Friday, October 18, 2013

ব্ল্যাকওয়াটার এখন মনসান্তোর২, Monsanto buys Blackwatar2

ব্ল্যাকওয়াটার এখন মনসান্তোরঃ তৈরি হল ব্ল্যাকওয়াটার-মনসান্তো-বিল গেটসের মারণ ত্রিভুজ

ইরাকসহ সারা বিশ্বে আমেরিকার সরকারের পক্ষে অত্যাচারের অন্য নাম ব্ল্যাকওয়াটার তার পরিচয় বদল করে হল অ্যাকাডেমি। মারণ কর্পোরেট কৃষি কোম্পানি মনসান্তো ব্ল্যাকওয়াটার কিনল। মনসান্তো প্রধান কেভিন উইলসন ব্ল্যাকওয়াটার কেনার তথ্য প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন তারা ২০০৮-২০০৯ পর্যন্ত ব্ল্যাকওয়াটার এবং টোটাল ইন্টেলিজেন্স সলিউসন্সের সেবা কিনেছিলেনমাত্র। তার যুক্তি আরও কুখ্যাত টোটাল ইন্টেলিজেন্সএর সঙ্গে অত্যাচারী ব্ল্যাকওয়াটারের সম্পর্ক নেই। কর্পোরেট সংযুক্তি এখানেই থেমে থাকে নি। বিশ্বের সম্পদ, মনন দখল করতে কোম্পানিগুলি আর তার প্রধানেরা নানান চালে পরস্পরের সঙ্গে হাত ধরাধরির খেলায় মেতেছে। এই দুই কোম্পানির সঙ্গে সম্প্রতি জুড়েছে মানুষের ভাল নিয়ে ব্যবসা করা আর এক মারণ ব্যক্তিত্ব বিল গেটসের বিল মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেসন। শুরু হয়েছে নতুন এক মারন যজ্ঞ যার ঋত্বিক বেসরকারি সেনা দল, কৃষি কর্পোরেট আর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত জনকল্যাণের নামে শহরের পর গ্রামজীবন নিয়ন্ত্রণ করার ঘোমটাধারী সংস্থাগুলির মিলিত শক্তি।
আবু ঘ্রাইবে অত্যাচার নয় ইরাক, আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে ব্ল্যাকওয়াটারের নামে। আমেরিকা সরকারের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার সব থেকে বড় যোগানদার ব্ল্যাকওয়াটারের বকলমে অ্যাকাডেমি। সিআইএ, এনএসএ, বা সেনার অত্যাচারে সিদ্ধ প্রাক্তন কর্মীরা ব্ল্যাকওয়াটারের নাম বদল সংগঠন অ্যাকাডেমিতে চাকরি করছেন।
ব্ল্যাকওয়াটার বিষয়ে প্রথম প্রামাণ্য বই লেখেন জেরিমি স্কাহিল (Jeremy Scahill)। তিনি বলছেন এই কর্মচারীদের নেতৃত্বে অ্যাকাডেমি, সরকার, বেসরকারী সংগঠন, কর্পোরেটদের হয়ে তথ্য যোগাড় করা, ভুল তথ্য সরবরাহ করা, গুপ্তহত্যা, নিরাপত্তার ফাঁক ফোকর বার করা, সেনা, আধা সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ারমত নানান ধরনের গোপনীয় কাজ করে। স্কাহিল, দ্য নেশনের এক প্রতিবেদনে বলছেন, এরিক প্রিন্সের দুটি কোম্পানি, ব্ল্যাকওয়াটার এবং টোটাল ইন্টেলিজেন্স সলিউসন্স, আমেরিকার ইতিহাসে কুখ্যাত অত্যাচারী সিআইএ আমলা কফার ব্ল্যাকএর নেতৃত্বে মনসান্তো, সেভ্রন, বার্কলে, ডয়েশ ব্যাঙ্কেরমত কর্পোরেটদের চাহিদামত সেবা বিক্রি করত। এই দুটি কোম্পানির অন্যতম কাজ ছিল, জিন বিরোধী আন্দোলনের কর্মিদের ওপর অত্যাচার, সংগঠনে ঢুকে আন্দোলনের তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি।

No comments: