Tuesday, January 31, 2012

পারম্পরিক সংস্কৃতিময় ভ্রমণের ঝাঁপিঃ চড়িদা


মধ্যরাতে ছৌ-নাচ, মানুষের ভগ্ন দেহে দেবতার মুখোশ পে
কাড়া-নাকড়ার শব্দে কেঁপে ওঠে দশদিক, চতুর্থ প্রহর
মন্দিরে মন্ত্রের মতো ধ্বনি জাগে, যাগযজ্ঞে আছি মনে হয়
ঝর্ণা নামে রক্তস্রোতে, অব্যক্ত ও অব্যাহতিহীন কলরোল শুধু কলরোল।
- পুর্ণেন্দু পত্রী

অসামান্য সচেতন নাকউঁচু কবি পুর্ণেন্দু পত্রীও কবিতায় ছৌ শব্দটি যে কেন ব্যবহার করলেন শব্দটি কিন্তু ছো মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে আজও দৈনন্দিনের নানান অনুষঙ্গে ছো শব্দটি অবলীলায় ব্যবহার করেন অসামান্য গ্রামীণেরা যে গ্রামটি জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া শব্দকে জুড়েদেন নিজেদের সাংস্কৃতিক ক্ষুত পিপাসা প্রদর্শণের আঙ্গিকের সঙ্গে, সেই গ্রামটার নাম বাঙলার সাংস্কৃতিক মানচিত্রে অক্ষয় হয়ে রয়েছে তীর্থক্ষেত্রের গরীমাময় মর্যাদায় স্থানীয় ভাষায় চোড়দা, শহুরে পালিশকরা ভাযায় চড়িদা, জেলা পুরুলিয়া পারম্পরিক সংস্কৃতিময় বাঙলায় ছো মুখোশ নৃত্যের সঙ্গে চড়িদা শব্দটি একই নিশ্বাসে উচ্চারিত হয় আজও এই গ্রামেই সুত্রধর সম্প্রদায়ের মানুষ অদম্য উত্সাহে ছোএর মুখোশ তৈরি করেন আসামান্য তার কারিগরী দক্ষতা অসাধারণ তার শিল্পমূল্য বলেরাখি বাঙলার পারম্পরিক শিল্পকলার প্রযুক্তি নথিকরণ করতে থাকার সংগঠণ, কলাবতী মুদ্রা, শেষতম দুর্গা উত্সবটিতে চোড়দা গ্রাম থেকেই অসামান্য কিছু ছোএর মুখোশ পাঠাতে পেরেছিল মুম্বাইএর এক দুর্গাপুজোয় মন্ডপ সাজানোর কাজে শিল্পীরা দাম পেয়েছিলেন ভালই চোড়দা এমন একটি গ্রাম যেখানে বাঙলার অন্যতম নৃত্য আঙ্গিক, ছো নাচে পারম্পরিক পদসঞ্চার আর লালিত্যের মিশেল ঘটেছে অসামান্য গ্রামীণ শিল্প প্রজ্ঞায় বাঙলার হাজার হাজার গ্রামের মধ্যে চড়িদা সাধারণ কোনো একটি গ্রামের নাম নয়, শুধু একটি প্রশাসনিক পঞ্চায়েতও নয়, প্রত্যন্ত বাঙলার সংস্কৃতিময় জঙ্গল মহলে শুধুমাত্র একটি নাচগানের টোলাও নয়, চোড়দা এমন এক গরিমাপূর্ণ গ্রাম, যে গ্রামের অসামান্য মানুষজন অসম্ভব অহংপূর্ণ দায়িত্বে, বাঙলার হাজার হাজার বছরের শিল্প নৈপুণ্য আর সেই সংক্রান্ত প্রযুক্তিকে বুকে ধরে অটল প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নিজস্ব গরিমায় চড়িদা ভ্রমণ তাই শুধুমাত্র হপ্তাশেষের আপিসবাবুর পকেট বাঁচিয়ে পরিবারের মন ভোলানো ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণ নয়, শস্তাতম ছো দেখানো গাইড বই হাতে করে চোখে ঠুলি বেঁধে কানে ইয়ারপ্লাগ গুঁজে ধরতক্তামারপেরেকগোছের যেমন তেমন পুরুলিয়ার পানে বেরিয়ে পড়া নয়, বল কলম হাতে যেনতেনপ্রকারেন ভ্রমণ কথা লেখা নয়, চড়িদাগ্রাম আম বাঙালি ভ্রমণার্থীদের সাংস্কৃতিক তীর্থ, যে তীর্থে মাঝেমধ্যেই তাকে মাথা ঠেকাতে যেতে হয়
হাওড়ার ট্রেনে বরাভূম স্টেশন অথবা হাওড়া থেকে পুরুলিয়া বাঙলার যে কোনও শহর থেকে পুরুলিয়া এসে বাগমুন্ডি পাহাড়গামী শকটে সত্তর কিলোমিটারের কাছাকাছি অযোধ্যা মোড়ে নামা নিজস্ব গাড়ি না থাকলে পুরুলিয়া শহর থেকে আড়াই ঘন্টারমতগ্রামে আসতে আসতে চোখ চলে যায় দুপাশের শূন্য প্রান্তরের অসামান্য বন্য সৌন্দর্যের দিকে। গ্রামে ঢোকার পথে অযোধ্যার মোড়ে ছোট একটা বসতি। দুপা দূরেই চড়িদা গ্রাম। কলাবতী মুদ্রারই পারম্পরিক শিল্পীদের সংগঠণ বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘর অন্যতম সম্পাদক, জাতীয় শিল্পীর পুরস্কার বিজয়ী মুখোশ শিল্পী, গায়ক, নর্তক নেপাল সূত্রধরের বাড়ি চড়িদায় তিনিসহ তিন প্রজন্ম অত্যন্ত সুমধুরভাবে জড়িয়ে রয়েছেন এই কলায় চড়িদায় খুব কম ঘরই আছে যেখান থেকে এক জনও ছো শিল্পী ইউরোপ-আমেরিকায় অনুষ্ঠান করতে যাননি। নেপাল বহুবার বিদেশে গিয়েছেন মূর্তি তৈরি করতে, কর্মশালা পরিচালন করতে শুধু মুখোশ নয়, মূর্তি তৈরি করতেও তার বহু নাম, বিশ্বে বহু প্রান্তের জাদুঘরে তাঁর তৈরি মূর্তি আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে
প্রায় ৮০টি পরিবার নিয়ে এই গ্রাম। নেপালেরমতই প্রতি বাড়িতে প্রায় একই দৃশ্য। বাড়ির দালানে বসে পরিবারের বড় থেকে ছোট, প্রায় সব সদস্যই ছো নাচের মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত। ব্যস্ততার মধ্যেও ঘুরতে আসা ভ্রমণার্থীর নানান চালাকিময় প্রশ্নের উত্তর দেন ধৈর্য ধরে হাসিমুখেশিল্পীর অহংপূর্ণ হাসিটা ধরাথাকে ঠোঁটে শিল্পীর অহং কিন্তু আহংকার নয় অসামান্য গ্রামীণ সলজ্জতা আর বিনম্রতা তাঁদের কথায়। ঘরের ভিতর উঁকি মারলেই দুর্গা, গণেশ, শিব, অসুরের মুখোশ দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে অসামান্য উজ্জ্বলতায়। আকারও বিভিন্ন ধরনের। কিনতে চাইলে কিনেও ফেল যায় ছো নাচ দেখতে চাইলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হয় পদ্মশ্রী খেতাব পাওয়া ছো শিল্পী গম্ভীর সিংহ মুড়ার নাম জুড়ে আছে চড়িদার সঙ্গে, নেপালও গম্ভীর সিংএর দলের শিল্পী ছিলেনযে গুরুর হাত ধরে ছো নাচ এ গ্রামকে বিদেশে নিয়ে গিয়েছে, কথায় কথায় সেই পূর্বজর প্রতি প্রণাম জানান নেপাল। শিল্পীদের মহড়া দেওয়ার জন্য গ্রামের মাঝখানে একটি ছোটখাটো হল আর গ্রামে ঢোকার মুখেই আছে গম্ভীর সিংহের মূর্তি।
বরাভূম স্টেশনে নেমে চড়িদা আসার পুরো রাস্তা জুড়ে প্রচুর খেজুর গাছ। শীতের সকালে মন খেজুর রসের বায়না করলে এই মুখোশময় চড়িদাতেও তা মিলবেশীত থাকলে আলি ভাইএর ঘরেই বসে দেখা যাবে খেজুর গুড় বানানোর বিরল দৃশ্য। চাইলে নলেন গুড় কেনা যাবে রাঢ় বাঙলা আর জঙ্গল মহলের গুড়ের স্বাদই আলাদা চড়িদার পিছনে পাহাড়ের পাদদেশে জঙ্গলের মধ্যে হদহদি ঝরনা। শীতকালে জল না থাকলেও বর্ষায় রূপ দেখার মতো। শাল, বয়রা, আমলকীর ঘন জঙ্গল পেরিয়ে পাহাড়ের গায়ে এই ঝরনার জায়গাটি বেশ মনোরম। হদহদিতে গিয়ে জল দেখতে না পেলেও চুপ করে বসে থাকলেনানা পাখির ডাক মন ভরিয়ে দেবে। কখনও দেখা যায় দল বেঁধে গ্রামের মেয়ে-বৌরা কাঠ কাটতে, পাতা কুড়োতে জঙ্গলে যাচ্ছেন। অসম্ভব সুরেলা সবার গলা।
সমতল থেকে ৭০০ মিটার উচ্চতায় অযোধ্যা পাহাড়ে জঙ্গলের রাস্তা বেয়ে থুর্গা লেক। বৃষ্টির জলই এই লেকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বর্ষায় এর রূপ অনন্য। এই লেক থেকে কিছু দূরে বাঘমুন্ডি গ্রাম। অযোধ্যা ও বাঘমুন্ডির জলের একমাত্র উৎস থুর্গা লেক। বিশাল লেকের ঠান্ডা হাওয়া মন জুড়িয়ে দেয়। থুর্গা যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়বে মানভূম ট্যুরিস্ট লজ। একদম নির্জন প্রকৃতির মধ্যে যাঁরা থাকতে চান, তাঁদের জন্য মানভূম ট্যুরিস্ট লজ আদর্শ। এখানকার কেয়ারটেকারকে বললে খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বাঙলার এ ধরণের পারম্পরিক শিল্পী সমৃদ্ধ গ্রামে লৌকিক ভ্রমণের ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা করছে কলাবতী মুদ্রা আশা আগামী দিনে বাঙলার ভ্রমণপ্রেমী আর সংস্কৃতি উত্সাহী মানুষ তাঁদের উত্সাহের হাত বাড়িয়ে দেবেন এই উদ্যমে বাঙলার নানান পারম্পরিক উদ্যমের গ্রামগুলিকে নিয়ে তাঁরা এক লৌকিক ভ্রমণের শৃঙ্খলের পরিকল্পনা করছেন সংগঠণ সম্পাদক নেপাল সূত্রধরও চাইছেন তাঁর একফালি জমিতে মাটির বাড়ি বানিয়ে ভ্রমণার্থীদের থাকর ব্যবস্থা করা কলাবতী মুদ্রা সেই পরিকল্পনার ভাগিদার স্থানীয় প্রতিনিধি কে পি সিং দেও উত্সাহ দেখিয়েছেন শিল্প গ্রামে মাটিরবাড়িতে থেকে সেই শিল্প প্রত্যক্ষ্য করা এবং যতদূরসম্ভব তা শিখে নেওয়া যায় আশাকরি অনেকেই এই পরিকল্পনায় শামিল হবেন চড়িদার স্থান হোক বাঙলার হৃদিকমলে

চড়িদা ইকো ইন্ডেক্স
গ্রামঃ চড়িদা, পুরুলিয়া
শিল্পঃ ছো নাচ, ছো মুখোশ
আলাপ করবেন যে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী শিল্পীর সঙ্গেঃ নেপাল সূত্রধর
রাতে থাকার স্থানঃ ভাবিষ্যতে গ্রমেই থাকার ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে, বর্তমানে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটামোরজন্য দু কিমি দূরে লজে অথবা পুরুলিয়ায় ফিরে আসা
রাস্তাঃ পাকা, গাড়ি যাবে বর্ষায়ও
কাছের রেলস্টেশন আর পরিযানঃ বরাভূম(থেকে ট্রেকারে), পুরুলিয়া(থেকে ভাড়া গাড়ি অথবা বাসে)
গ্রামে সম্ভাব্য মাথাপিছু খরচঃ দৈনিক ৫০০ টাকা(শুধু বাগমুন্ডিতে থাকা আর তিনবেলা খাওয়া)
আবহাওয়াঃ গরমে অসম্ভব গরম আর শীতে বেশ শীত, তবে শীত আর বর্ষাকালের মজাই আলাদা
নিরাপত্তাঃ অসম্ভব ভাল
গ্রামের জনসুবিধাঃ তিন তারা(রাতে গ্রামে থাকার ব্যবস্থা হলে জয়গুরু রাঙ্কিং অর্জন করবে)
(এক তারাঃ চলনসই, দুই তারাঃ ভাল, তিন তারাঃ বেড়ে, চার তারাঃ চমতকার, পাঁচ তারাঃ জয়গুরু)

Monday, January 30, 2012

শুশুনিয়ার পাথর শিল্প


বাঁকুড়ার ছাতনা থানার এক গ্রাম শুশুনিয়া এখানেই রয়েছে ৪৪০ মিটার উঁচু শুশুনিয়া পাহাড় এটি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা ১৯৬৫-৬৬তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ খননকার্য করে এই এলাকার গিধুনিয়া, বাঁকাজোড়, ভরতপুর, বাঘডিহা, রামনাথপুর, শুশুনিয়া, কুশবন্যা, শিউলিবনা, শুয়াবসা, পারুল্যা, পাহাড়ঘাটা, ধানকেড়া, করকাটা, বাবলাডাঙা, নেটেল্যা, শিমুলবেড়া, হাপানিয়া, চাঁদড়া, বিন্দিসাসহ বেশকিছু গ্রামে এই সব গ্রমে বর্ষাফলক, হাতকুঠার, নানান হাতিয়ার, মসৃণ কুঠার, ছিদ্রযুক্ত ক্ষুদ্রকাকার চক্র পাওয়া যায় শুশুনিয়া সংলগ্ন প্রায় ৬০ বর্গমাইল এলাকায় নানান বহুবিচিত্র অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাওয়া মানিকলাল সিংহ বা পরেশ দাশগুপ্ত মশাইএর অনুসারে আদি প্রত্নশ্মর আমলের ছোট বসতি শুরু হয়, তিন-চার লক্ষ বছর থেকে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া, দ্বারকেশ্বর ও কুমারী নদীর এলাকায় তা বাড়তে শুরু করে মানব সমাজের পরিপূর্ণ বসতিতে রূপান্তরিত হয়
প্রাগৈতিহীসিক শুশুনিয়ার প্রমাণ পাহাড়ের উত্তরদিকের গুহায় লিপিবদ্ধ শিলালিপি
পুষ্করণাধিপতে মহারাজ শ্রীসিঙ্ঘবর্মণঃ পুত্রস্য
মহারাজশ্রীচন্দ্রবর্ণণঃ কৃতিঃ
চক্রস্বামিণঃ দোসগ্রেণতিসৃষ্টঃ
এই দুই লিপির কাল খ্রীষ্টীয় চতুর্থ দশক গুপ্তযুগ প্রায় দেড় হাজার বছর আগের লিপির হরফ ব্রাহ্মী কিন্তু ভাষা সংস্কৃত এর সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি বিষ্ণুচক্রও পুষ্করণা বা আজকের পোখন্না নিয়ে বারান্তরের কোনও প্রবন্ধে আলোচনা করব এটি কোনওভাবেই এই প্রবন্ধের আলোচ্য অংশ হতে পারে না
বাঁকুড়া থেকে বা দুর্গাপুর থেকে শুশুনিয়া যাওয়ার পথ রয়েছে


Saturday, January 28, 2012

কৃষ্ণনগরে চিত্ত পালের বাড়িতে তৈরি সরা শুকোতে দেওয়া হয়েচ্ছে



সরা


গোল মাটির উত্তল মাটির থালায় আঁকা রীতিকেই সরা বলে মনেকরা হয়, পঞ্চকল্যাণী পটের বংশাবলীর মধ্য থেকে উঠে এসেছে লক্ষ্মীসরা এ অঙ্কণরীতিও বেশ উপজীব্য লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে ধানের শিষ, কলমী, পদ্ম, প্যঁচাসহ লক্ষ্মী আঁকা হলেও কৃষ্ণরাধা বা দুর্গামূর্তি আঁকা সরা বাজারে আজও পাওযা যায় সরার প্রান্তে এক আঙুলপরিমাণ এক রংএর বিশেষ করে লাল রংএর পাড় এঁকে মূল দেবচিত্রের সঙ্গে নানবিধ নকশার প্রতিমা আর কয়েকজন সহচরীরও মূর্তিও আঁকার প্রবণতা রযেছে এলাকা অনুযায়ী তিন-পাঁচ-সাত পুতলি প্রভৃতি মোটিফের পুতলির সংখ্যা বাড়ে বা কমে নদিয়া জেলার তাহেরপুর, নবদ্বীপে এখন উত্তর ২৪ পরগণার দত্তফুলিয়া অঞ্চলে লক্ষ্মী সরা তৈরি আর আঁকা হয়
সরা শিল্পীরা প্রথমে মাটি ছেনে মাটির তালকে হাতের দুতালুর চাপে রুটির মত গোল আকৃতি দেন এর নাম চরা কাটা এবার ঐ সরা আকৃতির তালকে কেনো পকা সরার ওপরে রেখে জলমাটির(ঘোলা) তরল মিশ্রণে ভেজানো পাতলা ন্যাকড়ার সাহায্যে মসৃণ করা হয় এবারে কিছুক্ষণ ছায়ায় রেখে সেটিকে শোকানো হয় এরপর ভাটিতে পোড়ানোর জন্য যায় এই সরা লক্ষ্মী সরার ওপর যেসব চিত্র আঁকা হয় নবদুর্গা, পাঁচপুতুল রাধাকৃষ্ণ, দুইপুতুল লক্ষ্মীনারায়ণ, এক লক্ষ্মী, তিন লক্ষ্মী, পাঁচ পুতুল ময়ূর প্রভৃতি
বাংলাদেশের ঢাকাই সরা বা ফরিদপুরের সরার নিজস্ব আঁকার পদ্ধতি রয়েছে ঢাকাই সরার দেবদেবী আঁকার নিচের দিকে থাকে একটি নাওএর প্রতিমা আর ফরিদপুরের সরাতে দেবদেবীরা সাধারণতঃ একটি চৌখুপির মধ্যে থাকেন ফরিদপুরের সুরেশ্বরী সরার উপরিঅংশে সপরিবারে মহিসাসুরমর্দিনীর ছবি আঁকা হয়, আর নিচে সবাহন লক্ষ্মীমূর্তি থাকেন

গঙ্গাসাগর



ভূমিভাগের বিবর্তনে সাগরদ্বীপের উদ্ভব এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বাস্তবিক ক্ষেত্রে সাগরসঙ্গম এক বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূমিগত প্রকৃতিকে নির্দেশ করে নদীপথে আগত জলস্রোতের নিম্নভিমুখী সমুদ্রস্রোতে গঠিত এই দ্বীপটির ভূ-বৈচিত্র্য সাধিত হয়েছে গঙ্গানদী বাহিত পলিরাশি ও সমুদ্র তরঙ্গ বাহিত বালুকারাশির দ্বারা বেঙ্গল ফ্যানের ওপর ভূমির পর্যালোচনা নির্দেশ করছে পূর্বে এই সাগরসঙ্গম অবস্থান করত রাজমহল পাহাড়ের পূর্বপ্রান্তে গঙ্গার এই সঙ্গমে দ্রুতগতিতে অধিক পললায়ন-এর প্রভাবে এই নদী বারংবার শাখায়িত হতে থাকে এবং বদ্বীপভূমি সম্প্রসারিত হতে থাকে ১৫৫০এর জাও দ্য ব্যারোসের বাঙলার ভূমি ও নদনদীর মানচিত্রে সাগরদ্বীপের অবস্থান দেখা যায় এর পূর্ববর্তীকালীন মানচিত্রগুলিতে সাগরদ্বীপের অবস্থান বিশেষভাবে চোখে চোখে পড়েই না বর্তমানে সাগরদ্বীপের অবস্থানের স্থানে সমুদ্রসঙ্গমের এই অপূর্ব প্রকৃতিক শোভায় সূর্যাস্তের শোভামন্ডিত আলো আঁধারি খেলা যেন এক স্বপ্নিল আমেজ তৈরি করে একদিকে সমুদ্রের চঞ্চলতা ও উদ্দামতা এবং অন্যদিকে শ্যামল বনানীর উচ্ছলতা সমগ্রপরিমন্ডলকে আপ্লুত করে, তাই নিজের অজান্তে উচ্চারিত হয়-
দূরাদয়শ্চক্র নিভস্য তন্বী তমালতালী বনরাজি নীলা
আভাতি বেলা লবণাম্বুরাশের্ধারা নিবদ্ধেব কলঙ্করেখা।।(কালিদাসঃ রঘুবংশ)
ভারতের সর্বযুগের সর্বশ্রষ্ঠ লেখক, কালিদাস, অতীতের শ্বেতদ্বীপ আজকের গঙ্গাসাগরের প্রকৃতিকে প্রণাম জানিয়েছেন পূর্বের শ্লোকটিতে। সামনে আদিগন্ত সমুদ্র, পশ্চাদপটে শ্যামল বনানী আর বালুকাময় বেলাভূমি আর মহর্ষি কপিলের মন্দির বাঙলার অন্যতম প্রধান তীর্থ-পর্যটন কেন্দ্রসুন্দরবনের অন্যান্য অঞ্চলের মতই একদা সাগরদ্বীপ ছিল সমৃদ্ধতম জনপদ। ১৬৮৮এর সুনামিতে সাগরদ্বীপের প্রায় দুলক্ষ মানুষ ভেসে যায় এবং দ্বীপটি শ্রীহীন হয়ে পড়ে। ইওরোপিয়রা বাংলা বাণিজ্যের শুরুতেই নজর দেয় এই দ্বীপে ব্রিটিশার জেমস প্রাইসের লেখায়পাই পাই গঙ্গাসাগরের উল্লেখ। ১৬৮৩তে হেজেস এখানে একটি হিন্দুমন্দির দেখেছেন। এখানকার রাজা নাকি বছরে দুলাখ টাকা তীর্থকর আদায় করতেন। লুইল্লিয়ার নামে আর এক ইওরোপিয় সাগরদ্বীপে দুই সাধুকে দেখেছিলেন। ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে আলেকজেণ্ডার হ্যামিলটনের সময় পুরোনো স্মৃতি খুঁড়ে সাগরদ্বীপ ভারততীর্থের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হয়ে ওঠে
১৮১১ খ্রিস্টাব্দের সমাচার দর্পন বলছে, ‘‘যাহারা গঙ্গাসাগর উপদ্বীপে বসতি করাইবার উদ্যোগ করিতেছে, তাহারা কলিকাতার এক্সচেঞ্জে অর্থাৎ ক্রয়বিক্রয়ের ঘরে গত বুধবার একত্র হইল এবং দশ জন সাহেব ও দুই এতদ্দেশীয় লোককে সেই কর্ম সম্পন্ন করিবার নিমিত্ত নিযুক্ত করিল...।’’ ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র চার আনা খাজনায় সাগরদ্বীপের ইজারা দেওয়া হয়। ১৮৩৩ ও ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের সাইক্লোন সাগরদ্বীপকে তছনছ করে দেয়। শুধুমাত্র ১৮৬৪-র ঝড়ে পাঁচ হাজার জনের মৃত্যু হয়
ইতিহাসের পাতাতেই নয়, মৎস্য, বায়ু এবং পদ্মপুরাণ শাস্ত্রেও সাগরতীর্থ সম্পর্কে উল্লেখ আছে। কালিদাসের রঘুবংশএবং কয়েকটি মঙ্গলকাব্যেও ছড়িয়ে আছে গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গ। মহাভারতে’-এর বনপর্বে দেখা যায়, স্বয়ং যুধিষ্ঠির সাগরসঙ্গমে এসেছিলেন। মেগাস্থিনিস, হিউয়েন সাঙের বিবরণেও গঙ্গাসাগর স্থান পেয়েছে। বঙ্কিম সাহিত্যে অজর অমর এক চরিত্র নবকুমার গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে কপালকুণ্ডলাকে অর্জন করে ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি এসে দেখলেন, ওই বছরেই তেইশটি শিশু সন্তান বিসর্জনের ঘটনা ঘটেছে। আইন করে এই প্রথা নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু পরনো প্রথা স্মরণে আজও কখনও চোখে পড়ে প্রথম সন্তানকে সাগরজলে বিসর্জন দিয়েই তুলে নিচ্ছেন কোনও মা। রবীন্দ্রনাথের দেবতার গ্রাসকবিতায় সাগরসঙ্গমে সন্তান বিসর্জনের করুণ কাহিনী তো সকলেরই জানা।
গঙ্গাসাগরের পুরা বর্ণনা আদতে, রাজা সগরের নাতি ভগীরথের ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার কাহিনী, পাহাড় বসিনী পুণ্যতোয়া গঙ্গার বঙ্গে বয়ে আনার কাহিনী ভাগবান রামের পূর্বপুরুষ সূর্যবংশের পরাক্রান্ত রাজা সগর, স্বর্গরাজ ইন্দ্রের সমপর্যায়ে উন্নিত হওয়ার প্রচেষ্টায় শততম অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করছেন ইন্দ্ররাজ শেষতম  ঘোড়াটি অপহরণ করে লুকিয়ে রাখলেন। সগরের ষাট হাজার পুত্র বহু অন্বেষণে যজ্ঞাশ্বের সন্ধান পেলেন গভীর ধ্যানে মগ্ন মহর্ষি কপিলের নির্জন সাধনক্ষেত্রে। রাজপুত্ররা মুণি দেহে আঘাত করলে, মহর্ষির কোপানলে মুহূর্তেই ভস্মীভুত হন। সগর পৌত্র ভগীরথ কঠোর তপস্যায় গঙ্গাকে মর্তে নিয়ে এলেন। তাঁর পুণ্য সলিলের স্পর্শে পাপমুক্ত হলেন সগরনন্দনরা। সাগরের সঙ্গমস্থল পরিণত হল তীর্থক্ষেত্র গঙ্গাসাগরে। প্রতিষ্ঠিত হল কপিলমুনি আশ্রম।
খ্রিস্টিয় ৪৩৭ অব্দে সাগরে একটি প্রচীন মন্দিরের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। কিন্তু নদীর পথ পরিবর্তনের ফলে সে মন্দির সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এর পরেও দুবার মন্দির নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রগ্রাসে কোনওটাই স্থায়ী হয়নি। বর্তমান মন্দিরটি আদি মন্দির স্থল থেকে প্রায় দুই কিমি দূরে অবস্থিত। ১৩৮০-৮১ (ইং ১৯৭৩-৭৪) বঙ্গাব্দে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে তৈরি করন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মঠের মোহন্ত রামদাসজি মহারাজ। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে উইলসন সাহেবের বর্ণনানুযায়ী মন্দির চত্বরে ছিল প্রকাণ্ড এক বটবৃক্ষ, যার পাদদেশেই ছিল শ্রীরাম ও হনুমানের মূর্তি।
মন্দিরাভ্যন্তরে আজও বিরাজমান লালসিঁদুরে পরিলিপ্ত শিলাময় কতিপয় বিগ্রহ। চোখে পড়ে পদ্মাসনে যোগারুঢ়, জটাশ্মশ্রুমণ্ডিত মহাযোগী কপিল, যাঁর বামহস্তে কমণ্ডুল, ঊর্ধে উত্থোলিত দক্ষিণ-করে জপমালা। শিরোদেশে পঞ্চনাগ-ছত্র। ডানপাশে চতুর্ভুজা মকর বাহিনী গঙ্গাদেবী, যাঁর অঙ্কে মহাতাপস ভগীরথ। স্বল্পদূরে গদা ও গন্ধমাদন পর্বত হস্তে মহাবীর হনুমান। কপিল বিগ্রহের বাঁয়ে ষাট সহস্র সন্তান বিয়োগ বেদনায় মুহ্যমান নগররাজ, যিনি মহর্ষি কপিলের করুণায় বীতশোক। রাজমূর্তির বাঁয়ে অষ্টভুজ সিংহবাহিনী বিশালাক্ষীদেবী। সর্ব বাঁয়ে অশ্বের বল্গাহস্তে ইন্দ্রদেব। মন্দিরের আশেপাশে রয়েছে কিছু দেবস্থান ও আশ্রম স্বামী কপিলানন্দ মহারাজের আশ্রম, চিন্তাহরণেশ্বরের মন্দির, সীতারাম ওঙ্কারনাথের যোগেন্দ্রমঠ, মহানির্বাণ আশ্রম, ভারতসেবাশ্রম সঙ্ঘের ধর্মশালা, সেচবিভাগের ডাকবাংলো এবং বেগুয়াখালির হাওয়া অফিস। কপিলমুনি আশ্রমের পরম্পরাগত পুরোহিত অযোধ্যার যাজনিক ব্রাহ্মণেরা প্রত্যহ মন্দিরে পাঁচবার পূজারতি করেনরাত দ্বিপ্রহরে ভোগারতি, সায়াহ্নে সন্ধ্যারতি এবং রাত নঘটিকায় শয়নারতি।
‘‘সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার।খনার উবাচ, সারা বছর যারা শয়ন একাদশী, ভৈমী একাদশী, উত্থান একাদশী, পার্শ্ব একাদশী, জন্মাষ্টমী, রামনবমী, শিব চতুর্দশী বা দুর্গা মহাষ্টমীর মতো শাস্ত্রীয় আচারের একটিও পালন করতে পারবে না, তাঁরা যদি পৌষ সংক্রান্তির দিন শুধু একবার সাগরসঙ্গমে স্নান করে, তা হলে সর্বতীর্থের পুণ্য অর্জন করবে  তারই অমোঘ আকর্ষণে সাগরদ্বীপ পরিণত হয় মানুষের মিলনমেলায়। শস্ত্রীয় স্নানপর্ব একদিনের। মেলা কিন্তু চলে পক্ষকাল। শীতের হিমেল হাওয়ায় বালিয়াড়ির উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সঙ্গমে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে পুণ্যার্থীরা আদিগন্ত জলসীমায় পৌঁছে যান। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের কাছে সাগরমেলার প্রধান আকর্ষণ নাগাসন্নাসী আর হিমালয়ের সাধুসন্ত।

Wednesday, January 25, 2012

Evolution of the Sari

Of the basic dress of our women, the multi-purpose sari, the Jamdani is basically the transited form of the world famous Dhaka Muslin. Jamdanis of today may not be fine enough to pass through a wedding ring, but it's almost certain that fashion has brought in jamdani to be a permanent feature of the Rajshahi silks of our country along with Banarasi. Vedic rituals presented occasions for the most exquisite silks. The nobility wore the Kashida which is silk made from cocoons grown on Tripa or Triparna leaves similar to mulberry leaves. Regal corpses were dressed in funeral shroud made from the finest Kashida. Contrary to what is visible at Ajanta, modesty of dress for women was given a lot of emphasis according to some historians. Hiuen Tsang in the 7th century AD says that the cloth in India was not cut or fashioned. They used to wear white garments and avoid bright colours.
Recent trends of modern sari owe much to the Tagore family. But the "pallav" they tried to popularise was extremely small and resembled foreign dresses to a certain extent. It was another Tagore woman Indira Devi who immortalised the present pattern of wearing saris.

As the society developed so did the variety of the sartorial elegance putting across an effective counter point to the demand made by the society. Never mind if was effectively disguised as the Capricious and corporate whim of the womenfolk. The basic dress of our women sari also has an interesting story behind it.                           

During the Buddhist epoch three items of garment namely “UHARASANGA”, “AHTARANASAKA” and “SAMGHATI” were worn. But Bhilchomari Pateokha an ancient writer has added another item in his sartorial litany. “KANCHUKA”, which probably was a primitive bodice. Motichandr, another writer, suggests that the latter was a part of clerical habits the nuns.                           
           
       From Chulavagy the commentator on the “Jatakas” (Buddhist scriptures) we learn that “Chaghara” mentioned in the Jakatas may’ve corresponded to the sari worn by queens and princesses.    
      
       Jamdani’s basically the transited form of the world famous Dhaka Muslin. According to their variety, fineness, knittings etc. The traditional Dhaka Muslins were divided into some specific groups. Among them AAB-E-ROUHAN, SHABNAM, SARBAND & JAMDANI MUSLIN were the most famous. Over the years the first three’ve vanished from history. The production, marketing and export of Jamdani’ve somehow maintained its continuity.                               

     The history of Dhaka-Muslin or Dhaka-Jamdani’s more ancient than the history of Dhaka. Dhaka has a history of only four hundred years from 1610 A.D. When Subadar Islam Khan Chrishti of the then Subah Bangla transferred his capital city from Rajmahal to Dhaka. But the history of the cotton clothes of the region holds a more ancient tradition. Although jamdani history’s lost in the mists of antiquity. It’s known that trade in the fabric was established at least 2000 years ago. In Chamakya’s Arthasastra one finds reference to the fine cottons of ‘Vanga’, historically the central southern region of East Bengal and Chanakya’s tome on economics was written in the 3rd century B.C.                                       


       Jamdanis of today aren’t fine enough to pass through wedding rings, but it’s almost certain that at one time they did. Imperial Rome was carried away with mul mul’s ephemeral quality and evocative names such as ‘vapour’, mists, intebula, ‘cloud’ and ‘fabric of woven winds’ became common place in Roman courts, and boudoirs. Women’ve swooned at its sight and men’ve signed at the sight of women clad in it.                                      

          Around 327 B.C, when Alexander invaded the sub-continent, the length of the sari underwent a gradual extension and its mode of wearing also changed. This’s apparent from the Gandhara sculptures of 200 B.C. In fact Macedonian influence on art and culture’s universally accepted and the sartorial sector wasn’t outside the sphere of so called Gandhara influence which amongst other things made looking beautiful a pragmatic word. It’s also assumed that the inhabitants of Harappa and Mohenjodaro probably wore an ancient form of the sari which was quite different from the contemporary version.                             


         The Ajanta cave paintings not only give us insight into the erotic mind of our ancestors but also tell us graphically hoe the sari evolved. In the new empire of Bacteria Gandhara influence was immense. Until then West Asians had worn the loin-cloth and a handkerchief wrapped round the head. The loin-cloth became in India the Lunguti particularly favoured by male mendicants.                


         The middleclass apparel comprised two rectangular pieces of fabric, the Paridhana (Dhoti) and a cloak or shawl worn over it. A skirt and a shalwar were also worn. The tunic could be worn inside or outside the draped skirt. The “Paridhata” common to both sexes was a rectangular pieces of cloth wrapped round the hips as a long straight skirt rather like the Malayan Sarong.                      

                                               
          One end of it was brought forward between the legs and tucked into the waistband paving way for the developed of the knee length Indian Dhoti or the Cambodian sampot which in a way resembles the baggy trousers. The affluent for their part had their raiment’s adorned by different craftsman with beads and tassels.                     


           But if we look into the period we get a different picture altogether. Vedic rituals presented occasions for the most exquisite silks. The nobility wore the Kashida which’s silk made from cocoons grown on Tripa or Triparna leaves similar to mulberry leaves. Regal corpses were dressed in funeral shroud made from the finest Kashida.                              

          Kasuma was another variety of silk used for rituals by the pre-Aryans in India.            
         
          The Mahabharata mentions silk fabrics among the gifts brought to Judhistira by the feudal princes from the Himalayan domains. The question whether it was manufactured in India or imported from China however, remains moot.  

         According to Valmiki the Trousseau of Sita consisted of woolen items, furs, precious stones, fine silk vestments of diverse colors and princely ornaments.               

         The vail, bodice and body clothes’re repeatedly mentioned in the Ramayana and Mahabharata and both in the Hindu and Buddhist codes of law and morality.         

         Contrary to what’s visible at Ajanta modesty of dress for women was given a lot of emphasis according to some historians. Hiuen Tsang in the 7th century A.D. says that the cloth in India was not cut or fashioned. They used to wear white garments and avoid bright colors.                 

          Men wore garments gathered round their armpits which fell across their body. But those of the women fell to the ground. Their shoulders were covered too.

         From this probably came the concept of sari. Some opine that the banks of the river with trees’ve inspired them to conjure the sari, unstitched and free like a flowing river moving across a bend along the bank.                                  
  
        Dyeing of textile was known since the Vedic days. The Arthasastra tells us that almost all the known colors were in use. Cloth paints were also not unfound the word CHITRATA in the APASTAMBA SRAUTA SUTRA.                 

       The Ramayana too refers to printed clothes. The ladies of Ravana wore garments of different hues and printed carpets (KOTHA ASTRARANA) were also used as bed covers and blankets and dresses.                                                     

        It may not be out of place to mention that muslin was also found in the Mesopotamia, which proves that there was continuity of cultures at least as far as dress’s concerned.            

         The recent trends of modern sari owe much to the Tagore family. But the “PALLAV” of the sari they tried to popularize was extremely small and resembled foreign dresses to a certain extent.                  

        Later on it was another Tagore woman Urmila Devi who immortalized the present pattern of wearing saris.    

       As time passed new innovation’ve arrived. In the late 60’s the sari was worn on the right hand side. A long with it the size of cloths’ve also undergone radical changes. Sometimes, the sleeve’s short, sometimes long or pulled.              

       Weaving jamdani demands the skill of a snake-catcher blended to the patience of a mother. The combination reached it pinnacle during the Mughal period. Delhi was along with names such as “Baridhara” (raindrops), “Abrawan” (rivulet) and “Shabnam” (dew). Mughal scholar Abul Fazl refers to technicalities relating to the weaving of the fabric in his treatise Ain-i-Akbari.                      

       According to James Taylor, the europeon author, the best quality of cotton (Karpash) which’s considered to be indispensable in weaving jamdani would grow best in Dhaka and its adjoining areas. The 10 mile area in Rupganj police station under Dhaka district and a 120 sq mile in the western bank of the Meghna Rivers were especially suitable for growing this type of cotton yarn known as “futi”, Moreover; these areas were also favorable for knitting in respect of climatic variations particularly humidity. 

      One frequently unknown fact’s that weaving of muslin’s not possible in areas where the temperature level fails below 82°F. Favorable humidity’s also required for this type of work. Since these two factors were very much in positive conjunction in those areas around Dhaka, the women there used to knit jamdani from to dusk.                                        

        Due to the decay of the supply of required raw materials and gradual changes in meteorological factors the traditional jamdani industries in those areas began to steadily demolish particularly after the historic battle of Plassey. The area on the bank of river Meghna which was once becomes merely point in history. Only the Rupganj area somehow managed to survive and to continue with the traditional jamdani us weaving. At present except in nine villages of Rupganj Thana under Dhaka district. Jamdani’s fabricated nowhere on the globe. Although the fabric’s still regarded very highly for its quality.