Thursday, February 28, 2013

আজ বাঙলাদেশের ডাকে একাডেমি চত্ত্বরে, Bangladesh Calling

সহবাগ আন্দোলনের সমর্থনে আজ একাডেমি চত্ত্বরে, বিকেল পাঁচটায় আপনাকে চাই.
ছোট বিক্রেতা, ছোট পত্রিকা, ছোট উত্পাদক, ব্যক্তি নাগরিক সকলকেই বাঙলাদেশের সহবাগ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে একাডেমি চত্ত্বরে মিলিত হচ্ছেন. 
ফাঁসির দাবিতে আমরা সকলে একমত না হতেই পারি, তাতে মিলতে কোনও বাধা নেই.
আসুন এই মঞ্চে আমরা সকলেই একজোট হই.

Tuesday, February 26, 2013

ছো মুখোশগ্রাম - পুরুলিয়ার চড়িদা

দেখরে, নয়ন মেলে, চড়িদার বাহার 
প্রাত্যহিক খবরে প্রকাশ



উত্তাল শাহাবাগ - শান্ত


একাত্তুরের অস্ত্রগুলো কোথায় আছে ভাই 

চল গিয়ে সব লুটে নিয়ে রাজাকার দমাই। 
ফাঁসির দড়ি অনেক নতুন মানায় না'যে ভারি 
মরচেপড়া গানদিয়ে আজ ওদের আবার মারি। 
আবার কেন যুদ্ধ হবে, কেন হবে উত্তাল 
নিজহাতে আজ মিটিয়ে নেব ৭১-এর ঝাল। 
রক্ত-অশ্রু অনেক গেছে আর একটুও নয় 
বিকল্পপথ মিলিয়ে গেছে মৃত্যুই নিশ্চয়। 
কিসের আবার আন্দোলন'যে ছাড়পোকাদের জন্যে 
জাতি কেন বিভ্রান্তিতে মারতে ওদের হন্যে। 
জ্বলবে'না আর কোনো আগুন কন্ঠভারি কেন? 
একপলকও ওদের জন্য করবো না'তো ধ্যান। 
দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছি আর পারিনা ছুটতে 
সূর্যসেন ফের আসছে ছুটে অস্ত্রাগারটা লুটতে।

লাল মন্ত্র - শান্ত - LalMontra


[ শাহাবাগের ব্লোগার "রাজিব হায়দার শুভ" হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ] 


মৃত্যুরও রঙ আছে, আছে তার স্বাদ
জীবকূল আগে-পরে রবে না'তো বাদ।
ঐ'যে প্রীতিলতা রক্তিম মৃত‌্যু গায়ে
চেতনা বিলি করে অজানায় ধায়ে।
ক্ষুদে ক্ষুদিরাম লৌহমৃত্যু হাতে মাখে
তীব্র স্বাদের মৃত্যুসুধা বাধ্য হয়ে চাখে।

মৃত্যুরও রঙ আছে, আছে তার স্বাদ
জীবকূল আগে-পরে রবে না'তো বাদ।
ঐ'যে নাট্যমঞ্চে লিংকন পড়লো ঢলে
অস্তিত্বের রাস্তাদিয়ে এখনো সে চলে।
কত মৃত্যু ধূলোয় ঘোরে কঙ্গো-বলিভিয়া
মৃত্যুর মাঝেই প্রাণ পেল হায় চেগুয়েভারা।

মৃত্যুরও রঙ আছে, আছে তার স্বাদ
জীবকূল আগে-পরে রবে না'তো বাদ।
মরতে যখন হবে তখন ব্রুনোর মত মর
সত্যব্রত অটুট রেখে লাল পতাকা ধর।
দাগ কেটে যা এই ভূবনে মেহনতীর তরে
শান্তি তবে গাঁ মোছাবে যদিও যাস মরে।

Monday, February 25, 2013

মহেন্দ্র মেলা, Mahendra Mela

মহেন্দ্রর মেলা আমার বাঙলা আর গ্রামবাঙালীকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিল. 
আমরা যারা শহরে থাকি, বুকেরমধ্যে একটুকরো ইওরোপ, আমেরিকা পুষেরেখে ছোটবেলা থেকে ইংরেজি পদ্ধতিতে পড়াশোনা করার পর ভাবি, এ পোড়ার দেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম - বিলেত আমেরিকায় জন্মালে দেখিয়ে দিতাম - তারাই একমাত্র গুনীর কদর করে, অমর্ত্য সেন পালিয়ে বেঁচেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি, পুরুষেরা ইংরেজ মতে জামাকাপড় পরে মেয়েদের ভারতীয়ত্ব বহন করতে বাধ্যকরি, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কথ্য ভাষায় প্রচুর ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে প্রত্যেক পলে ইওরোপ আমেরিকাকে স্মরণ করি, ইওরোপিয় উদ্ধৃতি পরম শ্রদ্ধাভারে বহন করি নিজেদের লেখাপত্রে,  ঘন্টায় ২০ বার স্যরি আর ১০০ বার শিট ছুঁড়ে ইওরোপিয় পদ্ধতিতে কাঁধ ঝাঁকিয়ে বুদ্ধিজীবি হওয়ার ভান করি, ইওরোপিয় জ্যাঠামশাইদের নির্দেশিত যে কোনও কাজ পরম নিষ্ঠাভরে সম্পাদন করি, ইংরেজি বলা শহুরেরা নিজেদের প্রগতিশীল ভেবে গ্রামভারতীয়দের অজ্ঞ, নির্বোধ, সামন্ততন্ত্রে ডুবে থাকা, অশিক্ষিত, গাঁইয়া, পিছিয়ে পড়ার পিণ্ডি চটকানো ইওরোপিয় গুরুঠাকুরদের মতবাদ, বিনা প্রশ্নে কপচে ছাত্রছাত্রীদের গেলানোকে জীবনের পরম পাওয়া বলে মনে করি, তাদের কাছে মহেন্দ্রর মেলা পরম শিক্ষা.
আজ বাঙলা মানে উত্তরবঙ্গই. দক্ষিণবঙ্গ আদতে একটুকরো ইওরোপ, আমেরিকা হতে বড্ড ব্যস্ত. 

এই লেখাটি প্রাত্যহিক সংবাদে প্রকাশ পেয়েছিল. তাঁদের ধন্যবাদ. 



Sunday, February 24, 2013

How Noble British Are!!! ক্যামেরনরাজ দয়ালু, তাঁর দয়াতেই খাই শাঁকালু


১৭৬৭ থেকে ১৭৭০ পর্যন্ত প্রায় সেনা নামিয়ে নাটোর থেকে গড় বার্ষিক ২৭ লক্ষ আদায় হয়েছিল ৭০-৭২এ সাড়ে একুশ লক্ষের বেশি আদায় হল না নাজিম রেজা খাঁ আর মহারাজ সিতাব রায় রায়তদের ওপর চাপ কমাবার জন্য কোম্পানির কাছে আবেদন করলেন খাজনাতো কমলই না, বরং আগামী বছরের খাজনা বেড়ে গেল ১১৭২এ খুনি দেবী সিংহের ইজারা শুরু হয় কয়েক বছর আগে দেবী সিংহের দারোগারা রায়তদের খাজনা আদায়ের জন্য অসম্ভব অত্যাচার করত তার অত্যাচারে জমিদারদেরও রক্ষা ছিলনা অন্তত আটজন জমিদারের জমিদারি খাজনা অনাদাযের অজুহাতে জলের দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় টেপা, মন্থনা আর বামনডাঙার জমিদার মহিলা ছিলেন জমিদারেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে রাণী ভবানীর অশ্রয়ে আশ্রয় নেন
সারা ছিয়াত্তর সন ধরে এই দুর্ভিক্ষের প্রকোপ চলেছিল একবছর ধরে চললেও আদতে এর ভয়াবহতা আর ব্যাপকতা অন্যসব দুর্ভক্ষের ব্যপকতাকে ছাড়িয়ে যায় দুভিক্ষের সময় ব্যাপক মহামারী দেখা দেয় রাজধানী মুর্শিদাবাদে মারাত্মক গুটিবসন্ত অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ পুড়ে মারা যান দিনাজপুর, পুর্ণিয়ায় শষ্যগোলাও পুড়ে খাক হয়ে যায় আগুণ লাগলে আগুণ নেভাবার জল পাওয়া যেত না
কাজের অভাবে আর আয়ের অন্যপথ খোলা না থাকায়, সাধারণ মানুষের খাওয়ার চরিত্র বদলেগেল চালের বদলে ঘাস আর ফসলের বদলে শেকড় খেত জেমস স্টুয়ার্ট মিল আর ওয়ারেন হেস্টিংসেরমতে সে সময় বাঙলার এক তৃতীয়াংশ জনগণ, প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যান এই দুর্ভিক্ষে বাঙলার চিরাচরিত কৃষক সমাজের শিরদাঁড়া বরাবরের জন্য ভেঙে যায় উইলিয়ম হান্টার বলছেন বাঙলা বিহারের প্রতি ষোলজনের ছজন প্রাণ হারান কোম্পানির আর্থিক নীতি আমলাদের দুর্ণীতিপরায়ণতাই এই মন্বন্তরের জন্য দায়ি- মুর্শিদাবাদের ফ্রান্সিস সাইকস আর রিচার্ড বিচারের সঙ্গে ক্লাইভের প্রতিষ্ঠিত সোসাইটি ফর ট্রেড বাঙলার দুর্ভিক্ষের জন্য দায় এড়াতে পারে না রেজা খাঁ দুর্ভক্ষের বছরে মুর্শিদাবাদের শষ্যবোঝাই নৌকো আটক করে কম দামে সেই শষ্য কিনে অসম্ভব বেশি দামে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা লাভ করেন মুর্শিদাবাদ ছাড়া আন্তঃজেলা শস্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল
কোম্পানি সরকার দুর্ভিক্ষের শুরুতে চাল মজুদ করা শুরু করে দেয় চার্লস গ্রান্টের হিসেবে, সরকার সেনাবাহিনীর জন্য ৬০ হাজারমণ চাল মজুদ করে কলকাতায় খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রামীণ বাঙলা নিঃস্ব হয়ে পড়ে রাজমহল আর ভাগলপুর সব খাদ্যশস্য মুঙ্গেরের সেনা নিবাসের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল এছাড়াও দুর্ভক্ষের বছরে রাজস্ব আরও কড়াকড়ি করে আদায় হয় সুপারভাইজারেরা আর গোমস্তারা নিজ আর কোম্পানি লাভের জন্য বলপ্রয়োগ করতে শুরু করেন দুর্ভিক্ষের সময় বাঙলার জনগণ একতৃতীয়াংশ হয়ে পড়ায় সাধারণ রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বদলে বেশি আদায়ি হয় সরকার এই দুর্ভক্ষ রোধে বাঙলা বিহারের তিন কোটি মানুষের জন্য নব্বই হাজার টাকা ব্যয় করে রেজা খান মুর্শিদাবাদে এক তহবিল তৈরি করেন, কোম্পানি ৪০ হাজার, মুবারক উদদৌল্লা ২৬,৮৯৩ আর রেজা খাঁ দেন ১৯,৬০৭ টাকা এ তহবিল অপ্রতুল হওয়ায়, আরও ৬৫,১৯৩ টাকা দুর্ভক্ষের জন্য ব্যয় হয় রেজা খাঁ সাতটি লঙ্গর খোলেন রাজধানীতে রোজ সাত হাজার লোক লঙ্গরে প্রসাদ পেত তবুও দুর্ভিক্ষেতে অর্তের পরিত্রাতা হিসাবে যে দুজনকে গ্রামীণ বাঙলা আজও মনে রেখেছে তারা দুজন কেনো রাজপুরুষ নন, একজন মহিলা জমিদার রাণী ভবানী আর অন্যজন অকৃতদার দাতা হাজি মহসিন

...হঠাত বাংলাদেশ.. We are with you Hey Bleeding Bangladesh

সুধী বন্ধুরা

বাংলাদেশের  সঙ্গে ভারতের আর বাংলার সকলে রয়েছি.

আগামী ১ মার্চ, ২০১৩, বাঙলাদেশের ঘটনাবলীতে উদ্বিগ্ন হয়ে, ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্ট্সএর সামনে বিকেল পাঁচটায় একটি সংহতি দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে. এর পর সংহতি মঞ্চের একটি দল বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি স্মারকলিপি দেবেন.

সম্ভবতঃ এই সভায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন.

এই সভা বিষয়ে আলোচনা করতে বউবাজারে হকার সংগ্রাম কমিটির দপ্তর, শিবমন্দির বাস স্টপ, ১৬/১৭, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা - ১২য় বিকেল পাঁচটায় একটি প্রস্তুতি সভার র আয়োজন করা হয়েছে.

গুরুত্ব বুঝে সেই প্রস্তুতি সভায় সক্রিয়ভাবে আপনিও অংশগ্রহন করবেন এই আহ্বান জানাই.

নিবেদনে,

বাংলাদেশ সংহতি মঞ্চ
জয়া মিত্র(ভূমধ্যসাগর, লোকনদী),০৯৮৭৪৩৭৩৬৭৬
মধুমঙ্গল মালাকার, বিশ্বেন্দু নন্দ(বঙ্গীয় পারকম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ, সাউথ এশিয়ান গ্রাসরুট ডেভেলাপমেন্ট ফোরাম, কলাবতী মুদ্রা),০৯১৬৩৮২৫৯৯৪
চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য, সাংবাদিক,৯৪৩৩৩৪৫০৬৯

Thursday, February 21, 2013

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, OH! Lord Cameron


পলাশির পরই ইংরেজরা লুঠের রাজত্ব শুরু করল, আশংকা আবার কখন তক্ত হাতছাড়া হয়! কয়েকমাস পর ক্লাইভ বুঝলেন নতুন নবাব সত্যই ঠুঁটো বাঙলা বলি হল ইংরেজদের আকাশচুম্বী বিত্তবাসনায় ইংরেজদের দাবি মেটাতে না পারায় নতুন নবাব, ক্লাইভের গাধা মির জাফর পদচ্যুত হলেন এলেন মির কাশেম তিনি লড়াই করে দেশত্যাগী হন শাসক-বণিক ইংরেজের অত্যাচারে বাঙলায় ত্রাহি ত্রাহি রব ঢাকার মসলিন তাঁতিরা হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেল্লেন অথবা কেটেফেলা হল বলাভাল, ১১৭৫এ বাঙলার তাঁতিসহ আরও অন্যান্য শিল্পীদের আঙুল কাটার থেকেও খারাপ অবস্থা দাঁড়াল- বাঙলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে চরম গ্রীষ্ণে রাজ্যে কোথাও একফোঁটা জল পাওয়া যাচ্ছেনা চাষতো দূরস্থান, খাওয়ার জল পাওয়ারও সমস্যা হয়ে দাঁড়াল বাঙলার কৌম স্মৃতিতে চরমতম গরমেও পুকুরে জল শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা তখন লুপ্ত ৭৬এর যে অস্বাভাবিক খরায় আমন আর চৈতি খেতেই জ্বলে গিয়েছিল, পরের বছর ৭৭এ বৈশাখ-জৈষ্ঠে অনাবৃষ্টিতে বাঙলা বিহারের গরমে গ্রামে গ্রামে আগুণ ধরে যেতে শুরু করল রাজধানীতেও আগুণ রেজা খাঁ বললেন এতদিন হাজারে হাজারে লোক মরত, এখন লাখে লাখে মরছে এখন বাঙলা বাঁচাতে পারেন একমাত্র খোদা হাফিজ
চৈত্র পেরিয়ে বর্ষা নামল ভাল বৃষ্টি হল লোকের মনে আশা জাগল কিন্তু আশাকে নিরাশা করে চালের দাম চড়চড় করে আকাশ ছুঁতে শুরু করল ১১৭৫এ চালের দাম বেড়ে হয় টাকায় বারো সের ৭৭এর শ্রাবনে বেড়ে দাঁড়াল টাকায় চার সের চাল আর খোলা বাজারে পাওয়া যায় না শিশু মৃত বাপমাকে খেত, মরা শিশু খেত মায়ে কলকাতা আর রাজধানী মুর্শিদাবাদেও লোক ধরানো যায় না ভাদ্রে বৃষ্টি থামার পর আউস ভালই উঠল কলকাতা লন্ডনকে জানাল দুর্ভিক্ষ শেষ বাজারে চালের দাম হল টাকায় আঠাশ সের মোটা চালের দাম দাঁড়াল টাকায় ৪৫-৪২ সের বন্যায় নাটোর ভেসে গেলেও ১৭৭১এ এত ধান হল যে রায়তেরা ধান নিয়ে আর বাড়ি যেতে পারে না ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই রইল ফসল বেচে আর খাজনার টাকা আদায় হয়না রায়ত, ইজারাদার আর তালুকদারেরা পলাতক হল
বহু রায়তের মৃত্যু সত্বেও ভাল ফলন হওয়ায় রাজস্বের বিন্দুমাত্রও ক্ষতি হয় নি Jean Beauchampএর British Imperialism in Indiaয় ইংলন্ডে কোম্পানির বড় কর্তাদের প্রতি লেখা এক চিঠিতে ওয়ারেন হেস্টিংস গর্বভরে জানাচ্ছেন: "Not withstanding the loss of at least one-third of the inhabitants of the province, and consequent decrease in cultivation, net collections of the year 1771 exceeded those of 1768... It was naturally to be expected that the diminution of the revenue should have kept an equal place with the other consequences of so great a calamity. That it did not was owing to its being violently kept up to its former standard."
মৃত বা পলাতকদের বাকি খাজনা জীবিতদের কাছ থেকে উশুল হল রাজ্যে প্রজা সংখ্যা কম হল শিশুমৃত্যু হওয়ায় নতুন পুরুষ বা চাষের কাজে নারীদের পাওয়া যায় না ঐতিহাসিক পল গ্লুমাজ কোম্পানি খাজনা আদায়ের নীতি বিষয়ে বলছেন, What the Company had done to increase the tax revenue was to set up a system of "outsourcing" the right to tax the land This is what is known as "tax farming." The tax collector had the right to obtain as much tax as he could get, since he had bought these rights at auction. In turn, the one who was taxed, the registered landholder, called zamindari, was allowed to extract whatever he could for himself and for the tax collector from the poor peasant who worked the land. The zamindari, who was subject only to the payment of the company's taxes, essentially had complete power over all the land and all its cultivators. Through this looting system, the Company left nothing in reserve for the times when the monsoons would fail. In addition, little or no maintenance was allowed for the cultivators' infrastructure, such as the irrigation works.

Cameronnian Apology & ছিয়াত্তরের গণহত্যা


ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
Still fresh in memory’s eye the scene I view,
The shirvelled limbs, sunk eyes, andlifted hue;
Still hear the mother’s shrieks and infant mons
Cries of despair andagonizing mones,
In wild confusion dead and dying lie;-
Hark to the jackal’s yell and vulture’s cry,
The dogs fell howl, amidst the glair of day
They riot unmolested on their pray!
Dire scenes of horrir, which no pain can trace,
Nor rolling years for memory’s page efface (জন  শোরএর রচনা)
১৭৬৮ সনের বঙ্গদেশে অত্যল্প শস্য উত্পন্ন হইয়াছিল প্রজাগণ যে করদিতে পারে এরূপ সাধ্য ছিল না কিন্তু এ বত্সর প্রজাগণের নিকট হইতে কড়াক্রান্তি হিসাব করিয়া কর আদায় করা হইল কৃষকগণ আপন আপন গৃহের বীজ ধান্য পর্যন্ত বিক্রয় করিয়া কর দিতে হইল প্রজার গৃহে আর অধিক বীজ ধান্য রহিল না এদিকে ইংরাজ বণিকগণ অনেক ধান্য ক্রয় করিয়া অধিকতর মূল্যে বিক্রয়ার্থ মান্দ্রাজ প্রভৃতি প্রদেশে প্রেরণ করিতে লাগিলেন
ইহার পর ১৭৬৯ সালে আবার অনাবৃষ্টি হইল একদিকে কৃষকের গৃহে বীজ ধান্যের অভাব বহিয়াছে, তাহার উপর আবার অনাবৃষ্টি সুতরাং ১৭৬৮ সাল অপেক্যাও এ বত্সর ইত্যল্প শস্য হইল প্রায় সমুদার ধান্য ক্ষেত্রই এক প্রকার শূণ্য হইয়া পড়িয়া রহিল কলিকাতার গবর্ণর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় পূর্বেই সৈন্যদিগের নিমিত্ত যথেষ্ট চাউল ক্রয় করিয়া রাখিলেন সৈল্য দিগের প্রাণরক্যা হইলেই তাহাদের ন্যায় সঙ্গত বাণিজ্য চলিবে দেশের লোকের নিমিত্ত কে চিন্তা করে
যে অল্প পরিমান শস্য হইয়াছিল, তাহা বিক্রয় করিয়া প্রজাগণ স্বীয় স্বীয় দেয় কর আদার করিল কার্টিয়ার সাহেব এই সময় কলিকাতা গবর্ণর ছিলেন তিনি কোর্ট অব ডিরেক্টরের নিকট লিখিলেন কোন ভাবনা নাই অনাবৃষ্টি নিবন্ধন দেশে অধিক শস্য না হইলেও কর আদায় সম্বন্ধে কোন বিঘ্ন উপস্থিত হইবে না
কিন্তু বত্সর শেষ হইতে না হইতে ভায়ানক দুর্ভিক্ষ সমুপস্থিত হইল দেশ শুদ্ধ লোকের হাহাকারে বঙ্গদেশ পূর্ণ হইল সহস্র সহস্র নর নারী সহস্র সহস্র বালক বালিকা দিন দিন অকালে মৃত্যুগ্রাসে নিপতিত হইতে লাগিল বঙ্গদেশ একেবারে শ্মশান হইয়া পড়িল
Dire scenes of horrir, which no pain can trace,
Nor rolling years for memory’s page efface
বঙ্গদেশ অরাজক! বঙ্গে আর এখন কোন প্রজাবত্সল রাজা নাই এ দুর্ভিক্ষ প্রপীড়িত লোকদিগকে যে কেহ এক মুষ্টি অন্ন দিয়া ইহাদের প্রাণ বাঁচাইবে এমন কোন লোক নাই
মহম্মদ রেজা খাঁর হাতে রাজ্য শাসনের ভার রহিয়াছে, সে রাজপ্রাসাদে দুগ্ধফেননিভ শয্যায় শয়ণ করিয়া রহিয়াছে একবারও প্রজার দুরবস্থার বিষয় চিন্তা করে না এ নরপিশাচের হৃদয়ে দয়াধর্মের লেশমাত্রও নাই এ নির্দয়ের নাম স্মরণ করিলেও মন অপবিত্র হয়
দেশে অনেক ধনী লোক রহিয়াছে কিন্তু এবার আর সে ধনী লোকদিগের কিছু করিবার সাধ্য নাই কি কৃষক, কি ধনী, কাহারও ঘরে অন্ন নাই ধনীর গৃহে যথেষ্ট রৌপ্যমুদ্রা আছে, যথেষ্ট স্বর্ণ মহর রহিয়াছে, কিন্তু দেশে চাউল ক্রয় করিতে পারা যায় না সুতরাং ধনী, দুঃখী, কৃষক, ভূম্যাধিকারী, সকলেরই সমান অবস্থা  সকলেই বলিতেছে  মা অন্নপূর্ণা অনাহারে প্রাণ বিসর্জন হইল মা অন্ন প্রদান কর অন্ন-অন্ন-অন্ন- সকলের মুখে কেবল এই চিতকার শুনা যায় কোথায় গেলে অন্ন মিলিবে এই চিন্তা সকলের মনে উদয় হইল
দেশের অনেক ধান্য ইংরাজ ক্রয় করিয়া কলিকাতা রাখিয়াছেন পূর্ণিয়া, দিনাজপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশ হইতে লোক কলিকাতাভিমুখে যাত্রা করিল গৃহস্থের গৃহে কুলকামিনীগণ সন্তান বক্ষে করিয়া কলিকাতাভিমুখে চলিল আহা! চন্দ্র সূর্যের মুখ যাহারা কখনো অবলোকন করে নাই, যাহারা কখনও গৃহের বাহিরে বাহির হয় নাই, আজ সেই কূলবধু সন্তান ক্রোড়ে করিয়া ভিখারিনীর বেশে কলিকাতা চলিল স্বীয় স্বীয় অঞ্চলে স্বর্ণমুদ্রা এবং বিবিধ আভরণ বান্ধিয়া একমুষ্ঠি অন্ন ক্রয় করিবার প্রত্যাশায় দেশ ছাড়িয়া চলিল
কিন্তু ইহাদের মধ্যে অনেকেই কলিকাতা পর্যন্ত পৌঁছতেই সমর্থ হইল না শতশত কূলকামিনী, শতশত সুস্থকায় পুরুষ পথেই অনাহারে জীবন হারাইল সন্তানবত্সলা জননী সন্তান বক্ষে করিয়া কলিকাতা যাত্রা করিয়া ছিলেন, কিন্তু সন্তান অনাহারে মরিয়াগেল তাঁহার ক্রোড় শূণ্য হইল জননী সন্তান শোকে এবং ক্ষুতপিপাসায় উন্মত্ততার ন্যায় হইয়া অনতিবিলম্বেই মানবলীলা সম্বরণ করিলেন
ভ্রান্ত নর-নারীগণ! তোমরা বৃথা আশায় প্রতারিত হইয়া কলিকাতা চলিয়াছ যে চাউল কলিলাতায় সংগৃহীত হইয়াছে, তাহা তোমরা পাইবে না তোমরা মরিলেই কি আর বাঁচিলেই কি তোমাদের নিমিত্ত কে চিন্তা করে আর কি ভারতে প্রজা বত্সল রামচন্দ্র আছেন উদারচেতা আকবর আছেন অর্থগৃধ্নু রাজা কি কখন প্রজার মঙ্গল কামনা করে তাহার সৈন্যের প্রাণ রক্ষা হইলেই হয় সুতরাং সৈন্যদিগের নিমিত্ত তন্ডুল সংগৃহীত হইয়াছে তাগহাদের প্রাণ অতি মূল্যবান তাহারা মরিয়াগেলে কে মানবমন্ডলীর স্বাধীণতার মূলে কুঠারাঘাত করিবে কে মহম্মদ রেজা খাঁর সদৃশ নরপিশাচের একাধিপত্য সংরক্ষণ করিবে
কৃষক! তিমি কোন আশায় কলিকাতা চলিয়াছ তুমি দেশের অন্নদাতা হইলেও তোমাকে কেহই একমুষ্টি অন্ন দিবে না ঐ দেখ, ধনীর গৃহে কুলকামিনীগণ স্বার্ণমুদ্রা অঞ্চলে বান্ধিয়া তন্ডুল ক্রয় করিবার নিমিত্ত কলিকাতা যাইতেছে ইহার একমুষ্ঠি অন্ন মিলিলেও মিলিতে পারে ইহার সঙ্গে টাকা রহিয়াছে কিন্তু বিনামূল্যে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীগণ কাহাকেও একমুষ্ঠি অন্ন দিবে না কৃষকগণ! তোমরা গৃহে ফিরিয়া যাও তোমাদের পরমায়ু এবার নিশ্চয় শেষ হইয়াছে তোমার এ সংসার পরিত্যাগ করাই ভাল পরমেশ্বর তাহার অমৃত ক্রোড়ে তেমাকে স্থান প্রদান করিবেন এ নরপিশাচ পরিপূর্ণ শ্মশান সদৃশ বঙ্গদেশে থাকিয়া তুমি কখন সুখ শান্তি লাভ করিতে পারিবেনা(নন্দকুমার ও শতবত্সর পূর্বের বঙ্গ সমাজ চন্ডীচরণ সেন)

দয়াময় ক্যামেরন, ব্রিটিশ ক্ষমা আর ব্রিটিশ গণহত্যার ইতিহাস, Cameronian Apology, British Genocide in India


মন্বন্তর আর তার সামাজিক প্রতিক্রিয়া
মন্বন্তরের পর সবার আগে যারা ব্রিটিশ সরকারের কাছে রিলিফ চাইতে এলেন, সরকার তাঁদের বলল খাওয়ার দেব, কিন্তু তোমাদের বাপু রেলপথের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হবে অর্থাত পেটচুক্তি কাজ সদাশয় ব্রিটিশ সরকারের হিসেবে মন্বন্তরের রিলিফও দেওয়া হল, আবার একই সঙ্গে তাদের বিনা ব্যয়ে রেল লাইন পাতাসহ নানান কাজে এক্কেবারে বিনা শ্রমের মূল্যে কাজ করিয়ে নেওয়া হল গণতান্ত্রিক ইংরেজ মন্বন্তরের রিলিফের সঙ্গে জুড়ে দিলেন রেলরাস্তা তৈরি করার কাজ সরাসরি উদ্দেশ্য ব্রিটেনে খাদ্যদ্রব্য আর শিল্পের জন্য নানান কাঁচামাল আর পণ্য দ্রব্য তৈরি করে নিয়ে যাওয়া পরোক্ষ উদ্দেশ্য ভারতের রায়তদের কাছ থেকে আরও অর্থ উসুল
৫ শতাংশ নিরাপদ, সুনিশ্চিত বিনিয়োগের শর্তে যে বিনিয়োগ এল তার বড় অংশ চলে গেল সরাসরি ব্রিটেনে শিল্পদ্রব্য তৈরি হতে, আর কিছু খুদকুঁড়ো মিলল সাম্রাজ্যের ভারতীয় বন্ধুদের সব থেকে বড় কথা, মন্বন্তরের শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে ফেলা মানুষের দরকার খাদ্য আর সেই খাদ্য তারা পেলেন হয়ত, কিন্তু মহার্ঘ শ্রমের বিনিময়ে, প্রাণের বিনিময়ে অনেকেই ব্রিটিশ-আমেরিকিয় ইহুদি লেখকদের, প্রচারমাধ্যমের প্রচারে জার্মানির নাজি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কথা জানেন, সে কথা বলতে চোখের জল বেরিয়ে আসে ভারতেই ব্রিটিশেরা মন্বন্তর উত্তর সময়ে রিলিফ দেওয়া শর্তে রিফিউজিদের নিয়ে রেল পথ পাতার নাম করে যে শুধু খেতে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দেশ জোড়া যে ক্যাম্প চালিয়েছেন তার ব্যাপ্তি কোনওভাবেই নাজি ক্যাম্পের তুলনায় ঊন-ন্যুন নয় অথচ সে কথা ভারতে আদৌ আলোচনা হয়!
শুধু খাওয়ার পাওয়ার লোভ দেখানোর বিনিময়ে রেলরাস্তা তৈরি করতে গিয়ে কত মানুষ না খেতে পেয়ে খুন হয়েছেন তার কোনও  লেখাজেখা নেই মন্বন্তরের পর শুধু খাওয়ার লোভ দেখিয়ে আরও কয়েক কোটি মানুষ মেরেছে ব্রিটিশরা মন্বন্তর পেরিয়ে আসা প্রায় ভেঙেপড়া শরীর, তার ওপর রেলপথ পাতা সংক্রান্ত নানান ধরণের কাজ ভেঙেপড়া শরীরে অমানুষিক খাটুনি খাটতে গিয়ে এই মানুষেরা যে মারা যাবেন সে তথ্য কিন্তু ব্রিটিশ প্রশাসন জানত জেনেও গাধার খাটনি খাটানোর পর যা হওয়ার তা হয়েছে শুধু খাওয়ার লোভে শ্রম দিতে গিয়ে বহু মানুষকে মেরে ফেলেছে ব্রিটিশ প্রশাসন, শুধু এ দেশ থেকে ব্রিটেনে ৪০ বছরের খাদ্য সম্ভার তৈরি করতে আর রেলপথের বিনিয়োগের অর্থ উদ্ধার করতে একে খুন যদে না বলা যায় তাহলে খুনের সংজ্ঞা নতুন করে লিখতে বসতে হয় মানুষ খুন করা সরকারি রিলিফের এই সোনার পাথর বাটিটিকে ব্রিটিশরা নাম ছিলেন রিলিফ সিস্টেম ভাবা যায়
ঐতিহাসিক পল গ্লুমাজ B.M. Bhatia 1967র লেখা Famines in Indiaর সূত্রধরে বলছেন, The British solution to this problem was "famine relief." To build the railroads, the British set up "famine relief works." A famine would create the condition, such that, faced with certain death from lack of food, an Indian would be forced to "choose" to go to a famine relief center, much like a starving famine victim in Africa would do today. However, once having done this, the individual lost his caste relations and privileges. Then he was told that if he wanted to continue to eat, he must work, building the railroad in exchange for food. At these projects, less than minimum subsistence was the norm, much like a Nazi forced-labor concentration camp. As yesterday's famine victims dropped dead from exhaustion and slow starvation on the railroad or irrigation project, today's famine refugees were making their way into this so-called famine relief system. This system would today be labeled euphemistically, the "recycling" of the work force. With the advent of railways, it became easier for traders to buy up food and other goods when they were cheap, and in some cases, even when costly, and export them to England—much in the same manner as the British let the Irish starve during the potato famine, rather than allow the wheat, barley, and rye grown in Ireland for England to be used to feed the Irish. Under these conditions, the nature of famines and scarcities began to change. Whereas in the past, famine had been a regional phenomenon, under this British policy food became scarce throughout the country, hitting the poorest in a devastating manne. It was these famine-stricken poor who then continued to supply the labor for the relief-works.
অপমানজনক ঘৃণাভরা ভারতে শর্তে পুঁজি নিয়ে এসে, ব্রিটিশ শিল্পবিকাশের উদ্দেশ্যে রেলরাস্তা তৈরির আর এক উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে ব্রিটিশ উনিবেশের জন্য নতুন ধরণের এক মহাজন শ্রেণীর বিকাশ ফলে যে সব এলাকায় ভাল চাষ হয়েছে, সেই সব এলাকার শষ্যভান্ডার মহাজনদের মাধ্যমে দখল করল ব্রিটিশ এ সব ভাল ফলন এলাকার চাষের পরের কম দামের প্রথম উত্পাদিত শষ্য অনেক আগেই মহাজনদের হাত ঘুরে ব্রিটিশ বণিকদের কবলে চলে যেত এরপর ঔপনিবেশিক অর্থনীতির সূত্র ধরে এইসব এলাকায় সেই সব শষ্যের দাম বাড়ত আকাশছোঁয়া হয়ে এই বাড়তি দামের শষ্য ব্রিটিশ বণিকেরা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করত, নয়ত সেই এলাকার মানুষের কাছে সেই বাড়া দামেই বিক্রি করে অত্যাধিক মুনাফা করত প্রাথমিকভাবে কৃষকদের কাছ থেকে এই শষ্য ধারেই কিনত মহাজনেরা, অথচ কৃষক যখন বাজার থেকে কিনছে, তখন তাকে কিনতে হচ্ছে নগদ অর্থে একে ভাটিয়া বলছেন একধরণের ধারের দাসত্ব
রেলরাস্তা ধরে যে মন্বন্তর ঘটেছে তার ব্যাপকতা বোঝাযাবে ভারতের রেলপথের বিস্তারে ১৮৫৭তে ভারতে ২৮৮মাইল রেল রাস্তা ছিল ১৮৬১তে সিটি হল ১,৫৯৯ মাইন ১৮৬৫তে আরও বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৭৩মাইন ১৮৮১তে ৯৮৯১ মাইল, ১৮৯৫তে ১৯,৫৫ মাইল আর ১৯১৪তে ৩৫,৬৫৬ মাইল এই বিস্তৃত রেলরাস্তা জুড়ে শষ্য রপ্তানির পরিমান দাঁড়াল ১৮৬৭-৬৮তে ১২,৬৯৭,৯৮৩ হাজার ওজন থেকে ১৮৭৭-৭৮এ ১৮,৪২৮,৬২৫ হাজার-ওজন আদতে ভারতেক জনগণের প্রতি উপনিবেশের শাসকদের খুনের মানসিকতা প্রকাশ পায় এই তথ্যে যে, ১৮৭৬-৭৮ ভারতে প্রচুর মন্বন্তর ঘটে এবং তথ্যে পরিস্কার, সেই বছরে ধান রপ্তানি হয়েছে ৩০.৩ মিলিয়ন হাজার ওজনে আর ১৮৯১-৯২তে গম একই পরিমান রপ্তানি হয়েছে গণতান্ত্রিক ব্রিটিশ সরকার মন্বন্তরের সময়, বাড়তে থাকা এই রপ্তানিকে অবাধ বাণিজ্যের দোহাই দিয়ে সমর্থন করছেন, এবং তাদের বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন করার বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন সরাসরি গ্লুমাজ অভিযোগ করছেন, "civil commotion and unrest in Bombay against continuing exports of food grains from the presidency at a time when the people faced the threat of famine. The government of India, however, refused to change its food policy and steadfastly clung to the view so far held that, 'even in the worst conceivable emergency, so long as trade is free to follow its normal course, we should do far more harm than good by attempting to interfere....' "
ঔপনিবেশিক এই তত্বের সরাসরি প্রতিধ্বনী আমরা আজও শুনতে পাই দেশে দেশে ছাউনিতে সেনা বাহিনী রেখে দেশগুলির সার্বভৌম কব্জা করা আমেরিকা সরকারের সেদিনের গণতান্ত্রিক ব্রিটিশেরমত, আজকের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকা, অবাধ বাণিজ্যের দোহাই দিয়ে দেশগুলির আন্তর্জাতিক শষ্য চলাচল অথবা শষ্য বাণিজ্য নীতিকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রায়নির্দেশিকা জারি করে, বিশ্বব্যাঙ্ক আর আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে ক্রমশঃ ইওরো-ব্রিটিশ-আমেরিকা ব্যবসায়ী কার্টেলের হাতে আজকের আন্তর্জাতিক শষ্য বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায়, সমগ্র বিশ্ব একসময়কার ব্রিটিশ মদতপুষ্ট একেরপরএক ভারতীয় মন্বন্তরের অবস্থায় পড়তে চলেছে
এ প্রসঙ্গে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের কথা না বললে বোধহয় ব্রিটিশ গণহত্যার শিকার বাঙলা-বিহারের মৃত মানুষের পাহাড়ের ওপর গড়েওঠা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তিভূমিটুকু স্পষ্ট হবে না বিয়াল্লিশ নিয়ে প্রচুর বাক্য, প্রচুর কাগজ ব্যয় হয়েছে, কিন্তু ছিয়াত্তর নিয়ে ঐতিহাসিক-বুদ্ধিজীবিদের স্পষ্ট কোনও  ধারণাই নেই অথবা এ সম্বন্ধে মাথাব্যথাও নেই শুধুমাত্র অনন্দমঠের ভাসা ভাসা বর্ণনা বাদ দিলে ভয়ঙ্কর, শিরদাঁড়ায় ঠান্ডাস্রোত বইয়ে দেওয়া এই মন্বন্তর অথবা খুন যাই বলা যাক, ছিয়াত্তর নিয়ে বাঙলায় খুব ভাল কাজ হয়নি বলা চলে সেই প্রথম বাঙলার মন্বন্তর ঘটিয়ে শুধু বাঙলা নয়, এর পর প্রায় একশ বছর ধরে সমগ্র ভারত মহাদেশেই লুঠের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় আড়াইশ মহামারী নামক গণহত্যায় হাত পাকাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ মানুষের মৃত্যু তখন শুধু কয়েকটি বিবৃত সংখ্যামাত্র