Friday, July 11, 2014

দিনাজপুর মালদা ভ্রমণ৬, Organizational Activity At Dinajpur and Malda6

আকুলবালা আর তাঁর জামাই মাধব আর তাঁদের দলের সঙ্গে কথা বলে সেদিন রাতে আমরা মধুদার বাড়ি পৌছালাম।
পরের দিন সকালে গেলাম মালদায়। ক্ষেত্রীয় গান্ধী আশ্রমের দোকানে। আরও অনেক সোসাইটির দোকান বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এদের দুটো খোলা - একটা অতুল মার্কেটে অন্যটা বাজারের দোতলায় । এই মরা বাজারে দুটোই খুব খারাপ ব্যবসা করে না। ৩৫ লক্ষ আর ৫০ লক্ষ টাকার।
পরে গেলাম  পলাশদার দোকানে। শুনলাম আহবান এই সম্পাদক এসেছেন। এক কম বয়সী সুন্দরী, হাওড়ার কোনও কালেজের অধ্যাপিকা, পরম ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখছেন। অনেক কথা হল তাঁর সঙ্গে আর পলাশদার সঙ্গেও। আমরা জানালাম যে যদি মালদার প্রখ্যাতদের নিয়ে একটি মিলন মেলা করা যায় পুজোর পরে, তাহলে কেমন হয়। তিনি সাগ্রহে সমর্থন জানালেন। বললেন তাঁকে অনুষ্ঠানের সময় জানিয়ে দিলে তিনি পরিকল্পনা করে দেবেন।
পলাশদার মত এত ভাল বইএর দোকান আমি কোলকাতায় দেখিনি। তিনি বলছিলেন এই অপাঠ্য বই বিক্রি করে তো আর দোকান চলে না। দেখা যাক আমরা কিভাবে তাঁকে সমর্থন করতে পারি। তাঁর দোকান বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সক্কলের কর্তব্য।
সেখান থেকে গেলাম সুজাপুর। আসলে যেটি কোতোয়ালি নামে পরিচিত। ডায়মন্ড সোসাইটির কেউ ছিলেন না সেই বর্ষণ মুখর দুপরে। তাঁদের সব রয়েছে। কিন্তু নেই কাজ। তাঁরা বাজার থেকে রেশমের কাপড় তুলে নিয়ে বিক্রি করেন।
গেলাম জালালপুরের ক্ষেত্রীয় গান্ধী আশ্রমে যারা মালদার আর রায়গঞ্জের মোত তিনটে দোকান সামলান।
বিপুল পরিকাঠামো। না দেখলে বিশ্বাস হয় না। তাঁদের সঙ্গেও কথা হল। তাঁরা জানালেন হস্ত শিল্প রাখতে তাঁদের কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় আম,অলাদের সমর্থন ছাড়া এ কাজ করা যাবে না।
পরের দিন যাওয়ার কথা বহরমপুরের সমতিতে। জানাগেল তাঁরা কেউ থাকছেন না।
পরের দিন সোজা সকালে বেরিয়ে বাস ধরে রাতে পৌঁছলাম কলকাতা।
রাস্তায় ঠিক হল আমরা সাবান শ্যাম্পু বানাব।
মধুদা বললেন পয়সা জোগাড় হয়ে যাবে। 
আমার আরও প্রস্তাব ছিল গ্রামের পরম্পরার স্বাস্থ্য কর্মীদের তৈরি ব্যাথার তেল বাজার করা।
কলকাতায় এসে আমরা জগুবাজারে বিপ্লব্দের সঙ্গে বৈঠক করলাম। ওরা সাবান আর শ্যাম্পু তৈরির পদ্ধতি বলবে। 
কাল কথা হল সুদেবের সঙ্গে।
সে মোমবাতি করবে। আমরা সাবান। দুজনে মিলে তা খাদির দোকানে আর ওর চেনাশোনা বুটিকে বিক্রি করব।
আর একটা ওয়েব সাইট করব। ই কমার্স। একটি সংগঠন ২৫ হাজার টাকা বাজেত ডীয়েছে। ওরা ফোন করলে মিটিঙের সময় ঠিক হবে।

No comments: