Monday, June 2, 2014

Construction Materials7, বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম৭

সুধা(চুন)
সুধা পাওয়া যায় গুল্মশ, কল্ক, মাডগি(দক্ষিণের কোনও ভাষায় সবুজ মটর), করলা, চিক্কন আকারে-
১। গুল্মশে মেশানো থাকে নুড়ি,শামুক, এবং এদের হয় অর্ধেক বা তিন চতুর্থাংশ অথবা দুগুণ পরিমাণে মাটির গুঁড়ো।
২। হরিতকীর(অভয় ফল) আকারে শুকনো নুড়ি, শুকনো বিভিতকী ফল একই পরিমাণে শামুক মিশিয়ে কল্ক তৈরি হয়।
৩। ছোট মটর দানার আকারে বালি আর চুনের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয়।
করলা, মাডগি আর গুল্মশ এক সঙ্গে গুঁড়ো করা হয়। প্রয়োজন আনুযায়ী আঠা তৈরির জন্য জল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৪। ক্ষীরবৃক্ষ, অডুম্বর, অশ্বত্থ, বট, দাড়িম আর অর্জুন গাছের ছাল নিয়ে ত্রিফলার সঙ্গে জল দিয়ে মিশিয়ে রাখা হয়। সম পরিমানের অড়হর ডালের(মাশা) গুঁড়ো মিশিয়ে দেওয়া হয়। এই মিশ্রনটি চিক্কম আকার ধারণ করে যখন এর সঙ্গে বালি আর শামুকের গুঁড়ো মেশানো হয়। এগুলি সব ভাল করে মিশিয়ে লেই তৈরি করে কিউরিংএর জন্য রেখে দেওয়া হয়।
৫। কল্ক – বালি, ছোলার ডালের গুড়োয় জল মিশিয়ে লেই তৈরি করলে কল্ক তৈরি হয়।
চিক্কন দুই প্রকারের কেবল কাথা আর বাদোদক
ক। চিক্কমের সঙ্গে শুধুই জল মিশিয়ে প্রথম প্রকারের চিক্কন তৈরি হয়।
খ। ক্ষীরবৃক্ষ,কদম্ব, অভয় গাছের ছাল এক সঙ্গে ত্রিফলার জলে মিশিয়ে তার সঙ্গে মাশা গুঁড়ো দিয়ে মেশানো হয়। এর সঙ্গে বালি, গুঁড়ো চুন মিশিয়ে গ্রু দিয়ে মাড়ানো হয়। গরু দিয়ে না পাড়িয়েও অনেক সময় লোহার দণ্ডদিয়ে সেই মিশ্রণটি মেশানো হয়। এই মিশ্রণটির নাম বাদোদক।
দই, দুধ, গুঁড়ো মাশা, আখের  গুড়, ঘি, কলা, নারকেলের জল, আমের রস মিশিয়ে চিক্কনএর মত একটি লেই তৈরি করা হয়। এখানেও যত বেশি দিন ধরে এই মিশ্রণকে মেলানো যাবে, তত বেশি এই মিশ্রণটি কার্যকরী হবে। যদি এই মিশ্রণটি এক দিনে শক্ত হয়ে যায় তাহলে একেও বাদোদক বলা হয়। এই শক্ত মিশ্রনটিকে আবারো নতুন করে সারারাত ধরে মেশানো মেলানো হয়। 

আবার করলা তৈরি করা যায় পাকা কলা, নারকেলের জল, মাশাকা গুঁড়ো, সাদা চুনের গুঁড়োর সঙ্গে মুষ্ঠা, গুড়, ত্রিফলার মিশ্রণ ভাল করে মিশিয়ে। এই চুন বজ্রের মত শক্ত। এই মিশ্রণ দুই, তিন, চার মাস ধরে মেশানো হয় ইয়ার নাম অধম, মধ্যম আর উত্তম। 

No comments: