Tuesday, December 10, 2019

২০১৯এর বিজেপিকে দেখে ২০০৬-০৭এর সিপিএমের কথা মনে হচ্ছে

সিপিএমের স্বর্ণযুগে তাদের সম্বন্ধেও একই কথা বলতাম আমরা। তারা কী দক্ষ হাতে সব সামলে নিচ্ছে - আনন্দবাজার আপ্লুত হয়ে নামই দিয়ে দিল টিম বুদ্ধ। সিঙ্গুরে যখন পরিকল্পনা শুরু হয় তখন আমিই বলেছি এত বছরের প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা - ঠিক সামলে নেবে।
এই রাজনৈতিকভাবে সামলে দেওয়ার জন্যে মাথা লাগে - জোহুজুর নেতা দিয়ে হয় না।তৃণমূলে পিকেকে দরকার হয়। বিজেপিতে মোদি-শা যে পার্জিং করেছে, তাতে দলে সিপিএমের মত কিছু জোহুজুর ছাড়া আর কিছুই নেই। কাশ্মীর ৭ দিনে সামলে দেবে বলে আজ গোটা বিজেপির মাথারা কাশ্মীর নিয়ে অভাবিতভাবে চুপ। মাথায় রাখুন এই নিস্তব্ধতা আদতে দলে ভালনারেবিলিটি বাড়াচ্ছে। কেশব ভবনে গিয়ে দেখুন হোলটাইমারদের ঘরে এসি বসেছে। আরএসএস ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে।
আসামে এনআরসি যে এমন করে প্যান্টে হেগে ফেলবে সেটা মোদি-শা যতদূরসম্ভব দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি। এনআরসির অত্যাচারের পাশাপাশি ক্যাবের নাগরিকত্বের গাজর ঝোলানোর ভাবনা ছিল বিজেপি নেতৃত্বের - দুই রাবড়ি পদ্ধতি পাশাপাশি চলত আর ভোটে চলত জেজেটিটি - যখন যেমন প্রয়োজন তখন তেমন প্রচার করত - সিপিএম পঞ্জীকরণ নিয়ে এখন যেমন জেজেটিটি। এনআরসির চরম ব্যর্থতা কিন্তু ক্যাবকেও ভালনারেবল করে তুলেছে - আসামের জঙ্গি আন্দোলন প্রমান। বিজেপির তলার কর্মীরা যারা কিছু দিন আগে বলেছিল ঘটিরা পঞ্জিকরণের তীব্র সমর্থক তারা এখুনিই ইতিউতি কনসেন্ট্রেশন থুড়ি ডিটেনশন ক্যাম্প বন্ধ করে নিপীড়িতদের কাছে ক্ষমা চাওয়া আর ক্ষতিপূরণের দাবি তুলছে। মানে ক্যাবে হিন্দুভোট খতরেমেঁ বলে তাদের মনে হচ্ছে। তারা কেউই বিল সম্বন্ধে কিস্যু জানে না শুধুই শাহের বক্তৃতা ছাড়া।
তবুও মনে হয় বিজেপি সামলে দেবে। কিন্তু কেন যেন মন কু গাইছে আর বিমান-বুদ্ধবাবুর সময়ের সিপিএমের কথা মনে পড়ছে বারবার।

No comments: