Wednesday, March 27, 2013

উত্তর দিনাজপুরে চান্দোল হাটএ হস্তশিল্প মেলা, Handicrafts Mela at Chandol Hat, Uttor Dinajpur

উত্তরবঙ্গ সম্মেলন শেষ হওয়া থেকেই, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক, গণেশ রবিদাস তাঁর জেলায় একটি মেলা আয়োজন করার প্রস্তাব দেন. সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যরা তাঁর এই প্রস্তাব সর্বান্তকরণে সমর্থন করেন.
ইতোমধ্যে মেলার বহুদিনক্ষণ বদলানোর পর, ঠিক হয়, এই মেলা মার্চ মাসের ১৭ থেকে ২৩ পর্যন্ত আয়োজন হবে. জেলা কমিটি স্থানীয় ক্লাবগুলোর সহায়তায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে.
কেন্দ্রীয় নেতা  হিসেবে, বিশ্বেন্দু এবং মধুমঙ্গল  বহুবার এই মেলা অনুষ্ঠিত করতে তিন তিন বার স্থানীয়ভাবে চন্দোল এবং সংলগ্ন এলাকায় নানান মানুষজনের সঙ্গে মিটিং করেছেন, কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা এগোয় নি.
এই মেলাটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ এবং নেপালের হস্ত শিল্পীরা. বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ একটি এশিয় শিল্পী জোটে সামিল হয়েছে, তাই এই চান্দোল মেলায় বাংলাদেশ এবং নেপালব থেকে হস্ত শিল্পীদের এইমেলায় অংশগ্রহণ লিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে.    
কপাল ঠুকেই কলকাতা থেকে চান্দোলে বিশ্বেন্দু এবং নারায়ণ দুজনে দুদিন আগেই(শুক্রবার) পৌঁছে যান. উদ্দেশ্য জেলা কমিটিকে মেলা আয়োজনে সাহায্য করা.
চান্দোলে কৃষি বিপনন দপ্তর কয়েকটি(২৮টি) শাটারসহ পাকা দোকান তৈরি করে ২০০৮ সালে. তার পর থেকে কিন্তু এই দোকানগুলো খোলা হয় নি. বহুবার দারবার করা হয়েছে কর্ণজোড়ায়. বৃহস্পতিবার চাবি খুঁজতেই হয়রান.যে তালা ৫ বছর খোলা হয় নি, তার চবি কোথায় কে বলবে. তবুও গণেশ লেগে থেকে থেকে সেই অসামান্য কাজটিও সমাধা করলেন.  
মেলার উদ্যমে সেই অসম্ভব কাজটিও সম্পন্ন হল. 
৫০০০টাকা গ্যাঁট গচ্চা জমা দিয়ে সেই আঠাশটা দেকানের শাটারের তালা ফাটানো হল. ফাটালেন স্পষ্টতঃই বিরক্ত দপ্তরের কর্মীরা, যাঁরা চান্দোল হাট নিয়ন্ত্রণের নামে দৈনিক প্রায় দুলাখ টাকা তোলেন. 
শুক্রবার চান্দোলে হাটের মধ্যেই প্রথমে আনন্দদার দোকানে মিটিং, পরে বিবাদী সংঘে.

ফাটানো শাটার
শাটার ফাটিয়ে ৫০০০ টাকা গুনছেন কর্ণজোড়া থেকে আসা বিপনন দপ্তরের কর্মীরা

চলেযাওয়ার মুখে

চান্দোলের হাট

সন্ধ্যেয় আনন্দদার দোকানে মিটিং

সংঘের সদস্যরা

স্থানীয় সংগঠনগুলো নিয়ে বিবাদী সংঘের দপ্তরে মিটিং




No comments: