Thursday, February 15, 2018

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা২ সিরাজ চরিত্র যাঁদের লেখা দিয়ে বিচার হয় - সুশীল চৌধুরীর বয়ানে

গোলাম হোসেন সালিম এবং করম আলি
গোলাম হোসেন সালিমের রিয়াজউসসালাতিন প্রকাশ পায় ১৭৮৬তে. তাঁর ইংরেজ মনিব জর্জ উডনির নির্দেশে. উডনি 'এই অধম ব্যক্তিকে' ওই গ্রন্থ রচনা করতে নির্দেশ দেন। আরেক গোলাম হোসেনের মতই তিনি ইংরেজ অনুরক্ত ছিলেন, এবং এ জন্য সিরাজ তাঁকেও রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। ইংরেজদের প্রতি তাঁর চাটুকারিতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন তিনি লেখেন, 'তারা(ইংরেজরা) কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করতে এমনই বদ্ধ পরিকর হয় যে নিজেদের প্রাণসংশয় করেও তাতে অবিচল থাকে। মিথ্যাবাদীকে তারা সমাজে বরদাস্ত করে না। তারা উদার, বিশ্বস্ত, সহনশীল ও সম্মানিত ব্যক্তি। প্রতারণা কাকে বলে তারা জানে না। শঠতা ব্যাপারতাই তাদের কাছে অজানা।' এই মানুষটা সিরাজ সম্বন্ধে বলেছেন তিনি বদমেজাজি এবং রূঢ়ভাষী ছিলেন। সব অভিজাত ব্যক্তি ও সেনাপতিদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন।
করম আলির মুজফফরনামা ১৭৭২ সালে লেখা এবং তথ্যের ঠিক ঠিকানা নেই। তিনিও ইংরেজদের অনুকূলে সমান পক্ষপাতদুষ্ট। ঘোড়াঘাটার ফৌজদার ছিলেন কিন্তু তিনি সেখানে না থেকে প্রায়ই পূর্ণিয়াতে কাটাতেন। শওকত জঙ্গের পতনের পরে ঘোড়াঘাটার চাকরিচ্যুত হন এবং কারারুদ্ধ হন। সিরাজ তাঁকেও প্রাণে না মেরে পাটনায় নির্বাসিত করেন।
ফরাসীদের বিরোধিতা এবং ইংরেজদের চাটুকারিতার প্রমান হয় যখন তিনি বলেন, আল্লার ইচ্ছা, ফরাসিরা(ইংরেজদের দ্বারা) বাংলা থেকে বিতাড়িত হোক।

No comments: