Wednesday, May 24, 2017

দ্বারকানাথ ঠাকুরের বেশ্যাখানা

দ্বারকানাথ ঠাকুরের বেশ্যাখানা চালানোর প্রকাশনাটা বাংলাদেশের Pinakiদা নিজের সময়ে প্রকাশ করায় বাংলাদেশের ফেবুকেগেল গেল রব...
উনি আমাদের মত চেয়েছিলেন।
আমরা লিখেছি...
...
Pinakiদা, কেন রক্ষণাত্মক হচ্ছেন বুঝছি না। দ্বারকানাথ লুঠেরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্য-সঙ্গী। তিনি বেশ্যাখানা না চালালেও লুঠেরা অহিফেন ঠাকুর নামক শিল্পপতি আর চরম অত্যাচারী জমিদার, আর নাচালালেও তিনি তাইই থেকে যান। লুঠের সাম্রাজ্য কলকাতার বৌবাজারে বেশ্যাখানা চালানো তার লুঠের শৌর্যে নতুন পালক। এ তথ্যকে বিন্দুমাত্রও অস্বীকার করা যাবে না যতই রবীন্দ্রনাথ তার ঠাকুর্দার কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলুন।
---
এবারে আমাদের কথা।
আমরা এই বাংলায় ছোটলোক অর্থে বৈশ্য-শূদ্র-মুসলমান এবং অন্যান্য পরম্পরার উতপাদকেদের সঙ্গঠন করি যারা এই বাংলাকে পলাশীর আগে বিশ্বের গন্তব্য বানিয়েছিলেন। বাংলায় আমদানি ছিল নগণ্য, বিদেশিদের দামি ধাতু আর রত্নের বিনিময়ে বাংলায় ব্যবসা করতে হত।
তো এই শূদ্য-বৈশ্য-মুসলমান এবং অন্যান্য পরম্পরার তৈরি উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা ধ্বংস করল ব্রিটিশ বাংলার ভদ্র-ধনীদের সহায়তায় যারা তার কয়েকশ বছর আগে শ্রীচৈতন্যের ডাকে নেমে এসেছিল রাজপথে, রাজপদ হেলায় ছুঁড়ে ফেলে।
১১৬৪ সালে হেস্টিংস আর আর বশংবদ তাঁবেদারদের তাণ্ডবে ধরাশায়ী হয়ে গেল এই উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা। ইওরোপের শিল্পবিপ্লবের পালে হাওয়া লাগল বাংলায় তখন ফকির সন্ন্যাসীরা, পাইকেরা, গারোরা স্বাধীনতার ধ্বজা তুলেছেন - ছোটলোকেরা বাঙলা জুড়ে মহাযুদ্ধ প্রায় শুরুই করে দিয়েছেন।
ঠিক সেই প্রেক্ষিতে দ্বারকানাথ যখন শিল্প তৈরিতে বাংলায় উদ্যমী হচ্ছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অভয় হাত মাথায় নিয়ে বাঙলা তখন শুধুই ব্রিটিশ শিল্পের কাঁচামাল রপ্তানির ভৌগোলিক এলাকা মাত্র। ছোটলোকেদের তৈরি হাজার হাজার বছরের সভ্যতার ধ্বংসস্তূপের আর দর্শনের মাথায় পা দিয়ে ব্রিটিশ লুঠেরা দর্শনে ভারতকে গড়েতুলতে চাইছেন ভদ্রলোক রামমোহন-দ্বারকানাথ-বিদ্যাসাগর। ১ লক্ষ ৫৬ হাজার গ্রামের ১ লক্ষ পাঠশালা ধ্বংস করে গড়ে উঠল লুঠেরা কর্পোরেটের দপ্তরে চাকরিযোগ্য দাস বাঙালি। রামমোহন-দ্বারকানাথ-বিদ্যাসাগর ত্রয়ী তাঁদের উপহার জীবদ্দশায় পেয়েগিয়েছেন।
বাংলার ধ্বংস আর লুঠের দায় তো ভদ্রলোকেদের নিতেই হবে।
দ্বারকানাথ যে লুঠের সঙ্গী, সে লুঠের দার্শনিক পথের পদধুলি ভদ্রবাঙ্গালি মাথায় রাখতে পারে কেননা তার উচ্ছিষ্ট সেবন করেই আজ সে কর্পোরেট সেবক।
শূদ্র-বৈশ্য-মুসলমানদের উত্তরাধিকারের রাজনীতি করা আমাদের দায় সেই ধ্বংসক্রিয়ায় বারংবার অঙ্গুলি নির্দেশ করে বাঙলা মায়ের গায়ে যারা আজও ক্ষত তৈরি করছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া।
বহু ভদ্র ইওরোপ সর্বস্ব-মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে কিন্তু শূদ্র-বৈশ্য-মুসলমানদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে।
বাংলার শূদ্র-বৈশ্য-মুসলমান এবং অন্যান্য পরম্পরার উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার জয় হোক!
জয় বাঙলা।

No comments: