ্রীলংকা ও মাদ্রাজ থেকে চড়া দামে আমদানি করতে হয়৷ যার ফলে লাভের অংক খুব বেশি থাকে না কিন্তু তারপরও ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রাখা যায় না৷ এ কারণেই অনেক শাঁখারী বাপ-দাদার শিল্পকর্ম বা ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে উপার্জনের জন্য অন্য পথ ধরেছেন৷ কিন্তু তারপরও তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন৷
Lokfolk লোকফোক forum of folk লোক tribal আদিবাসী culture সংস্কৃতি of West Bengal পশ্চিমবঙ্গ, বাংলা. LOKFOLK is Bengal বাংলা India's ভারতের traditional পারম্পরিক knowledge system জ্ঞানভাণ্ডার, history ইতিহাস, Indigenous technology প্রযুক্তি. We have two mass bodies গনসংগঠন Bongiyo Paromporik Kaaru O ও Bastro Shilpi Sangho; Bongiyo Paromporik Aavikaar Shilpi Sangho. Journal পত্রিকা, PARAM, পরম. Picture - KaaliKaach কালিকাচ, Dinajpur দিনাজপুর, Madhumangal মধুমঙ্গল Malakar মালাকার
Tuesday, September 14, 2010
শাঁখ শাখার বারোমাস্যা - অন্তমণ্ডল
লেবেলসমূহ:
Bengal,
Conch Shell Carving,
ConchBangles,
ConchShell,
FolkCommunity,
FolkCraft,
শাঁখ,
শাখা,
শাঁখারি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment