Friday, April 29, 2016

পক্ষ আমাদের নিতেই হবে

কুমারবাবুর পোস্টটার উত্তর ধরল না। তার জন্য আলাদা প্রকাশনী খুলতে হল। মাফ চাইছি।
পক্ষ নিতেই হবে। আমরা প্রত্যেকের বিশেষ করে কুমারবাবুদের অবস্থান সম্মান, শ্রদ্ধা করি। ব্রিটিশ আমলের আগে বাংলার বাণিজ্য, বৌদ্ধিক এবং সাংস্কৃতিক যে পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল শুদ্র জাগরণের মধ্যে দিয়ে তার একটা শ্রেয় যায় কুমারবাবুদের মত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পূর্ব জমিদারদের কর্মকাণ্ডে। নবাবি আমলে বিশেষ করে মুর্শিদকুলি আর আলিবর্দীর আমলে জমিদারদের বৈকুণ্ঠ দেখানো হত খাজনা আদায় ঠিক মত না হলে - তা নিয়ে জমিদারদের উত্তরাধিকারীরা পক্ষ নিতেই পারেন - কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতায় সিরাজ যে একা হয়ে যান - পলাশির পর অধিকাংশ জমিদার ব্রিটিশ পক্ষ নেন, সেটা তো ঘোর বাস্তব - এবং তাঁরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যান। সব থেকে বড় কথা সিরাজের সাম্রাজ্যের পরের বাংলা শতচ্ছিন্ন লুঠের জন্য পড়ে থাকা একটা ভৌগোলিক অবস্থান হয়ে দাঁড়ায়।
ফিরি প্রকাশনার উত্তরে-
এই সক্কলে ইংরেজিতে যে গাল পাড়লেন তার জন্য ধন্যবাদ। আমায় যে কুমারবাবু ইতিহাসবিদ ঠাওরালেন - তার জন্য মরমে মরে আছি - এত সম্মান বইতে পারলে হয়। হয়ত তিনি আমাদের সামনে দাঁড় করিয়ে নিজের সঙ্গে নিজেই কথা বলেছেন। হবেওবা।বাকিরা যারা তাঁর প্রকাশনার উত্তরদিয়েছেন পক্ষে বিপক্ষে তাদেরও আদাব, জোহার। তবু আপনারা শিক্ষিতরা আমাদের জবাবদিহি চেয়েছেন - দিতে বাধ্য। তাই পেন্নাম জানিয়ে বিজাতীয় পাতি বাংলায় আমাদের কথার কলমপাত করা গেল -
১। কুমারবাবু নিজের ইতিহাসবোধের কথা বলেছেন। শিরোধার্য। আমাদের প্রশ্ন হল আমরা সিরাজকে কিভাবে দেখব - অবশ্যই নিজেদের অবস্থান থেকে আমরা নড়ছি না - মহান কেন? তার সময়ে একমাত্র তিনিই তার দাদুর মত বুঝেছিলেন ব্রিটিশ চরিত্র। দাঁতে দাঁত চেপে শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন। সিরাজ খুন করিয়েছেন। ঠিকই, নানান রকম অভিচার ছিল তার, ঠিকইতো। কিন্তু তাঁর আগের কোন সাম্রাজ্য-পুত্র সিংহাসন পেতে খুন লড়াই করেন নি, ঘুষ দেননি, বাবার আমলের আমলাদের অপদস্থ করেন নি, রাজ্যের মেয়েদের হারেমে ঢোকাননি - তার ইতিহাস আর ঘাঁটতে ইচ্ছে করে না। আপনারা শিক্ষিত মানুষ জানেন। শুধু বেঁড়ে ব্যাটাকেই ধর। কেন? তিনি সাম্রাজ্য-উপনিবেশ বিরোধী বলে?
২। তিনি দাদুর আলাল পৌত্র, আতুপুতু করে বড় হয়ে অবাধ ক্ষমতার অধিকার পেলে কি হয় তা আমরা ভারতের ইতিহাসে চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি কয়েক দশক আগেই - সিরাজ ছিলেন তাঁদের থেকেও ক্ষমতাধর আর একগুঁয়ে। কিন্তু সিরাজকে নিয়ে ভালবাসা একটাই এই একজন মানুষ তাঁর কিছু সাথী নিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছিলেন - ঠিক যেমন লড়েছিলেন ইন্দিরা - সাম্রাজ্যবাদের চক্রব্যুহে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যুদ্ধে। কুমারবাবু যে ইতিহাসের পাতা উল্টেছেন তা হয়ত সবই ঠিক এবং এ নিয়ে আমার বা আমার দলের ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলার নেই - এই নিয়ে শেষ কথা বলার যোগ্যতা আমার/আমাদের আছে বলে আমরা মনে করি না।
৩। কিন্তু ঐ যে, দাদুর থেকে পাওয়া ব্রিটিশ বিরোধিতায় ছিলেন খাঁটিতম। তাঁর ব্রিটিশ বিরোধিতায় অস্বস্তিতে পড়ে(আপনারা বলবেন তার বেলেল্লাপনায় - মাথা নামিয়ে মেনেও নিলাম) ভদ্রলোকেরা সরাসরি পলাশির চক্রান্তে সামিল হলেন। কিন্তু পলাশির পরে ভদ্রলোকেরা কি করলেন - ব্রিটিশদের সরিয়ে নিজেরা ক্ষমতায় এলেন? না তো! তাঁদের লুকোনো দাঁত, নখ ফোলাতে দেখা গেল ব্রিটিশ বাবাদের হয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নয়। প্রথমে ক্লাইভ পরে হেস্টিংসের পায়ে গড়াগড়ি খেয়ে বাংলায় অবর্ণনীয় লুঠ, অত্যাচার, কয়েক হাজার বছর ধরে তিলে তিলে তৈরি উৎপাদন পরিকাঠামো ধ্বংসে হাত লাগালেন ব্রিটিশদের পঞ্চম বাহিনী হয়ে - সে ইতিহাসটা বোধয় -- না থাক।
৪। কিন্তু তিন সত্যি, ব্রিটিশ বিরোধিতায় বাংলার ভদ্রলোকেরা তাকে পাত, সাথ দিলেন না। বাংলার প্রত্যেক ক্ষমতাবান যেভাবে ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মেলালেন আর তার পরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত শক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লাগলেন, তার তুলনা তাঁরাই। যে তারাকে বাঁচাতে রাণী ভবানীর মত মহিয়সী সিরাজের বিরুদ্ধাচরণ করলেন কোমরে কাপড় বেঁধে - মা হিসেবে সেটা হয়ত ঠিকই ছিল - কিন্তু যে কুমির খাল কেটে আনলেন রাণী, সে কুমির কাকে খেল? কোম্পানি মির কাসেমের মুখোশ পরে ১৭৬১তে আবিষ্কার করল রাণী ভবানীর যতদূর সম্ভব হরবন্দ পরগণার বিভিন্ন জমিদারি এলাকার খাজনা কোথাও ১০ লাখ টাকা কোথাও কুড়ি লাখ টাকা বাড়ানো যেতে পারে। কোম্পানি রাণীর থেকে ৩১ লক্ষ টাকা বেশি খাজনা আদায় চাইল। রাণী অপারগ হওয়ার নবাবের রায়রায়াণ রাণীর জমিদারি চারভাগে ভাগ করে প্রত্যকভাগ একজন আমিলদারের হাতে তুলে দিলেন। রাণীর পুরোনো আমলাদের কয়েদ করা হল। মির কাশেমের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধে আবার মির জাফর নবাব হলেন, মন্ত্রী হলেন নন্দকুমার। তাকে ঘুষ দিয়ে হাত করলেন রাণী। কিন্তু জমিদারি বাঁচানো গেল না। টুকরো টুকরো হয়ে গেল রাণী ভবানীর জমিদারিটি। মেরেফেলা হল জগতের শেঠ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদেরকে। পলাশির লুঠের একটা টাকাও দেওয়া হল না।
৫। চক্রান্তে সামিল হওয়া প্রত্যেকটি ধনী ক্ষমতাশালী পরিবার, প্রত্যেকটি প্রখ্যাত মানুষকে খুন করে তাঁদের কোম্পানির পক্ষ নেওয়ার আর সিরাজ বিরোধিতার ধার সুদে আসলে উসুল করে নিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য - কোথায় গেল বাংলার গর্বিত জমিদারির ঐতিহ্য? জমিদারি আর সমাজ ধ্বংস করে পলাশির পর যে বিপুল পরিমান সম্পদ উদ্বৃত্ত হল, তাঁর পরে আর ইওরোপ থেকে একটা পাউন্ডও বাংলায় আনতে হয় নি ব্যবসা করার জন্য - বরং বাংলার দামি ধাতু, সম্পদ থরে থরে চালান হয়ে গিয়েছে ইওরোপে - চির অধমর্ণ ইওরোপ হয়ে পড়ল উত্তমর্ণ, বাংলা অধমর্ণ। পলাশির পর বাংলা শুধু নয় এশিয় উদ্বৃত্ত অর্থনীতি যে হেঁটমুণ্ড উর্ধ্বপদ হয়ে পড়ল - আজও সেই প্রবণতা পালটানো যায় নি - আমরা ভদ্রলোকেরা খেলে চলেছি ইওরোপিয় প্রসাদ সূত্রে আজও - অধমর্ণের অভিনয়ে।
৬। কারু ও বস্ত্র শিল্পীদের হয়ে কাজ করেছেন বাংলার জমিদারেরা আর রাজপরিবারেরা। সত্যিই সিরাজ অর্থে আলিবর্দি পড়া ভাল - সিরাজ আর কতটা সময় পেলেন - ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তাঁর সময় কেটেগেল! সিরাজের পরে বাংলার গ্রামীন উৎপাদনের কি হাল হল সে মায়ের কথা আর মাসিদের কাছে কেন বলি - হয়ত ছোট মুখে বড় কথা হবে - চন্ডীচরণ সেনের নন্দকুমার... তথ্য উপন্যাসটি তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
৭। আর আমরা যদি এই সময়ের সঙ্গে সেই সময়ের মিল পাই তাহলে কি খুব ভুল হবে?

Wednesday, April 27, 2016

আমাদের হৃদকম্প নেই

সমস্যা হল বাজারি আনন্দ -টানন্দ যারা পড়েন তাদের জোট জিতছে শুনেটুনে হৃদকম্প হয়, এই রকম প্রকাশনা দেখে আনন্দ(বাজারী নয়) করতে হয়।
আমরা বাংলা জোড়া কয়েক হাজার সদস্য গ্রামের পরম্পরার উৎপাদক, তাঁতি অথবা জনাব কবীরের গ্রামতুতো অভিকর শিল্পীদের সঙ্গঠনের সদস্য। এঁরা কেউ সৌভাগ্যবশতঃ (আ)নন্দবাজারের পথ প্রকারান্তরে মাড়ান না। ফলে তাঁদের যেমন জোট নিয়ে বিন্দুমাত্র হৃদকম্প নেই, তেমনি তাঁরা জানেন সেই পলাশীর চক্রান্তের(বিন্দুমাত্র যুদ্ধ নয়) পর মহান সিরাজ হত্যার পর যদি কেউ তাঁদের পাশে দাঁড়ান তবে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাজোড়া ৭০০০০ গ্রামীন শিল্পী(আমরা ইওরোপের এবং ভদ্র ইংরেজি শিক্ষিত ঔপনিবেশিক বাঙালিদের নকলে লোকশিল্পী বলি না) একমাত্র মমতাদিদির প্রকল্পে মাসিক শুধু ১০০০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন তাই নয় তাদের প্রত্যেকটি পাঁচজনের দল মাসে অন্তত চারটি অনুষ্ঠান পাচ্ছেন অর্থাৎ পলাশির পর পেটে কিল দিয়ে বসে থাকা গ্রামীন শিল্পীরা আজ দুমুঠো দুবেলা খেতে পারছেন, আর সারা বছর নিজের সংস্কৃতি প্রসারের স্বাধীনতা পেয়েছেন। তুমি ভাই কি মনে কর এই কৃতজ্ঞ শিল্পীরা জোটের ঘোঁটে ভোট দেবেন?
গত পরশু আমরা দিনাজপুরের একটা সাঁওতাল গ্রামে আটঘড়ায় বৈঠক করছিলাম, গ্রাম নেত্রী তেরেস টুডুর নেতৃত্বে(ছবিতে পা এলিয়ে সামনে বসা গোলগাল দিদি) - সাঁওতাল গ্রামে যা হয় অধিকাংশ মহিলা। তাঁরা বুকবাজিয়ে বললেন শুধু আমরা নয় গ্রামের প্রত্যেকেই মমতাদিদিকে ভোট দিয়েছি - ভাতা পাচ্ছি, রাস্তা হয়েছে, গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে - গ্রামীণদের আর কি চাই? আমরা চাকরি চাই না। তাঁরা বিশ্ববাংলায় ঢেকিছাঁটা চাল সরবরাহ করছেন। আগামী বর্ষায় মেয়েরা জৈব চাষ করবেন গ্রামের সক্কলের সঙ্গে। আর কি চাই? সঙ্গে সেই বৈঠকের একাংশের ছবি।
আমরা সক্কলে ভোট দিয়েছি কোথায় সক্কলে জানি। আমাদের হৃদকম্প নেই।

Friday, April 22, 2016

The Story of the Ashok Dham temple

The Story of the Ashok Dham temple also called as ‘Indradamaneshwar Temple’ in Lakhisarai district of Bihar is quite interesting. Once destroyed, lost and fully forgotten in or around the 12th/13th century A.D., it remained in the silent pages of History, till one fine day when on 7th April, 1977, it was discovered by one Shri Ashok. The site thus began to be called as Ashok Dham. The villagers around were totally unaware about the historical importance of the site and bewildered by the size of the Shiva Lingam and the remains around, they initially took it as a miracle. The news of the sudden discovery spread like wildfire and the site regained its prominence of the long forgotten yesteryears. Referring to passages in the Ramayana, the site was associated as having been visited by Lord Rama. From the Buddhist remains around it is also believed to have been visited by the Buddha. Now named after Indradumna who is believed to have been the last Pala ruler, supposedly defeated by Muhammad Bin Bakhtiyar Khilji in the 12th century AD, its story is like the saga of revival of a lost historical religious destination.
Hari Manjhi of the Patna Circle of the Archaeological Survey of India, assisted by Sunil Kumar and T K Srivastava, conducted scientific clearance work at Ashok dham, Lakhisarai in 1986-87. In the course of clearance a panchayatana temple was exposed. The subsidiary shrines, at the four corners of the temple, could not survive. On plan it resembled the Latin-cross with usual transepts. The floor of the temple was of baked bricks (32x24x6cm) set in lime and brick-jelly mortar. The original shrine chamber was 7.78m square, the walls 1.50m wide and made of large sized bricks laid in mud mortar. During the course of the work, fragmentary stone slabs, pillars and sculptures in basalt were found. The remains at the site were placed by the ASI between the 10th and 12th centuries AD, on the basis of the sculptures.
A modern temple has been recently constructed on the directions of an architect hailing from Maharashtra. Inaugurated in 1993 by the Shankaracharya of Puri, the actual construction could commence only in 2002, and concluded quite recently, finally resulting in the erection of an imposing structure over the main Shiva lingam. Though the modern construction is imposing and quite befitting its original historical glory, it sadly has not fully preserved the original design, which can now only be visualised. The site though has indeed gained popularity and is now visited by a large number of pilgrims from the neighbourhood as well as from other parts of the country. The ruins of the ancient temple are now placed at one corner of the premises of the modern temple and do provide useful insights about the original structure. The ruins contain beautifully carved inscriptions, etched on stone in the bygone eras by unknown sculptors.
Further the temple also has a small museum containing several sculptures found during the excavation. It needs to be expanded for proper display of the precious surviving pieces of the art of those times. At present the sculptures are stacked in a small chamber with no natural light, making photography difficult. Developmental activities at the temple are being taken care of by a trust. I could interact with some trustees, who also presented me with a token containing the image of the Modern Temple. It was a very pleasant visit.
There are several more Silent Pages waiting to be fully discovered in the district of Lakhisarai. Several sculptures are routinely discovered in the vicinity of the Ashok Dham and Jai Nagar areas in the district. Home to prehistoric early men as evidenced by the stone-age tools found on the nearby hills, the site had been an important centre in ancient times being situated on the way to Mudagiri (Monghyr), and on the banks of the Kiul and the Ganga rivers. The site had become quite prominent during the Pala rule, as evidenced by the extensive remains at several sites including Ashok Dham and Jainagar. In 1953-54, an image inscription of a chief named Yasahpala was found at Lai near Lakhisarai, dated in the year 32, apparently of the regnal reckoning of the chief’s overlord, who, there are reasons to believe, was the Pala king Palapala.
Though several sites of Lakhisarai have been described in parts by chroniclers including Buchanan, Cunningham and others for their historical remains, the full understanding of its past history still awaits further excavation and research.
More details to soon follow at my blog silentpagesindia.blogspot.in

What Metallurgy Can Tell Us About Our History By Anil Kumar Suri

An exploration of metallurgy in India:
The history of metallurgy in India can tell us a lot about the history of India itself. Our scientific heritage has inexplicably always been given short shrift in our history textbooks, as pointed out here and here. It is, therefore, not very surprising that our historians don’t enter at all into this rather technical, if extremely fascinating, aspect of our history.
The use of metals marks major epochs in the history of any culture. The Bronze Age in India began around 3000 BCE in the Indus Valley region. The ancient cities of the Indus Valley Civilization (2600-1900 BCE) were part of India’s Bronze Age. The Indus Valley Civilization, also called the Mature Harappan phase, is merely the most well-known period of the Indus Valley Tradition (7500-300 BCE), which began with Neolithic (i.e., New Stone Age) settlements, such as in Birrana, Haryana (c. 7500 BCE) and Mehrgarh in Baluchistan, Pakistan (c. 6750 BCE). Another group of Bronze Age nomadic tribes, the Indo-Aryans, were believed to have entered the subcontinent in the second millennium BCE, contributing, in some versions, to the decline of these cities; the Indo-Aryans settled down in what is today Punjab and Haryana (where they composed the Ṛg Veda), slowly moving eastward and eventually founding their own cities on the Gangetic plains, in what is known as the Gangetic Tradition. These Indo-Aryans were also supposed to have begun India’s Iron Age around 1000 BCE.
Although archaeologists now overwhelmingly agree there is no evidence of such an invasion or migration, and inspite of it being based almost exclusively on unverified philological arguments, the supposed advent of Indo-Aryans continues to be the norm in academic discourse, is what is taught in textbooks, and guides prevailing constructs of ancient Indian history, such as a supposed culture shift that I had tried to examine earlier. Here, I try to look at India’s history from a more technological perspective. The picture that emerges shall not only leave us much better informed about India’s ancient history, but may undo our current simplistic notions of Stone, Bronze and Iron Ages.
The implications for the dating of the Vedas and other ancient texts:
Estimates for the dates of the composition of the Ṛg Veda vary from 1900 to 1200 BCE. The term, ayas, occurring in the Ṛg Veda has been interpreted as copper. Scholars also believe that the term, kṛṣṇa ayas, which occurs in the Yajur and Atharva Vedas, but not the Ṛg, means iron, and implies that the Yajus and Atharva belong to the Iron Age, and hence were composed after 1000 BCE. The events described in the Mahābhārata too are ascribed to the Iron Age. Thus, when, how and where metals like copper and iron came to be used on the subcontinent could inform our understanding of ancient India.
Read more:
http://bit.ly/1SsyENY

Thursday, April 21, 2016

Temple Architects of Ancient India By Sunny Narang

Just as thousands of years ago , temples and Sanatan icons are still being sculpted , carved , casted according to texts and skills that are ancient . Many times using contemporary tools and technology too.
And not only on Indian soil. From Malaysia to Hawaii .
Anywhere where the Sanatan Spirit overcomes a being/s.
The San Marga Iraivan Temple is a white granite stone Hindu temple sculpted in India and currently under construction on the Hawaiian island of Kauai. The temple is dedicated to Shiva. "Iraivan" means "He who is worshipped," and is one of the oldest words for God in the Tamil language. The Iraivan Temple is located next to the Wailua River and 5 miles (8 km) from Mount Waialeale. It is the first all-stone temple to be built in the United States. It is maintained by the Saiva Siddhanta Church, also known as Kauai Aadheenam and Kauai's Hindu Monastery.
Iraivan Temple was inspired by a vision of Sivaya Subramuniyaswami ( who was born in California in 1927 as Robert Hansen ) in which he saw Lord Shiva walking on the land where the temple is now located.
It is intended as a place of pilgrimage for Hindus worldwide. Subramuniyaswami set three parameters for its design and construction:
that it follow traditional design according to the Saiva Agamas
that it be designed to last 1,000 years
that it be entirely carved by hand, without the use of any machinery.
The temple design was completed by V. Ganapati Sthapati in the late 1980s. Carving of the 3,000-plus blocks of granite commenced in 1990 at a worksite in Bangalore, India. Beginning in 2001, the stone were shipped to Kauai and assembly begun by a team of silpi temple carvers under the direction of a master architect or sthapati.
Vaidyanatha Ganapati Sthapati (1927 – 5 September 2011) was a Sthapati ( temple architect and builder ) and head of the College of Architecture and Sculpture in the Vastu Shastra tradition ascribed to the sage Mamuni Mayan. Sthapati has earned a number of titles and awards, including Padma Bhushan in 2009.
The temple possesses a number of rare architectural features. The first is that it is being carved entirely by hand. Craftsmen follow and preserve traditional methods, shaping the stone with small hammers and utilizing over 70 types of chisels.
Hindu 2002: Temple architecture and the Agamas:
"Were our ancient temples built according to liturgical texts or according to the fancy of our architects (sthapatis) and their patrons? Researching on the Vaikunta Perumal Temple built by the Pallavas at their capital city Kanchipuram, Dr. Dennis Hudson discovered that it was a visual manifestation of the Pancharatra Agama and Bhagavata Purana theology. He explained the significance of the temple and its relation to the Purana.
The temple was built in 770 C.E. by Nandivarman II Pallavamalla (731-796 C.E.) and since he was given the name Parameshwara at the time of his coronation it came to be known as "Parameshwara-Vinnagaram" (the abode of Vishnu) as sung by the Vaishnava saint, Tirumangai Azhwar. Its architecture is unique, with three sanctums on the three floors one over the other and a concealed staircase leading to the upper floors. The three sanctums enshrine Vishnu in three postures - seated, reclining and standing. The walls are adorned with more than 50 sculptures, besides the panels depicting the history of the Pallavas, leading to the coronation of Nandivarman.
According to Prof. Hudson, the temple reveals a visual theology, the doctrine of the `four formations' (chatur-vyuha) and the vimana as three-dimensional Mandala and its divisions into exoteric and esoteric dimensions. He identifies the central figure in the sanctum of the ground floor as Vasudeva facing west, i.e. the Earth, Sankarshana facing north, the realm of human life, Pradyumna facing east towards heaven and Aniruddha facing south, the realm of ancestors. The sculptural scheme matches the Pancharatra concept, representing the six `glorious excellences' and the 12 murthis (dwadasa-namas). The six excellences are: the omniscient knowledge (jnana), power (bala), sovereignty (aishwarya), action (virya), brilliance (tejas) and potency (sakthi). The sanctum of the third floor represents the realm of space-time, depicting Vasudeva as he appeared in the human form of Krishna. The temple per se signifies the `body of God.'"
In 2005 the Chief Architect of the renowned Thanjavur Big Temple, K. Mohanraj Stapathi, spoke to the Hindu on art , architecture , iconography , religion , spirituality and his family's 600 year lineage:
" "An elderly woman gave information and the Government traced our family tree. There are 60 descendent families who still live in Swamimalai. All of them are into our family trade."
The 38-year-old sculptor, who became an assistant to his father, Karunanidhi, at the age of 10, has a son and a daughter. He says they will become his assistants when they turn 15.
With brother Kuberan, the three sculptors run a workshop in Swamimalai, Tamil Nadu, where they employ 20 men and two women and train youngsters. Women do the wax moulds, filing and polishing of the idols.
The Kuberan Icon Industries receives orders from temples and cultural centres from around the world.
It has supplied idols to a New Jersey temple; the navagrahas to a temple in England; silver and gold covers for idols of Ganesha and Punnai Nallur Mariamman; cradles, puja platforms and flag posts for temples in Tamil Nadu and Kerala. The sculptors have made Ayyappa, Jesus and Buddha idols too.
That's not all. Mr. Mohanraj is a research scholar at the Tamil University's Department of Sculpture in Thanjavur.
"When a sculptor decides to make the wax model, the idol is infused with a spark of jeevan (life); when it is cast in metal it is half alive. When we draw the eyes it is three-quarters live but when it is placed in a temple and pujas are performed becomes a live being," the stapathi quotes a Sanskrit shloka."
From the website of Kuberan Icon Industries:
"Mr. K.Mohanraj Sthapathy M.A (P.hd) - Department of Sculpture
He is second son of S. Karunanithi Sthapathy. He is also very talented person of bronze idols work and kavasam work. He is doing PhD(Iconography) in Tamil University, Thanjavur. He is founder of Sirpa Kalakshetram. Swamimalai & Branches in Chennai & Malaysia. He is expert in all Silpa Sastra text, iconography and iconomatric. He is in the research Co-ordinator for the reseaarch scholars from all universities around the world. His name is recommended to UNESCO."
"The Big Temple in Thanjavur, with its architectural elegance was built by a sculptor Veerachola Kunjaramalla Perunthagan.
Thousands of other sculptors were brought from Gingee in North Arcot to work with him to produce this marvel. These sculptors and architects gave shape to the spiritual dream of Emperor Raja Raja Chola.
The thousands of sculptures in stone temples, bronze idols, temple cars and other artistically created items speak of the greatness of a bygone era. After the work on the Big temple was complete these sculptors and architects proceeded to Gangaikonda Cholapuram where they built temples. They also built the Tharasuram temple and the one at Swamimalai.
In keeping with the belief that civilization sprouted on the banks of rivers, the rich alluvial soil of River cauvery which was available in abundance at Swamimalai attracted sculptors to this shrine town.
It is the descendants of these sculptors, who have made this tradition art form famous through out the world. Many of them are also descendants of Veerachola Kunjaramalla Pernuthatchan who built the Thanjavur Big Temple.
His descendants fourteenth in line are now upholding this tradition and are making this art form known worldwide. They are experts in creating exquisite models out of bronze and granite. They have also been invited to build temples and their stamp is clear in all their works. Even though there are any number of modern equipment which could make their task easy, they still resort to the ancient instruments like chisel and hammer to turn out their idols and other works of art."
Reference:
http://www.thehindu.com/…/01/02/stories/2005010211280200.htm
http://kuberanicons.in/index.html
http://www.thehindu.com/…/04/15/stories/2002041500130300.htm
https://en.wikipedia.org/wiki/Iraivan_Temple
https://en.wikipedia.org/wiki/Sivaya_Subramuniyaswami
https://en.wikipedia.org/wiki/V._Ganapati_Sthapati

Why India should abandon the British financial year for one of its own

আমাদের বন্ধু গর্গ'র লেখা। 
দারুণ।
উপনিবেশবাদ বিরোধী সংগ্রাম জয়ী হোক

"In Choitro, the last month of the previous year, there are steep discounts and selling activity in order to clear inventories as much as possible so that traders can start the new financial year with minimal carry-overs. Thus, in Bengal (West and East), Odisha, Tripura, Assam, Manipur, Mithila, Nepal and other areas of eastern South Asia, which have a mid-April New Year, this is the season of sales and price-cuts, which people refer to as Choitro Sale.The mid-April New Year is also shared by several other peoples in this part of the world – most notably in Cambodia, Tamil Nadu, Sri Lanka, Thailand, Kerala, Chittagong Hill Tracts and Myanmar. These are all homelands of rice-growing peoples with cultural and civilisational links going back many centuries. Crop and harvest cycle similarities among people represent real civilisational continuities. They are quite different from the “ancient and continuous civilisation” type of myths that are invented by nation-states and then projected onto the past – the shape and size of these types of civilisational continuity claims are typically dictated by contemporary political needs, imaginations, yearnings and anxieties...The government financial year in the Indian Union starts on April 1 and ends on March 31. This is also the case in Canada, Hong Kong, Myanmar, New Zealand and South Africa. Clearly, these widely geographically separated entities are united by a common financial year not because of crop patterns, or anything tied to the practises of their citizens. The root of this unity is the British crown – which created and ruled these political entities in the past. Incidentally, Pakistan and the People's Republic of Bangladesh have delinked from the British financial year...Financial years vary widely across the world, and this has not created any trouble in trade, commerce and international transactions. In the United States, which has 50 states, some individual states follow a different financial year system than the federal government does. Thus, each state’s needs take precedence over overarching structures of uniformity. That is a sign of democratic deepening – of people’s convenience mattering before any other reason."

মুখ বদল

এখনো মে মাস আসেনি, তাতেই মুম্বাইতে যা ফাটিয়ে গরম পড়েছে মশাই,সে আর কহতব্য নয়। বেশি বকাঝকাও করতে পারছি না ছেলেগুলোকে, মুখ খুললেই গলা শুকিয়ে কাঠ।আর সেই শুকনো গলা ভিজোতে গেলে যা করতে হয়, সেসব আবার অফিস টাইমে করলে বস স্রেফ একটা সাদা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলবে, 'নিচে জাস্ট সইটা করে দিয়ে পাগলা, বাকিটা আমরা লিখে নেবো'!
এমন দিনে এই চাঁদিফাটা গরম টাকে নিয়ে নভি মুম্বাই এসেছি মার্কেট ভিজিটে। এই প্রবল বৈশাখে বাধ্য হয়ে পুরো মৌনী তাপস হয়ে আছি, হুঁ হাঁ করেই কাজ চলছে আপাতত। ছেলেগুলো ভয়ে কাঁটা, জনান্তিকে একে আরেকজনকে বলছে 'স্যার বহোত গুসসে মে হ্যায় আজ, কুছ বোল তক নেহি র‍্যাহে হ্যায় '। গরমে রাস্তার পিচগুলো অবধি গলে উঠেছে, রাস্তায় কুকুর বিড়াল আর সেলসের গুটিকয় অবোধ ছাড়া জনমনিষ্যি নেই।
মার্কেট শেষ হয়ে এসেছে প্রায়, এমন সময় সেই মলয় সমীরণক্যালানো বিকেলে সেলসম্যান ছোকরাটি খুবই বিনয়ের সংগে হাত কচলাতে কচলাতে নিবেদন করল প্রভু যখন দয়াদাক্ষিণ্য দেখিয়ে আবির্ভূত হয়েই পড়েছেন, একটু সংকটমোচন বিপত্তারণ হওয়ার কি কোন ইচ্ছে কি এই বিশাল হৃদয়ের কোন কোণায় ঘাপটি মেরে আছে, অ্যাঁ?
খুলে বল, কেসটা কি?
খবরে প্রকাশ, পাশের মার্কেটে জনৈক বড় হোলসেলার, বালাজী ট্রেডার্স, ইনি নাকি ডিস্ট্রিবিউটরের সংগে মিষ্টি অভিমানপূর্বক ব্যাবসাপত্তর বন্ধ করে রেখেছেন গত মাসদুয়েক ধরে । খুবই বড় হোলসেলার, পার মান্থ বিল ভ্যালুও খুব বেশি। রাজায় রাজায় এই যুদ্ধে এই উলুখাগড়াসম কচি সেলসম্যানটির ইন্সেন্টিভের ইয়ে মারা যাচ্ছে নিয়ম করে। ফলে উপস্থিত পালনহারের সকাশে এই করুণ আর্তি, তুমরে বিন হামরা কোঈ নেহি!
আচ্ছা, চল।
গিয়ে যা বুঝলুম, কেস অতি সামান্য। একটি ড্যামেজ গুডস রিটার্ন নিয়ে ফালতু বাওয়াল। রিজিওনাল ম্যানেজারের বা আমার অতি সামান্য অ্যাপ্রুভালেই কাজ হয়ে যায়। ফলে কেস জমে ক্ষীর। চা এলো, ফুটপাথের তিন ফুটিয়া চা নয়, অন্দরমহল থেকে ঘন দুধের এলাচ আদা দেওয়া চা। অনেক সুখদুঃখের গল্প হল মালিকের সংগে, প্রায় অশীতিপর এই প্রাজ্ঞ লোকটির নাম অশোক কেবলরামানি। অনেক দুঃখ করলেন, একমাত্র ছেলে নিউ ইয়র্কে ফোটোগ্রাফির দোকান খুলে বসেছে, ব্লাডি ইন্ডিয়ার এই নোংরা বাজারের অন্ধকার দোকানে বসে, ঘেমো ফতুয়া পরে, হাঁটুর ওপর কাপড় তুলে থাই চুলকোতে চুলকোতে ডাল আর শুকনো লংকা বেচতে তার বয়েই গেছে। তার ওপর ওনার নিজের হাই কোলেস্টেরল,শুগার। তার মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল দুটো চোখেই ছানি, শুগার বলে কাটাতেও পারছেন না। তারপর আজকালকার ছেলেছোকরাদের মতিগতি,আইপিএলে টাকার খেল, মমতা ও মোদীর তুলনাত্মক রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি কোনপথে, হিন্দি সিনেমাতে সংস্কৃতির অবক্ষয় ইত্যাদি অনেক মনোজ্ঞ আলোচনার শেষে নমস্কার করে উঠবো, ভদ্রলোক বললেন চলুন, রাস্তার মোড় অবধি আপনাকে ছেড়ে দিয়ে আসি।
যথারীতি ভদ্রতা করে বলতেই হল, "আরে না না, হেঁ হেঁ, তার আর দরকার হবে না।"
তিনি স্মিত হেসে বললেন "আরে চলুন চলুন, আমারও কাজ আছে ওদিকে।"
খুব সিরিয়াস কাজ নাকি? কোথাও নামিয়ে দিয়ে যাই?
জানা গেলো তা নয়, কাছেই বাবুলালের লেড়কা নতুন ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান খুলেছে, একটা মোবাইল না কিনলে খারাপ দেখায় খুবই, তারপর একটু লোকাল রেলস্টেশনে যাবেন, পরের সপ্তাহে আমেদাবাদ যাবার ট্রেইনের টিকেটটা কনফার্ম হয়েছে কি না জানতে, তারপর ইলেক্টিসিটি আর গ্যাসের বিল জমা দিতে আসবেন পাড়ার মোড়ের মোবাইলের ক্যাশকার্ডের দোকানটায়, যেটা ওনার ছেলের ছোটবেলার ল্যাংগোটিয়া ইয়ারবন্ধুটি এই রিসেন্টলি খুলেছে। দশ টাকা পার বিলের বিনিময়ে ওরাই সব টাকা জমা করে দিয়ে আসে। কিছু সবজি ওগ্যায়রাহ ওগ্যায়রাও কিনতে হবে, তাই...
একটু অবাক হলাম। আজকালকার দিনে এসব কিনতে বা করতে কেউ আবার বাইরে বেরোয় নাকি মশাই? আপনার হাতে দিব্যি দেখছি দামি মোবাইল ( 'লেড়কানে ভেজা, বাহোত কিমতি হ্যায়'), আরে অ্যাপ ডাউনলোড করুন, অর্ডার দিন, বাড়িতে এসে পৌঁছে দিয়ে যাবে যে! তার ওপর ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক, বোনাস ফ্রিবিজ, এই আনন্দবাজারে লোকে লুটেপুটে নিচ্ছে যে দাদা। আপনি এখন হেঁটে চললেন এদ্দুর এই সব করতে? বাড়িতে দুদুটো কাজের লোক থাকতেও?
ক্যায়সে হোতা হ্যায়? অ্যাপ জিনিসটা তো মালুম হ্যায়, কিন্তু...
কিন্তু আবার কি স্যার??? মোবাইল কিনবেন,আরামসে কিনুন না! অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট বাদ দিয়েও আরও একশোটা অ্যাপ আছে সস্তায় মোবাইল কিনবার, হেবি ডিসকাউন্ট, বাবুলালের লেড়কার সাধ্যই নেই ওই প্রাইস অফার করে। দুমিনিটের মামলা কাকা, ঘরে বসেই। আর টিকেটের স্টেটাস জানতে সেই স্টেশন যাবেন?? হ্যা হ্যা হ্যা হাসালেন কর্তা। ইরেইল ডাউনলোড করুন, তাছাড়াও আইআরসিটিসিরও সাইট আছে, বেফিকর আঙুল টিপবেন, দুমিনিটে স্টেটাস জ্বলজ্বল করে আপনার স্ক্রীনে, হেঁ হেঁ...ট্রেন তো বাদই দিন, ফ্লাইট বুক করুন, ট্রেন বুক করুন, ট্যাক্সি বুক করুন, হোটেল বুক করুন...অ্যাপ আছে গন্ডাগুচ্ছের এদিকওদিক... কয়েকমিনিটের ওয়াস্তা, স্মুদলি আপনার সব জরুরত, সব মুশকিল আসান করে দেবে চুটকি মেঁ। আর ইলিট্টিরির বা গ্যাসের বিল জমা দিতে এত কান্ড?? খ্যাঁক খ্যাঁক খৌয়া খৌয়া ও হো হো হো, উফফফ হাসালেন দাদা। পেটিএম আছে, মোবিকুইক আছে, তিরিশ সেকেন্ডে পেমেন্ট শেষ। নো হ্যাসলস ডিয়ার স্যার। তার ওপর ক্যাশব্যাক, মাই গুডনেস, ক্যাশব্যাক!!! মানে হাজার টাকার কথা বলে হাজার টাকার বিল দিলেন, টুক করে দেখলেন একশোটাকা আপনার কাছেই ফিরে এলো, কি মজা, না? আর আপনি চললেন কোঁচড়ে ক্যাশ নিয়ে ছেলের বন্ধুর দোকানে, ছ্যা ছ্যা। আরে অশোকজী, অওর ছোড়ো, আজকাল তো সবজি অবধি ডেলিভার করে দিচ্ছে এই স্টার্টাপ গুলো। ঘরে বসে ডাল, সবজি, দুধ, মাখন...
আমার ওয়াইফের কচি পালং ভালো লাগে, কচি পালং, একটু শক্ত লাল কুমড়ো আর ছোট ভিন্ডি।বড় ভিন্ডি খেলে ওর শরীর খারাপ করে। আপনার অ্যাপওয়ালারা ওসব বেছে নিয়ে আসবে? আমি যেমন করে দেখেশুনে বেছে আনি, আমার গিন্নির জন্যে?
ইয়ে, বোধহয় না। তবে কিনা....
বাবুলাল বহুত আচ্ছা দোস্ত ছিল, গত বছর পারেল যাবার সময় লোকাল থেকে পড়ে যায়। বাচ্চা ছেলে ওর, এখনো গ্র‍্যাজুয়েশন দেয়নি,দোকান খুলেছে...
হেঁ হেঁ, সে তো বটেই.... তবে কি না,
আর স্টেশনের মাস্টার পারভেজজী অনেক দিন ধরে আছেন, অবরে সবরে হেল্প করেন, বুকিং ফুল থাকলেও একটা সীটের ব্যবস্থা করেই দেন। উনি ফাঁকা থাকলে একটু বসেও আসি। উনি অনেকটা ছোট যদিও আমার থেকে, একটু গল্পগুজবও করি। পারভেজজীর একটাই মেয়ে, শাদির পরে কি হল কে জানে, উও পাগলি গায়ে আগ লাগিয়ে মরে গেছে, বিবিও পাগল হয়ে গেছে, একটু কথা বললে ভালো লাগে, এই আর কি।
আর বন্ধুর ছেলে, আমার ছেলের মতই, ব্রাইট বয়, বাপ মিউনিসিপালিটির গেটকীপার ছিল। খেটে খাচ্ছে, দশটাকা দিলুম না হয়। চাচা চাচা বলে, চা খাওয়ায়, লোকজন আসে, দুটো কথা হয়, হালহকিকত জানতে পারি সব।
আহ, সে তো বুঝলুম, কিন্তু টেকনোলোজির এই দুনিয়াতে....
আমার ভালো লাগে দাদ্দা। দুকানে যাই, মার্কেটে যাই, দরাদরি করি, ঝগড়া করি, আমার ভালো লাগে, সমঝে? লোকজনের সংগে কথা বলি, হাসি মজাক হয়, আমার খুব ভালো লাগে। এত লোকজন, এত আলো, এত হাসি, এত মানুষ। আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজকালকার নওজোয়ানদের সবাই দেখি মাথা নিচু করে মোবাইলে টুকটুক করে চলে, পাশের মানুষের সংগে বিলকুল বাতচিত করে না। আমার খারাপ লাগে দাদা। এত কিসের কামকাজ তোদের হামেশা?
আরে অশোকজী, আজকাল টেকনোলোজি এত এগিয়ে গেছে, সব কিছু অ্যাপের দৌলতেই হাতের মুঠোয়, আপনি বেকার বেকার সেন্টিমেন্টাল হচ্ছেন...
আচ্ছা? সব কিছুরই অ্যাপ আছে বলছেন দাদা?
আছেই তো, অলমোস্ট অল। আপনার এখন কিসের অ্যাপ লাগে বলুন, অ্যাঁ?
বৃদ্ধ প্রাজ্ঞ ব্যাবসায়ীটি ছোখ কুঁচকে তাকালেন আমার দিকে, আলতো করে চোখ টিপলেন,
আই অ্যাম সেভেন্টি ফাইভ দাদা। যে কোন দিন উপর থেকে বুলাওয়া আসবে, আসবেই। একটা কথা বলুন তো, সেই দিন আমার আরথি ওঠাবার জন্যে চারটে কাঁধ লাগবে। আছে নাকি দাদা এমন কোন অ্যাপ যে আমি মরলেই আশেপাশের থেকে জান পেহচান চারটে কান্ধা জোগাড় করে দেবে?
আমি মূক ও স্থবির!!!
আছে নাকি দাদা? আমার বউ, আমার ছেলে এরা আমার বডির ওপর কেঁদে পড়লে একটু শান্ত করার অ্যাপ? নেই বাবুমশাই, নেই। আমি বলছি নেই। তাই আমি এদের কাছে যাই। কথা বলি, হাসি মজাক করি, জরুরত পড়লে দেখি। এরাও আমাকে দেখে। এক হপ্তা বাজারে আমাকে না দেখলে আমার খোঁজ করতে আসে। অ্যাপ আসে না দাদা, মানুষ আসে। এখন বলুন, আছে নাকি কোন অ্যাপ, আমার আরথি ওঠাতে চারটে কান্ধা দেবার জন্যে?
বাজে বুড়ো, খচ্চর বুড়ো, নিজেকেই মনে মনে বললাম এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ফেরার সময়। আমাকে তাহলে শুরু করতে হবে নাকি এখন থেকেই? চারটে বন্ধু ফিক্স করে রাখতে হবে?
আমি মরে গেলে চারটে কাঁধের জন্যে???
ও মশাই, আছে নাকি এমন অ্যাপ, মরে গেলে চারটে কাঁধ দেবার জন্যে? অ্যাঁ? আছে?

আমরা চাই

কৃতজ্ঞতাঃ অরুণাভ মুখোপাধ্যায়

আমরা যারা কং-সিপিএম জোটের জয় চাই হ্যাঁ, আমরা যারা কং-সিপিএম জোটের জয় চাই, তারা চাই পশ্চিমবঙ্গে আবার ৩৪ বছরের লৌহমুষ্ঠি ফিরে আসুক।আমরা চাই, আবার কৃষকের জমি, বিনা অনুমতিতে কেড়ে নেওয়া হোক।আমরা চাই, এল-সি-এসদের দাপাদাপি, বাজারে-বাজারে বিশাল পার্টিঅফিস।আমরা চাই ঝকঝকে শোকেস, আর ভুসিমালের গোডাউন। আমাদের স্মৃতি ক্ষীণ, আমরা কেশপুর গণহত্যা ভুলে গেছি, তাপসী মালিক কে মাথা থেকে মুছে দিয়েছি, নন্দীগ্রাম, ভিখারি পাসোয়ান, বানতলা এসব আর কোন ফ্যাক্টর নয়। আমরা চাই, আবার চিটফান্ডরা লাইসেন্স পাক, আবার রশিদ খান জন্মাক ও বোমা বাঁধুক, লক্ষণ শেঠ টাটা-অম্বানিদের তুল্য সম্পত্তি করুক, দমদমে অন্য কোন সুভাষ চক্রবর্তী-অমিতাভ নন্দী দাপিয়ে বেড়াক, বিডি সিং-মজিদ মাস্টার-অনিল বসুদের মত কৃতি বাঙালিরা ফিরে আসুক।প্রতিটা ইউনিভার্সিটিকে আবার লৌহ-নিগড়ে বেঁধে ফেলা হোক, এসেফাই থাকবে, ওয়াই-ফাই থাকবে না। যে অন্য রাজনীতি করবে তাদের নামে গাদা গুচ্ছের মিথ্যে মামলা হোক, আমরা চাই। আমরা চাই, উন্নয়ণের নামে ভোট না হতে, আমরা চাই রাজ্যজুড়ে মধ্যমেধার চাষ, আমরা নিজেরা দুটাকার চাল না পাই তবু যেন সিপিএম নেতার ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা পায়! আমরা চাই, হিন্দু হোস্টেলের গেটে ছাত্রনেতার পিস্তল নিয়ে ঘোরাঘুরি। আমরা চাই, এমন জোট জয়লাভ করুক, যাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোটা অবধি খায় না মাথায় দেয় আমরা জানি না। কিন্তু জানি, কন্যাশ্রী বন্ধ হোক, সবুজ সাথী বন্ধ হোক। শ্রী শ্রী অশোক মিত্রের পথ-অবলম্বন করে আমরাও ঘৃণা-ঘৃণা-ঘৃণাভরে 'সেই মহিলার' বিরুদ্ধে বোতাম টিপতে চাই, কিন্তু ভালোবেসে-ভালোবেসে-ভালোবেসে কার পক্ষ নেওয়া যায় সেই ব্যাপারে নির্বিকার। কাউকে ঘৃণা করতে গিয়ে মোক্ষম এমন কোন ভুল আমরা করতে চলেছি না তো, যার দায় আরেকটা ৩৪ বছর দিয়ে চোকাতে হবে!

Wednesday, April 20, 2016

Singur land acquired for public purposes, not for Nano project, SC told

IANS | New Delhi Apr 19, 2016 11:54 PM IST

The acquisition of Singur land for public purpose and then handing it over to Tata Motors for its Nano small car project was illegal and in breach of land acquisition law, the Supreme Court was told on Tuesday.
The Association for the Protection of Democratic Rights, which is seeking the restoration of Singur lands to the farmers from whom it was acquired, told the bench of Justice V. Gopala Gowda and Justice Arun Mishra that the land acquired for the public purposes could not be given to Tata Motors for the Nano small car project.
Telling the court that there was a separate procedure under the land acquisition law for acquiring land for a project of a private company, counsel Prashant Bhushan said that the land acquired by the government for public purposes could be given to a private company only for constructing dwelling units of the workers employed with it and no other purposes.
"In case of private company, the land can be acquired for building houses for workers but for government companies it can be for any other purposes also," he said, citing a 2011 apex court verdict backing his position.
At the outset of the hearing which lasted for about 20 minutes, the West Bengal government told the court that 997.11 acres of land was acquired in Singur in 2006, and though the then Left Front government acquired the land for public purposes but its stated object was Nano small car project of Tata Motors.
Telling the court that Tatas eventually abandoned the project and moved to Gujarat, the court was told that after acquiring the Singur land, the state government transferred it to West Bengal Industrial Development Corporation which in turn gave it to Tata Motors.
The court had commenced hearing on Mamata Banerjee-led Trinamool Congress West Bengal government's plea challenging the Calcutta High Court June 22, 2012 order holding unconstitutional its Singur Land Rehabilitation and Development Act to reclaim 400 acres given to Tata Motors for Nano car project.
The Singur Land Rehabilitation and Development Act was enacted by the Trinamool government to reclaim the land so that it could be returned to the farmers who had resisted the takeover of their lands and had not even accepted the compensation in lieu of that.
The hearing of the matter will continue on Thursday.

Advertisement
Ad

Top 3 Multibagger Stocks - 2016: StockAxis™
  
X
Share Box
Permalink

প্রসঙ্গ সুপ্রীম কোর্টে সিঙ্গুর জমি অধিগ্রহণ মামলা

কৃতজ্ঞতাঃ আকাশ বোস
উল্লেখ্য, সিঙ্গুর নিয়ে মূলত দুটি মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। একটি, বাম আমলে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে জমি দিতে অনিচ্ছুকদের মামলা। অন্যটি, রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ‘সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলেটশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাক্ট ২০১১’ এনেছিল, তা বৈধ না অবৈধ? কলকাতা হাইকোর্ট মমতার সরকারের আইনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ২০১২ সালে সর্বোচ্চ আদালতে এসেছে বিদায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই থেকে গত প্রায় চার বছর ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে।
তবে সেই ‘সিঙ্গুর আইনে’র ফয়সালার আগে জমি অধিগ্রহণসহ অনিচ্ছুক কৃষকদের যে মামলা রয়েছে, তা প্রথমে শুনব বলে জানিয়ে দেয় আদালত। রাজ্য সরকার, অনিচ্ছুক কৃষক, জমিরক্ষা কমিটির মতো সংগঠনের আইনজীবীরা এতে উৎসাহী হয়। কিন্তু টাটা মোটরসের পক্ষ থেকে মামলা সামান্য পিছনোর আবেদন করা হয়। একবার নয়। একাধিকবার। যদিও বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেয়, না। পিছনো যাবে না। লাগাতার শুনে সিঙ্গুর মামলার নিষ্পত্তি করে দিতে চাই। যদিও এদিন বিকাল চারটে বেজে যাওয়ায় শুনানি শেষ হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলা শোনা হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। এদিকে, বহুদিন তালিকাভুক্ত হয়ে সময়াভাবে শুনানি না হলেও পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী আবহের মধ্যে এদিন সুপ্রিম কোর্টে ফের সিঙ্গুর মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ তো বটেই, খোদ শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বেঞ্চও যে আগ্রহী, তা এদিন শুনানির শুরুতেই বুঝিয়ে দেন বিচারপতি ভি গোপাল গৌড়া। শুরুতেই তিনি বলেন, ওহো, সেই বিতর্কিত আইন নিয়ে মামলা? পাশে বসা অন্য বিচারপতি (কলকাতা হাইকোর্টের প্রক্তন প্রধান বিচারপতি) অরুণ মিশ্র তাঁকে মনে করিয়ে বলেন, হ্যাঁ সিঙ্গুর মামলা।

উপনিবেশবাদ বিরোধী চর্চা - কি পড়ব, কেন পড়বঃ কি জানব কেন জানব

নীলকান্ত সোমাইয়াজীর তন্ত্রসংগ্রহ পড়া এবং উতফুল্ল হয়ে সেটি বন্ধু পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়ার প্রেক্ষিতে আমার এক পিতাসম দাদাস্থানীয় বন্ধু প্রশ্ন তুলেছেন আমি আদৌ বিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিদ্যা পড়েছি কি না। ব্যক্তিগত আক্রমণ সরিয়ে সরাসরি ঢুকে পড়াযাক নিজেদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায়, যার মাধ্যমে আমরা যারা ভারতের প্রযুক্তির/জ্ঞানচর্চা/বিজ্ঞানের ইতিহাস খুঁজতে কাজ করছি বলে দাবি করছি, তারা এই বইটি বা এই ধরণের বই কেন পড়ছি বা পড়া দরকার, বা এই কাজটি কেন করছি তার উত্তর খুঁজছি। বুঝতে পারছি এটাও একটা উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ। দাদার আক্রমন গায়ে না মেখে ঢুকে পড়া যাক নিজেদের সঙ্গে বাক্যালাপে।
প্রথমদিকে আমি শব্দটি খুব বিব্রত করবে পাঠকদের - যেহেতু দলের হয়ে ব্যক্তি আমাকেই, আমার যোগ্যতা নিয়ে, ত্রিকোণমিতি আমার খুব প্রিয় ছিল। যদিও আমি পড়াশোনায় মাঝারি গোছের ছাত্র ছিলাম।
কিন্তু আমরা মনে করি না কোন ব্যক্তিরর/দলের অধীত বিদ্যাচর্চা তার/তাঁদের পাঠ্যক্রমে না থাকলে সেই বিদ্যাচর্চার যোগ্যতা তার/তাঁদের থাকে না। এটা পশ্চিমকেন্দ্রিক ভাবনা - ভারতের মত বহু বৈচিত্রের দেশে পড়াশোনায়/জ্ঞানচর্চায় এ ধরণের শ্রেণী বিভাগ ছিল না কোনো দিনই। এ পোড়ার দেশে এ রকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে পাণিনী থেকে জগদীশ্চন্দ্র - বেশি তথ্যের বোঝা বাড়াব না।
গত দুশ বছরে দেশিয়, বিজাতীয় বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে দেশের ইতিহাসচর্চার কি হাল হয়েছে তা সর্বক্ষণ বিষ্ফারিত চোখে দেখছি।আমরা ভারতীয় প্রযুক্তি/বিজ্ঞান/অঙ্ক ইতিহাসের ছাত্র। পশ্চিমি বিজ্ঞানের ইতিহাসের বিশেষজ্ঞদের হাতে পড়ে ভারতীয় প্রযুক্তির আর বিজ্ঞানের ইতিহাসের অবস্থা কি হয়েছে তা হরবখত অনুভব করি - জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিমান নাথ জানেনই না ভারতে আর্যভট্ট বলে কোন গণিতবদ ছিলেন না, ছিলেন আর্যভট, শুদ্র, সরকার পোষিত এক বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রে তার মূর্তিতে পৈতে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নার্লিকর সম্পাদিত দশম শ্রেণীর এনসিইআরটির অঙ্ক বইতে আলেকজান্দ্রিয়ার অঙ্কবিদদের ককেসাসিয়ান চেহারায় দেখানো হয়েছে। টেলর সিরিের মত বহু প্রমান তার বহু আগে এদেশে উতপন্ন হলেও তাকে আজও এদেশে পশ্চিমি নামে পড়ানো হয়, আর কোপার্নিকাস যে এশিয় জ্ঞান টুকলি করেছেন তা বলার যোগ্যতা আজও বহু জ্ঞানচর্চকের হয় নি।
আমরা জানি, ভারতীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস আমাদের মত দেশজ মানুষদের দিয়েই সাধন করতে হবে, তার আগে প্রয়োজন নিজেদের চোখে পরানো পশ্চিমিপ্রভূত্বমূলক চশমা খোলা, উপবিনেশবাদ থেকে উত্তরণ আর নিজের দেশ আর তার মানুষকে জানা, তাদের কথা শোনা, তাদের বিদ্যাচর্চা(বিধিবদ্ধ বিদ্যালয়ীও নাও হতে পারে) সম্বন্ধে অবহিত হওয়া।
জ্ঞানচর্চকদের নানান স্থানে বিশেষ করে পশ্চিমের স্বার্থে টিকি বাঁধার কারণে সে কাজ খুব বেশি হয় নি। কেউ কেউ করছেন সাহস করে, তাঁদের জ্ঞানচর্চায় এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকান্ত রাজু ভারতীয় অঙ্ক, বিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চায় উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানায় তাকে ভারত ছেড়ে মালেশিয়ায় পড়াতে চলে যেতে হয়েছে। ভারতে প্রোথিত পশ্চিমি উপনিবেশবাদের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে - জ্ঞানচর্চকেরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত - টিকি বাঁধা পশ্চিমি প্রভুত্ববাদে।
আমাদের সুবিধে, আমাদের বাঁধা গত নেই। আমাদের কোন পিছুটান নেই। ফলে আমাদের রাস্তা তৈরি করি আমরাই।
আমরা কোন তাত্ত্বিকতায় বাঁধা নই। ফলে বহু মানুষ রুষ্ট হবেন।
আমরা নাচার।
শুধু জানি এ কাজ আমাদেরই। আমাদেরই করতে হবে।
ভিমরুলের চাকে ঘা পড়লে কিছু কামড় খেতে হয় তাও জানি।

Tuesday, April 19, 2016

উপনিবেশবাদ বিরোধী চর্চা - ভারতের নিজস্ব জ্ঞানচর্চাকেরলিয় বিদ্যাচর্চা এবং নীলকান্ত সোমাইয়াজী

(http://iks.iitgn.ac.in/…/The-Traditional-Indian-Planetary-M…)
কৃষ্ণমূর্তি রামসুব্বামনিয়ম
শুদ্ধ ভদ্রলোকীয় ইওরোপবাদী না হলে যে কোন ভারতীয় জ্ঞানচর্চাকারী ব্যক্তিই স্বীকার করবেন ইওরোপে গ্রহনক্ষত্র জ্ঞান বিকাশের বহু আগে থেকেই কেরল বিদ্যাজীবিরা সে বিষয়ে বহু বছর এগিয়েছিলেন। সঙ্গমগ্রামএর মাধবএর(১৩৪০-১৪২০) সময় থেকে যে কেরলিয় জ্ঞানচর্চা শুরু হয় তা প্রবাহিত হয়েছিল বহু শতাব্দ পরেও। কেরলিয় বিদ্যাজীবিরা পাইএর অসীম সিরিজ, সাইন কোসাইন চলক এবং তার ফাস্ট কনভারজেন্ট আপ্রক্সিমেশনও নির্ণয় করেন। এই লেখায় লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে মাধবের শিষ্য বটসেরির পরমেশ্বর(১৩৮০-১৪৬০) ৫৫ বছর ধরে গ্রহ চলাচলের নানান তথ্য নিরূপন করেন। তিনি পুরোনো পরহিত ব্যবস্থার স্থলে দ্রাগ-গণিত চালু করেন। ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায় তাঁর অবদান সুপ্রচুর।
ত্রাক্কান্তিয়ুরের নীলকান্ত সোমাইয়াজী(১৪৪৪-১৫৫০) পরমেশ্বরের শিষ্য দামোদরের পুত্র। তিনি ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যায় প্রভূত অবদান পেশ করেন। ১৫০০ সালে রচিত তন্ত্র সংগ্রহতে নবতম গ্রহনক্ষত্রের অবস্থান নতুন করে রচনা করেন। বিশেষ করে মন্দচ্চ আর শীঘ্রচ্চ গ্রহগুলি বিষয়ে তাঁর গণন কৃতি অসাধারণ। ফলে পূর্বসূরী বা ইসলামি অথবা গ্রিকো-ইওরোপিয় জ্ঞানচর্চকদের থেকে তিনি কয়েক কদম এগিয়েছিলেন। কেপলার তারো একশ বছর পরে এই কাজটি করবেন। নীলকান্ত যে তাত্ত্বিক গণনা করেছেন, তাঁর সঙ্গে কেপলারের গণনার সাযুজ্য অসাধারণ।
ফলে যে পথ ভেঙে পথ তৈরি করার কাজটি ইওরোপের আগে নীলকান্ত সোমাইয়াজী করেছেন, এবং তা ইওরোপতুল্য হয়েছে এমন ইওরোপিয়মুখ্যতায় আমাদের আস্থা নেই - বরং দাবি তুলব এই জ্ঞান কি সত্যিই ইওরোপে গিয়ে সেখানে 'নতুন' জ্ঞান সৃষ্টিতে সাহায্য করেছিল?
তিনি আর্যভটিয়-ভাষ্যে কেন তিনি নতুন করে গ্রহ নক্ষত্র বিদ্যা আলোচনা করতে গেলেন সে বিষয়ে বিশেদে লিখেছেন। তাঁর কৃতির আগে ভারতীয় কেন, বিশ্বে নানান জ্ঞানচর্চায়, পৃথিবীর কক্ষের বাইরের আর তার কক্ষের আর সূর্যের মধ্যে গ্রহের অক্ষাংশ নির্নয় করা হত আলাদাভাবে। প্রথমোক্ত গ্রহগুলির অক্ষাংশ নির্ণয় করা হত মন্দষ্ফূট তত্ত্বের দ্বারা আর দ্বিতীংশের নির্ণয় হত শীঘ্রচ্চ তত্ত্বের দ্বারা। নীলকান্ত প্রথম বললেন, অন্যকিছুর নয়, একমাত্র গ্রহের সাপেক্ষে এই অক্ষাংশ নির্নয় হয়, তাঁর উভয় গ্রহের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যাবে শীঘ্রোচ্চ তত্ত্বের দ্বারা।
এবং এই বইতে তিনি তাঁর প্রস্তাবিত গ্রহতন্ত্রের ছবিও এঁকেছেন। নতুন তত্ত্ব তিনি আরও বিশদে বর্ণনা করলেন গোলসার আর সিদ্ধান্ত-দর্পনে। তাঁর শিষ্য জ্যেষ্ঠদেব গণিতযুক্তিভাষা-য়(১৫৩০খ্রি) তাঁর গুরুর কাজ আরও বিশদ-ভাবে বর্ণনা করবেন।

Monday, April 18, 2016

উপনিবেশবাদ বিরোধী চর্চাঃ কলণবিদ্যা আর ঔপনিবেশিক ঘোমটা

দেশ পত্রিকায় সম্ভবত মৌলিক জ্ঞানচর্চা বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং বাঙালিকে ঔপনিবেশিক জাতিবাদিতার ভুত আজও ছাড়ে নি।
সম্প্রতি উক্ত পত্রিকায় বিমান নাথ 'ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়' নামক একটি প্রবন্ধ লিখেছেন সেখানে এই দুই ভুতেরই রমরমা। বিমানবাবুর প্রবন্ধটি গত বছর(২৩ জুন ২০১৫) ফ্রন্টলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রবন্ধটি তার মোটামুটি বঙ্গানুবাদ আর মোটামুটি ইওরোপমুখ্যতার ঔপনিবেশিক জ্ঞানচর্চায় ভারতের জ্ঞানচর্চা সম্বন্ধে এত দিন যা দাবি করা হয়েছে, তিনিও সেই রাস্তায় হেঁটেছেন, কিছুটা ব্যজস্তুতির ঢঙে।
এই প্রকাশনীর বিজ্ঞান সম্পাদক পথিক গুহ পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের বাইরে আর কোন জ্ঞানচর্চার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধে সেই প্রবণতা পরিষ্কার - বিমান নাথের প্রবন্ধের নামকরণেও সেই প্রবণতা স্বচ্ছ - ক্যালকুলাস নামক জ্ঞানচর্চার তার জন্মের থেকেও পুরোনো ভারতীয় শব্দ 'কলণ'এর অস্তিত্ব রয়েছে - সে সম্বন্ধে হয় তিনি সচেতন নন, না হয় স্বীকার করেন না।
যাই হোক বিমান নাথের পূর্ব প্রকাশিত প্রবন্ধটি এবং বর্তমান অনুবাদ প্রবন্ধটির মূল বক্তব্য ভারতে কলণবিদ্যা বিকশিত হয় নি। এটি ইওরোপে বিকশিত হয়েছে। ভারতে যা বিকশিত হয়েছে তা শুধু পশ্চিমের ভাষায় 'প্রোটো ক্যালকুলাস'; দেশ পত্রিকার শীর্ষকদাতার কলমে তা হয়েছে ক্যালকুলাসের ভারতীয় আত্মীয়। তিনি স্পষ্ট বলছেন, 'আমরা সাধারণত জানি যে ক্যালকুলাস বা কলনবিদ্যা আবিষ্কার করেছিলেন নিউটন এবং লাইবনিতজ'।
এ নিয়ে পরম অঙ্ক সংখ্যায় বিশদে চন্দ্রকান্ত রাজুর প্রবন্ধ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি স্পষ্ট দেখিয়েছেন কিভাবে ভারত থেকে কলনবিদ্যা বিদেশে চুপিচুপি জেসুইট পাদ্রিদের হাত ধরে ইওরোপে গিয়েছে, আর সেগুলি কিভাবে সেখানে চর্চিত হচ্ছে।
সব থেকে বড় কথা বিমানবাবু আর দেশ কর্তৃপক্ষ আর্যভটকে সারা প্রবন্ধে আর্যভট্ট বলে গেলেন। এই ঔপনিবেশিক জাতিবাদিতা আর কবে বাঙালী ছাড়বে?
কেননা শুদ্র ভারতে আর্যভট শুদ্র ছিলেন। তাঁর নাম আর্যভট্টে বদলে দিলে সেটি উচ্চবর্ণ হয়ে যায়, এই লুকোনো জাতিবাদিতা আর কত দিন?
এ বিষয়ে চন্দ্রকান্ত রাজু কাফিলায় একটি প্রতিবাদপত্র লিখেছেন - সেটির সূত্র দেওয়া গেল।
এ নিয়ে কি একটা প্রতিবাদ পত্র বাংলায় হতে পারে না?
বন্ধুরা কি বলেন?
https://kafila.org/2015/04/14/frontlines-calculus-of-caste-c-k-raju/

Thursday, April 14, 2016

স্থায়ী হোক বাংলার উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলন জয় হোক বাংলার নিজস্ব পথের

উপনিবেশবাদ মুক্ত শুদ্র বাংলায় সক্কলকে স্বাগত।
মুক্তি সহজে আসে নি।
তিল তিল করে গড়ে তুলতে হয়েছে এই মাটির বাড়ি।

গত পাঁচ বছর ধরে গ্রাম বাংলা একটু একটু করে উপনিবেশবাদের কব্জা থেকে বেরোতে চাইছে।
গ্রাম বাঙ্গালীর নিজস্ব উতসব - ভক্তা, পাটভক্তা, দেয়াসীদের তিল তিল কৃচ্ছসাধনে পালিত গাজন, নীল ষষ্ঠী আর চড়ক শেষে বাংলা গত পাঁচ বছরে যে নিজের পথ তৈরি করেছিল, সেই পথ আরও সুগভীর করতে উপনিবেশবাদ বিরোধী মমতাময়ী শুদ্র বাংলার পাশে দাঁড়ানো একান্ত জরুরি।
এই মুক্তি আজও নিরাপদ নয়।
একদিকে ইংরেজি শিক্ষিত পরিশীলিত ইওরোপমুখ্য ভদ্রলোকেদের দল, অন্যদিকে যুযুধান বাংলার প্রজ্ঞাবাহী শহুরে, গ্রামীন শুদ্ররা আর শুদ্রবন্ধুরা।
এটি একটি খুইয়ে ফেলা নিজস্বতা রক্ষার আন্দোলন।
এই আন্দোলন ভদ্রলোকের স্বার্থ বিরোধী, শহুরে অভদ্রলোকিয় আর গ্রামীনদের স্বার্থবাহী।
লুঠ, খুন আর শাসন বিরোধী যে গ্রাম বিকাশের পথ বাংলা দেখিয়েছে তা স্থায়ী হবে এই লড়াইয়ে।
এই লড়াই আপনার আমার প্রত্যেকের বাঁচার লড়াই।
এ লড়াই গ্রাম বাংলার নিজস্বতা রক্ষার লড়াই।
এ লড়াই বাংলার উপনিবেশবাদ বিরোধী সংস্কৃতি, আর্থব্যবস্থা আর সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার লড়াই।
এ লড়াই জিততে হবে।।
হবেই।