Lokfolk লোকফোক forum of folk লোক tribal আদিবাসী culture সংস্কৃতি of West Bengal পশ্চিমবঙ্গ, বাংলা. LOKFOLK is Bengal বাংলা India's ভারতের traditional পারম্পরিক knowledge system জ্ঞানভাণ্ডার, history ইতিহাস, Indigenous technology প্রযুক্তি. We have two mass bodies গনসংগঠন Bongiyo Paromporik Kaaru O ও Bastro Shilpi Sangho; Bongiyo Paromporik Aavikaar Shilpi Sangho. Journal পত্রিকা, PARAM, পরম. Picture - KaaliKaach কালিকাচ, Dinajpur দিনাজপুর, Madhumangal মধুমঙ্গল Malakar মালাকার
Sunday, July 31, 2011
Fulia Taant Series2 - Weavers At Work - Various Weaving Instruments
Fulia Taant Series1 - Weavers At Work
Friday, July 29, 2011
Wednesday, July 20, 2011
অহিফেন ঠাকুর৩
আফিম আর পার্সি ব্যবসায়ীরা
সেদিনের বোম্বাই বা আজকের মুম্বই গড়ে উঠেছিল মালব অঞ্চলের উত্পাদিত আফিম, মুম্বই বন্দর হয়ে চিনে পাঠাবার উদ্বৃত্তের গুড়ে। বম্বে থেকে যে ৫০ জন পার্সি ব্যবসায়ী মালওয়া আফিম চিনে পাঠাতেন তার মধ্যে ছিলেন টাটা, ওয়াদিয়ারা(পারিবারিকভাবে জাহাজ তৈরির ব্যবসায় ছিলেন)ও আছেন। জামশেদজী টাটাই ব্রিটিশ আমলে চিনের সঙ্গে আফিম ব্যবসার একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন এমন নয়, বম্বের কম করে পঞ্চাশটি পার্সি পরিবার এই চোরাচালানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। এরা প্রায় সকলেই ম্যানিয়ার এন্ড কোংএর আফিমব্যবসার সঙ্গী ছিলেন। হাতে গোণা কয়েকজন যুক্ত ছিলেন রাসেল এন্ড কোম্পানির সঙ্গে। ১৯৩০এ প্রকাশিত D.E. Owenএর British Opium Policy in China and India সমীক্ষার ওপর নির্ভর করে স্মগলিং এজ সারভারসান, কলোনিয়ালিজম, ইন্ডিয়ান মার্চেন্টস এন্ড পলিটিক্স অব ওপিয়াম পুস্তকে(প্রকাশক লেক্সিংটন বুকস) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর ফারুকি লিখছেন ১৮২০ নাগাদ কলকাতার দ্বারকানাথেরমত বাঙালি ভদ্রলোকেদের আফিম ব্যবসার পথ ধরে, ভারতের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের পার্সি, গুজরাটি বানিয়া, কোঙ্কনি মুসলমানেদের এক বিশাল গোষ্ঠী মালব আফিম ব্যবসার পরতে পরতে জুড়ে ছিলেন। ১৮৩০, এই দশকটিতে ৪২টি বিদেশি কোম্পানি এই ব্যবসাটি চালাত, তার মধ্যে ২০টির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্সিদের হাতে। তত্কালীন ভারতের সমুদ্র পরিবহন আর আফিম ব্যবসা ছিল একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠমাত্র। সব থেকে বড় জাল ছড়ানো ছিল জামসেদজী জিজিবয়ের(১৭৮৩-১৮৫৯)। জিজিবয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সব থেকে বড় এজেন্সি হাউস, জার্ডিন ম্যাথিসনের অন্যতম অংশিদার। তিনি নাইট(১৮৪২), ব্যারণ(১৮৫৭) উপাধি পাওয়া প্রথম ভারতীয়। আফিম পরিবহনের জন্য তাঁর অনেকগুলি জাহাজও ছিল। তিনি ব্যাঙ্ক অব বোম্বের ছজন নির্দেশকের মধ্যে অন্যতম।
আজকের বম্বে শহরটি গড়ে উঠেছে বাঙালি-বিহারি, সিন্ধ্রি রক্ত জলকরা আফিম চাষী, পার্সি, হং আফিম ব্যবসায়ী আর চৈনিক আফিমখোরদের নেশার অর্থ ব্যবহার করে তৈরিকরা অর্থিক লাভের বনিয়াদের ওপর বসে। দশকের পর দশক জুড়ে অবৈধ আফিম ব্যবসার লাভ থেকেই আজকের দক্ষিণ বম্বের বিশাল বিশাল প্রাসাদোপম হর্ম্যগুলি গড়ে ওঠে। আজকের ধণতান্ত্রিক ভারতের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বম্বে শহরটির ভ্রুণটি তৈরি হচ্ছিল ১৭৯০ থেকে ১৮৪০এর মধ্যে অবৈধ আফিম ব্যবসার অপরিমিত লাভের পাহাড়ের ওপর বসে। মনে রাখতে হবে ১৮২০ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে, বম্বেতে অবৈধ আফিম ব্যবসা থেকে যে রূপো আসত তার পরিমান দ্বারকানাথেরমত কলকাতার ইংরেজ-বাঙালি ব্যবসায়ীদের লাভ্যাংশের থেকে অনেক অনেক বেশি। কলকাতা থেকে যে সরকারি আফিম চিনে অবৈধভাবে সরাসরি রপ্তানি হত, তার লাভের হকদার ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ কোম্পানি সরকার, ছিটেফোঁটা লাভের গুড়ের অংশিদার হতেন সেই ব্যবসাকে সাজনোগোজানের প্রক্তিয়াতে জুড়ে থাকা দালালেরা। এদের একাংশ বাঙালি।
কিন্তু বম্বের বিষয়টা ঠিক উল্টো। সরাকারকে নির্দিষ্ট একটা অংশ কর দিয়ে এই লাভের গুড়ের পুরো অংশটাই যেত এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পার্সি অংশিদারদের সিন্দুকে। চিনেদের আফিমের মৌতাতে রেখে পার্সিদের সেই লাভের অর্থে গড়ে উঠেছে মালাবার হিল, কাম্বালা হিল, ব্রিচ ক্যান্ডি, আঙ্ক্লেশ্বরেরমত জনপদসমূহ। পরে সেই অঞ্চলের বিলাসবহুল পার্সি বাংলোগুলো লিজে দেওয়া হয়েছে ইওরোপিয়দের। ১৮৩০-১৮৪০এর মধ্যে এই পার্সিরাই গড়ে তুলেছিলেন বম্বের শহরতলী অঞ্চলগুলো। যেমন কার্সেটজী মানকজীর অধিকার ছিল অনিকের, ঢাকজী দাদাজীর ভারাসাভি(আজকের ভারসোভা), ফারমজী কাওয়াসজীর পোয়াই লেন, জামসেদজী বোমানজীর ভিলে পার্লে, জুহু, কারসেটজী কাওয়াসজীর জর্জগাঁও, রতনজী এদুলজীর ঘাটকোপর, কৃষণরাও রঘুনাথের বোরবিদে এবং লক্ষ্ণণ হরিচাঁজদীর চিনচোলি।
আফিম বাম রাজনীতি আর টাটারা
ঐতিহাসিকেরা সাধারণতঃ নতুন বম্বের সঙ্গে আফিমের সম্পর্ক দেখাতে গিয়ে প্রায় প্রত্যেক পার্সি পরিবারের নামোল্লেখ করলেও টাটা পরিবারের নাম উল্লেখ করতে ভুলে যান। উদ্দেশ্যপূর্ণ কীনা বলা মুশকিল।
তবে সাধরণে প্রচলিত বিশ্বাস টাটারা অনেক রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে তবে আজকের ভারতের প্রধাণতম শিল্পপরিবার হয়ে উঠেছেন। রক্ত-ঘাম তাঁরা ঝরিয়েছিলেন, তবে তা চিনের সাধারণকে আফিম সেবন করাতে। গুজরাটের অধিবাসী জামশেদজী টাটার বাবা যোরাথ্রুষ্টবাদী পার্সি পুরোহিত নাসিরনজী টাটা এই পরিবারের স্রষ্টা। নাসিরনজী তার পুত্র জামশেদজী এবং অন্যান্য ভাইদেরকে হংকং, সাংহাই এবং ইংলন্ডে আফিম ব্যবসার দপ্তর খুলে দেন।
ভারতীয় বামপন্থীরাও এই পথের পথিক। অনেক বামপন্থীই টাটা পরিবারকে আদতে ভারতের পুঁজিপতিদের মধ্যে প্রহ্লাদরূপে দেখতে চান। বাংলার তদানীন্তন বামপন্থী সরকারের ন্যানো মোটর গাড়ির কারখানা করার উদ্যমেই তা স্পষ্ট। টাটা পরিবারের সঙ্গে ব্রিটিশ বামপন্থার যোগাযোগ অনেক দিনেরই, বলছেন মেরি এল কিয়েনহোলজ তাঁর ওপিয়াম ট্রেডার্স এন্ড দেয়ার ওয়ার্ল্ডস – ভলিউম টু- আ রিভিসনিস্ট এক্সপোজার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট ওপিয়াম ট্রেডার পুস্তকে। পুঁজিপতি জামশেদজী টাটার ছোট পুত্র স্যর রতন টাটা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের সঙ্গে মিলে সোসালিস্ট সার্ভেন্টস অব ইন্ডিয়া সোসাইটি গঠন করেন। জামশেদজীর পুত্র বামপন্থীদের দুর্গ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সএর একটি চেয়ারেরও স্রষ্টা। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল রতন এবং দোরাবজী টাটার কাজিন শাপুরজি সাকলতওয়ালা (১৮৭৪-১৯৩৬), যিনি টিসকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম কমিউনিস্ট সদস্য। তিনি একাদিক্রমে ১৯১৪ থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত ব্যাটারসি(লন্ডনের একটি বরো) থেকে পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন।
লেবেলসমূহ:
আফিম,
আফিম ব্যবসা,
উপনিবেশ,
ক্লিপার,
চিন,
টাটা,
দ্বারকানাথ ঠাকুর,
মালব
অহিফেন ঠাকুর২
মালওয়া আফিম
পূর্ব ভারতে আফিম তৈরির পরিকাঠামো ছাড়াও আরও রাজস্ব বাড়াতে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের বাইরে ব্রিটিশ আশ্রিত রাজন্যদের মালব অঞ্চল থেকে আফিম তৈরির পরিকাঠামো তৈরি হল। যাকে তত্কালীন কোম্পানি কাগজপত্রে মালওয়া আফিম বলা হচ্ছে। বাজারের আফিমের সরবরাহ আর চাহিদার তুল্যমূল্য অঙ্ক কষে ব্যক্তিগত উদ্যমীরা চাষীদের দাদন দিয়ে চাষ করাতেন। মালওয়া আফিম ব্যবসায়ীদের দুধরণের কর দিতে হত, প্রথমটি রাজ্যে, আর দ্বিতীয়টি রাজ্যটি ছেড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে প্রবেশ পথে, যা বম্বের বন্দর থেকে চিনের উদ্দেশ্যে রওনা করানোর ছাড়পত্র। ভারতীয় দালালদের সঙ্গে চিনে আফিম ব্যবসার ইংরেজদের অন্যতম সহযোগী ছিল হং ব্যবসায়ীরা। হংদের প্রত্যক্ষ্য সাহায্যে, ভারত থেকে চিনে অবৈধ আফিম রপ্তানির পরিমান বেড়েছে গুণোত্তর প্রগতিতে- ১৭৭৩এ ১০০০ চেস্ট, ১৭৯০তে ৪০০০ চেস্ট, ১৮২০র দশকের আগে ১০,০০০ চেস্ট, ১৮২৮এ ১৮,০০০ চেস্ট, ১৮৩৯এ ৪০,০০০ চেস্ট, ১৮৬৫তে ৭৬,০০০ চেস্ট, ১৮৮৪তে ৮১,০০০ চেস্ট। ১৮৮১তে এই রপ্তানি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছয়। ১৮০০ থেকে ১৮৩৯ সালের মধ্যে আমেরিকার ব্যবসায়ীরা চিনে সরবরাহ করে দশ হাজার চেস্ট আফিম। (সূত্র চাইনিজ রাউন্ডএবাউট, জনাথন স্পেন্স)।
চিনের সঙ্গে পুরো আফিম ব্যবসাটাই ছিল অবৈধ। চিন সম্রাট এই ব্যবসা অনুমোদন করতেন না। বৈধতা পেতে দুটি যুদ্ধ করতে হয়েছিল। প্রথমটিতেও সুবিধে হয় নি, পরে ১৮৫৬-১৮৬০এর ব্রিটেন-ফ্রান্সএর যৌথ দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধে বেজিং দখল করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৮৮০ পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের সবথেকে দামি রপ্তানি ছিল আফিম। দেড় কোটি চিনা আফিমখোরের চাহিদা মেটাতে রপ্তানির পরিমান ছিল চুয়ান্ন হাজার মেট্রিক টন। আফিম ব্যবসায় প্রত্যক বছর নয় কোটি তিরানব্বই লক্ষ পাউন্ডের রূপো টাকা আসত ভারত সরকারের সিন্দুকে। বৈদেশিক মোট রপ্তানির ১৬শতাংশ।
পার্লামেন্টের আফিম কমিশন আর বাঙালি রাজনীতিকরা
আফিমবাদীদের আতঙ্ক জাগিয়ে পার্লামেন্টারি কমিটির সমীক্ষায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট জানিয়ে দিল আফিম বেচতে সরকার আর বলপ্রয়োগের দ্বারস্থ হবে না। আফিম ব্যবসায় যাঁদের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে তারা কী ছেড়ে কথা বলবেন। আফিম থেকে তখন কোটি কোটি ডলার লুঠ করা ভারত সরকার, সেসময়ের আবসৃত উচ্চপদস্থ এক রাজকর্মচারী জেমস লায়ালকে ব্রিটেনে নিযুক্ত করল তাদের স্বার্থ দেখার জন্য। ভারতেও লড়াই করার জন্য সরকার মাদ্রাজের দ্য হিন্দু সংবাদপত্রকে নিয়েগ করল। ১৮৯৫তে দ্য হিন্দুতে লেখাহল, “Opium may be a great evil, but national bankruptcy is a greater evil”। তত্কালীন কংগ্রেস সদস্যদের সসোমিরা আবস্থা। তারা যেকোনো আফিম ব্যবসা বিরেধী আন্দোলনের পক্ষে নন, এ কথা সরাসরি জানাতেও যেমন পারছেন না, তেমনি আবার জনগণের ইচ্ছেও অমান্য করতে পারছেন না। এ বড় আজব কুদরতি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই কমিশনে সদস্যতা। মোট নয় সদস্যের মধ্যে ভারতীয় সদস্য থাকার কথা দুজনের। ভারত সচিবকে এই দুজন সদস্য মনোনীত করতে বলা হল। তত্কালীন বাংলার লেফটেনেন্ট গভর্ণর ম্যাকডোনেল জানালেন, ভারতীয় নেতারা আফিম ব্যবসা বিরোধিতা পছন্দ করেন না, তবে তাঁরা পার্লামেন্টের রাডিক্যাল সদস্যদের ভারতবন্ধু বলে মান্য করেন। তিনি লিখলেন, There is no Bengali whom I would recommend to your Excellency for nomination to the Opium Commission. There are several who are of the standing requisite, and whose views on the question are reasonable, such as Sir Jotendro Mohun Tagore and Sir Romesh Chunder Mitter. But they will not themselves, or run the risk of putting themselves, into opposition to the anti-opiumists, who are at the same time, like Mr. Caine, M. P. Congress men. They condemn the anti-opium agitation, but will not oppose it at the risk of alienating their English supporters in “Congress” matters. (সূত্র ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের জে এফ রিচার্ডস Opium and the British Indian Empire: The Royal Commission of 1895 journals.cambridge.org/article_S0026749X02002044)
সে সময়ের আগে প্রায় এক শতক ধরে সত্যি সত্যিই কলকাতা এবং মুম্বাইএর শহরেরে কোনো না কোনো উদ্যমী পরিবার হয় আফিম, নয় নীল অথবা নুনের ব্যবসা অথবা রপ্তানির কাজে সরাসরি জড়িয়ে ছিলেন। সমাজে তাঁদের মতামত এতই গুরুত্বপেত যে, সে সময় ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতাতে কোনো বাঙালিই সেই লবির বিরুদ্ধাচরণ করতে রাজি হননি। এটাই বাস্তব যে, ভারতীয় সমাজ-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা যতীন্দ্র মোহন ঠাকুর অথবা রমেশ মিত্ররমত গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও আফিমপন্থীদের প্রতীকী বিরুদ্ধাচরণও করতে পারেন নি। তাঁদের কাছে প্রস্তাব গেলে তাঁরা সরাসরি না করে দিয়েছেন। রামমোহন, দ্বারকানাথের আগেও কলকাতার নামী পরিবারগুলি জমিদারি, গোমস্তাগিরি, দেওয়ানি, বেনিয়ানি আর মুতসুদ্দিগিরি করে, যে সনাতন ভারত মারার ব্যবসার মুখপাত করে গিয়েছেন, সেই ট্রাডিশন বজার রেখে ভারতের জমিদারদের একতা, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনের সদস্যরা নীলকরদের কৃতকর্মের সমালোচনা করলেও, আফিমবিরোধী কমিশনের সদস্য হতে পারেন নি। তাঁরা সরাসরি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
এর সঙ্গে শুধু কয়েকটি শুকনো তথ্যের জন্য বলা যাক, দুর্জয় বাঙালিদের মুখলুকোনো প্রত্যাখ্যানে ভারতের ভাইসরয় তখন দ্বারভাঙার মহারাজা লক্ষ্মীশ্বর সিংএর দ্বারস্থ হলেন। তবে দ্বারভাঙার মহারাজের কোনো প্রজাই আফিম উত্পাদনে যুক্ত ছিলেন না। লক্ষ্মীশ্বর নিজে জমিদারদের সংঘ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনএর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং বিদেশে যথেষ্ট পরিচিত মুখ। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও বটে। রয়েল কমিশনে সদস্য হওয়ার সময় তিনি ভাইসরয়ের পরামর্শদাতা দল, সুপ্রিম লেজিসলেটিভ কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন। ম্যকডোনেল তাঁর পক্ষ থেকে মহারাজার নাম গুরুত্বসহকারে সুপারিশ করলেন, The only man of sufficient standing and strength of character whom I know to be willing to take a nomination to the Opium Commission is the Maharajah of Durbhungah. His views are in favour of the maintenance of the opium revenue; and I think he would assert these views on the Commission, though I am not prepared to say that the anti-opiumists and pro-Congress people, such as Mr. Caine, may not influence him. But I should be disposed to run that risk, and I should be very glad to see Durbhungah get some mark of your Excellency’s confidence…. [H]e is a man of wide influence here, and I think he can be, if he likes, of great help to us. He and I are personally good friends and I find him very reasonable,… সুপারিশপত্র থেকে পরিস্কার তত্কালীন রাজনীতিতে মহারাজার গুরুত্ব কতখানি। তবে রয়েল কমিশন ভারতে ভ্রমণকালে মহারাজার বুকের অসুখ বেড়ে যাওয়ায় তিনি তার সঙ্গে ঘুরতে পারেন নি, না কংগ্রেসিদের নানান চাপে চাননি তা বলা মুশকিল। দ্বিতীয় মনোনীত সদস্য ছিলেন গুজরাটের জুনাগড় রাজত্বের প্রাক্তণ প্রধাণমন্ত্রী হরিদাস বিহারিদাস। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে এই কমিশনে নিয়েছিল মালব আফিম এলাকার উত্পাদক-ব্যবসায়ীদের খুশি করতে। তবে হরিদাসের রাজত্বও কিন্তু আফিম উত্পাদনে যুক্ত ছিল না।
লেবেলসমূহ:
আফিম,
আফিম ব্যবসা,
উপনিবেশ,
ক্লিপার,
চিন,
দ্বারকানাথ ঠাকুর,
মালব
অহিফেন ঠাকুর১
পলাশি আর আফিমঃ অধমর্ণ এশিয়া উত্তমর্ণ ইওরোপ
কয়েক হাজার বছর ধরে, ইওরোপ পণ্য কিনতে দামি ধাতু নিয়ে আসত এশিয়ায়। পলাশির চক্রান্তে বাংলার রাজস্ব ব্যবস্থা দখল করে আর ঘুষের টাকায় প্রচুর উদ্বৃত্ত তৈরি করল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভারতে পণ্যদ্রব্য কিনতে(যাকে কোম্পানি কাগজপত্রে ইনভেস্টমেন্ট বলা হয়েছে) দেশ (না ইওরোপ বলব) থেকে রূপো আনা বন্ধকরে দিল সে। ইওরোপে, চিনের চা বিলাস দ্রব্য। চিন থেকে ইংলন্ডে চা রপ্তানি ১৭০০তে ৯২,০০০ পাউন্ড থেকে বেড়ে ১৭৫১তে ২৭ লক্ষ পাউন্ডে দাঁড়াল। ১৮০০তে চিন থেকে ২কেটি ৩০ লক্ষ পাউন্ড চা কিনতে খরচ করতে হত ৩৬ লক্ষ পাউন্ড রূপো। ফলে বাংলা আর চিনের মধ্যে এমন এক বাণিজ্য ত্রিভূজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করল কোম্পানি, যাতে ইওরোপের দামি ধাতু বিনিয়োগ না করে, বাংলা থেকে রূপো, খাজনার টাকায় সুতির কাপড়, আর বাংলা-বিহার-মালবের আফিম পাঠিয়ে, সে ইওরোপের জন্য দামি চা কিনতে পারে। চিন-ভারত বাণিজ্যের একটা উদ্বৃত্ত-রসায়ন তৈরি করা হল। যতে বাংলা-বিহার আর রাজন্য শাসিত মালব অঞ্চলের চাষীর রক্ত ঝরানো আফিম চাষের ব্যবসায় লাভ করত পার্সি ব্যবসায়ী আর ইংরেজ সরকার, সে দ্রব্য পরিবহন করে ছিটেফোঁটা লাভ্যাংশ পেত বাঙালিরা। আফিম ব্যবসার উদ্বৃত্তে বহুমূল্য চিনের চা কিনতে শুরু করল ব্রিটেন। বাংলার সঙ্গে সঙ্গে চিনেও ইওরোপের রূপো আনা বন্ধ হয়ে গেল। ভারত লুঠ করে হাজার হাজার বছর ধরে বিকশিত নানান শিল্প পরিকাঠামোও ভেঙে দিল ব্রিটেন। পলাশির ৭০ বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসের চাকা দ্রুত ঘুরে গেল। এশিয়া হল অধমর্ণ আর ইওরোপ হল উত্তমর্ণ।
বাংলা-বিহারের আফিম
সেসময়ের বাংলা-বিহারের আফিম বিশ্বের বাজার সবথেকে দামি আফিম। আফিম বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারিভাবে, দাদন নেওয়া নির্দিষ্ট চাষীর থেকে শুকনো আফিম রস কিনে, উত্তরপ্রদেশের বারানসীর কাছে গাজিপুরের সরকারী ওপিয়াম ফ্যাক্টরিতে আফিম তৈরি হতে যেত। আজও এই কারখানা গভর্নমেন্ট ওপিয়াম এন্ড এলকালয়েড ওয়ার্কস নামে ভারত সরকারকে বছরে ১৫ কোটি টাকা লাভ দেয়। মূলতঃ চিনে পাঠানোর জন্য, সে সময় এক কেজি করে এক একটি আফিমের গোলা তৈরি হত। এককেজির চল্লিশটা আফিমের গোলা নিয়ে তৈরি হত একটি চেস্ট। প্রত্যেকটি চেস্ট চলে যেত কলকাতায় আফিম বাজারে নিলামের জন্য। তারপর উঠত দ্রুত ক্লিপার জাহাজে। নানান হাত ঘুরে দ্রুত পৌঁছে যেত চিনে।
অহিফেন ঠাকুর
ভারত সরকারের সঙ্গে সেই ব্যবসার অন্যতম অংশিদার ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। সে যুগে কলকাতায় তাঁর নাম ছিল অহিফেন ঠাকুর। শুধু দ্বারকানাথই নয় ঠাকুর বাড়ির পূর্বজরাও আফিম ব্যাসায় জড়িত ছিলেন। গোপীমোহন ঠাকুরের মৃত্যুর পর পুত্র চন্দ্রমোহন ঠাকুর আলেকজান্ডার এন্ড কোম্পানির সঙ্গে আফিম ব্যবসায় অধিকার নিয়ে আইনি লড়াই লড়তে গিয়ে সর্বস্বান্ত হন।
দ্বারকানাথ, বোর্ড অব কাস্টমস সল্ট এন্ড ওপিয়ামে সেরেস্তাদারির চাকরি করতেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে ২৪ পরগণার লবন প্রস্তুতকারক মালঙ্গীরা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনে, যা দ্বারকানাথের ব্যবস্থা নামে পরিচিত। আফিম ব্যবসায় তাঁর প্রধাণ অংশিদার হন ডোনাল্ড ম্যাকলিয়ড গর্ডন। দ্বারকানাথ বাংলার ছটি আফিম ক্লিপারের একটির বড় অংশিদারি অর্জন করেছিলেন। এরমধ্যে প্রধাণতমটি ছিল ৩৬৩টনের ওটারউইচ। খিদিরপুর ডকে বানানো। এটির অর্ধেক অংশিদারি ছিল তাঁর আর অর্ধেক ছিল দুই ইংরেজ উইলিয়ম স্টর্ম আর এন্ড্রু হেন্ডারসনের। ওটারউইচ কলকাতায় তৈরি তৃতীয় ক্লিপার। আগে দুটি তৈরি হয়েছে হাওড়া ডকে, একটি পার্সি ব্যবসায়ী রুস্তমজী কাওয়াসজী (বম্বের আফিম ব্যবসায়ী)র জন্য ১৮২৯এর রেড রোভার আর অন্যটি ১৮৩১এর সিল্ফ।
সেই শতকের ত্রিশের দশক থেকে চিনে অবৈধ আফিম চালানের পরিমান প্রায় তিনগুন হয়ে যায় এই ক্লিপারের দ্রুত পরিবহনক্ষমতায়। উত্তর-পূর্ব বাতাস বয়ে শীতেই চিনে পৌঁছত যখন সেখানে আফিমের দাম থাকত চড়া এবং এই ক্লিপারের অনেকবেশি বোঝা নেওয়ার ক্ষমতার জন্যও দ্বারকানাথেরমত আফিম ব্যবসায়ীদের কাছে ক্লিপার প্রধাণ পরিবহন হয়ে ওঠে। দ্বাকানাথের আরও দুটি আফিম ক্লিপারে অংশদারি ছিল ৩৭১ টনের ১৮৩৭তে খিদিরপুরে তৈরি এরিয়েল এবং ১১২ টনের মাভিজ। এরিয়েল চিনে আফিম ব্যবসা করতে গিয়ে চিন সম্রাটের কমিশনার লিনএর হাতে ধরা পড়ে।
যৌবনে বাপ-ঠাকুর্দার প্রতি ক্ষোভে দেবেন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রানাথ দুজনেই দ্বারকানাথের বহু ব্যক্তিগত ও ব্যবসার কাজগপত্র পুড়িয়ে দেন। দ্বারকানাথের আফিম, নীল, জমিদারি অথবা লবন ব্যবসাকে নতুন করে উপস্থিত করার অন্য উপায় আজ নেই। প্যারীচরণ মিত্রের ভাই কৃস্ট চরণ মিত্রের মেমোয়ার্স অব দ্বারকানাথএরমত স্মৃতি তর্পণ আর ব্লেয়ার বি ক্লিংএর পার্টনার ইন এম্পায়ার- দ্বারকানাথ টেগোর, এন্ড দ্য এজ অব এন্টারপ্রাইজ ইন ইন্টার্ন ইন্ডিয়া-রমত কয়েকটি পুস্তক সম্বলমাত্র। দ্বারকানাথের অপৌত্তলিক গুরু রামমোহনের স্মৃতি তর্পণ করলেও রবীন্দ্রনাথ দ্বারকানাথের উপাসনা করেন নি। ঠাকুর্দার প্রতি রবীন্দ্রবিতৃষ্ণা শেষ দিন পর্যন্ত ছিল।
লেবেলসমূহ:
আফিম,
আফিম ব্যবসা,
উপনিবেশ,
ক্লিপার,
চিন,
দ্বারকানাথ ঠাকুর,
মালব
Tuesday, July 19, 2011
ফুলিয়ার তাঁতে ধূসর মৃত্যু ছোঁয়া ২
শোনা যাচ্ছে ভারত সরকারের অন্যতম উদ্যম বিদেশ আগত কলের তাঁত স্থাপনে উতসাহদেওয়া, তাতে হস্তশিল্প মারাযায় যাক, দেশের ঐতিহ্য লুপ্তহয় হোক। ভারতে চিনের লুঠকরা বস্ত্রের বাজার ধরতে পরোক্ষে সরকারি মদতে পাঞ্জাবে বিশাল বিশাল কলের তাঁত বসানো হচ্ছে। এতে ভারতে চিনের তাঁতের বাজার কতটা পড়বে, অথবা পশ্চিমি কলের তাঁতের যন্ত্রপাতির বাজার কত রেখা বাড়বে, ভারতে বেকারিজ্বালা কতটা দূর হবে, এসব কথা স্পষ্ট করে না বলা গেলেও, একটি কথা নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যদ্বানী করা যায়, ভারতের পারম্পরিক তাঁত শিল্পের ওপর বড় ধাক্কা আসতে চলেছে, পাঞ্জাবী এই উদ্যমে।
ফুলিয়ার তাঁতিদের আরও বড় মরণফাঁদ পশ্চিম বঙ্গ বিদ্যুত নিগমের এক তুঘলকি ফরমান। ফুলিয়ার যাঁদের ঘরে হস্তচালিত তাঁত রয়েছে তাঁদের সবাইকে ব্যবসায়িকহারে বিদ্যুতের মাসুল দিতে হয়। অথচ পাশের জনপদ শান্তিপুরের তাঁতিরা কিন্তু বাড়ির ব্যবহৃত মাসুলই দেন। হস্তচালিত তাঁতে বিদ্যুত প্রয়োজন যে হয় সে তথ্য কোনো বিদ্যুত দপ্তরের আমলার কাছে থাকলেও সমাজের বহু মানুষ এই গুঢ় তথ্য জানেন না। সরকারি এক ব্যবসায়িক সংস্থার পক্ষে পাশাপাশি দুই জনপদে দুরকম নীতি বিষ্ময়কর বৈকি।
আজকের সমাজে এমনিতেই হস্তচালিত তাঁতের দুর্ভোগের শেষ নেই। কলের তাঁতের বিষয়টি কেন্দ্রিয় সরকারের অধীণে হলেও বিদ্যুতের বোঝাটি কিন্তু রাজ্যসরকার একটি কলমের খোঁচায় সমাধাণ করে দিতে পারেন।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সমীপে এই আবেদন জানালাম।
নিবেদনে,
বিশ্বেন্দু নন্দ, কলাবতী মুদ্রা নথিকরণ দলের পক্ষে
২৪/১৮, নাবালিয়া পাড়া রোড, কলকাতা – ৭০০০০৮
০৯১৬৩৮২৫৯৯৪, ০৩৩২৮৯৪৪৭৫৮
Friday, July 15, 2011
Wood Work of Naxalbari, Darjeeling - Photo my Madhumangal
লেবেলসমূহ:
Darjeeling,
FolkCraft,
FolkTechnology,
Photo,
Woodwork
Sunday, July 3, 2011
Folk Tourism With a New High … Hug a tree, sleep in a tree… Exclusive for Green Traveler
It seems that now it’s not enough to just hug a tree, you now need to also sleep in a tree…. Even in a night
KalabotiMudra-Season4 TreeHouses, Jalpaiguri, West Bengal, India
From the 2011 Durga Puja onwards, Green Traveler can sleep in a tree, even in the night.
From the 2011 Durga Puja onwards, Green Traveler can sleep in a tree, even in the night.
KalbotiMudra-Season4 is come up with a game changing proposal of promoting community in situ tourism in most of the parts of North Bengal.
The first of its kind is now coming up at Rava Village of the Khuttimari Range of North Bengal.
Room rent around $34/room/night.
Package starts from $80/room/night it can reach upto $200/room/night, depending on services and other facilities availed. Each room is equipped with a bathroom and telephone.
The room rent will be excluded of food, local sight scene, pick up & drop in from Jalpaiguri Rail Station(50 KM from the spot) or Dhupguri Rail Station Kamrup Exp(D17.35- A7.45), Teestatorsa Exp(D13.40- A6.30), Kanchanjangha Exp (D6.35 – A20.05), Guwahati Exp(D11.15 – A22.50)
This is a proposed interior model of tree house to be built on a tropical rainforest tree at the Rava Village, Khuttimari Range, Jalpaiguri.
The only access to the tree house is by KalabotiMudra-Season4 vehicle through a local stream. The tree house is located in a protected rainforest at the Khuttimari Range, surrounded by the village of the Rava Tribe of North Bengal.
These rooms are all eco-friendly and use alternative energy to keep running.
There are two double bedded rooms in solace tree houses.
Children will be allowed with proper extra cost.
The Promoters at a nutshell
KalabotiMudra is a trust body.
Season4 is a reputed eco & folk tourism marketing outfit working for more than 10 years
KalabotiMudra is working with traditional artisans and performing artists for more than two decades.
The aim is to develop communities by promoting their environment to the outside world.
Folk Tourism is one of the tool by which the community can be developed.
FAQs
Is the hotel is locally owned? How does the hotel contribute to the local community?
As KalabotiMudra is promoting organizations of the indigenous community of Bengal, this property will be partly operated by the community itself served by Season4 market knowledge. The portion of the profit will be injected to the community so that it can develop by its own philosophy & will without outside interference.
Is it staffed by employees from the community?
Certainly. Most of the staffs are from the community so that the people can get the local flavor and uninterrupted services.
What programs does the hotel have to reduce consumption? Examples include energy-efficient lighting, low-flow toilets and showers, and alternative energy sources like solar or wind power.
We are operating within the international eco-tourism norm. We are using local knowledge to build the tree house with the modern input from various green structural engineers so that people can feel the pulse of the root. We are using the water of the community stream so that the water our patrons get is totally mineral rich and unpolluted by modern culture.
Is your hotel near lines of public transportation? Or do you have a bike rental program?
Only the KalabotiMudra-Season4 car can only access the community. It is an eco-friendly battery or gas operated vehicle devoid of nasty hydrocarbon. We have a manually operated by-cycle rental programme. People can avail it.
Do you serve local foods?
Certainly. All foods are locally grown & devoid of PoP chemicals. Foods will be prepaired by the local cooks, local menu, with local ingredients. There may be a dash of change to cater the taste buds of citypents.
Do you have a sustainable swimming pool?
We have a natural local stream with unpolluted mineral water.
For Further Information---
লেবেলসমূহ:
folktourism,
Jalpaiguri,
Khuttimari,
Rava,
treehouse
Subscribe to:
Posts (Atom)