Monday, September 17, 2012

বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ, বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের উত্তরবঙ্গ সম্মেলন প্রতিবেদন


বাঙলার একমাত্র লৌকিক কারিগর, বস্ত্র এবং অভিকর(পারফর্মিং আর্টিস্ট) শিল্পীদের একমাত্র সংগঠণ বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এবং বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল কোচবিহার শহরের লঙ্কাবর অঞ্চলের লঙ্কাবর গুণেশ্বর ক্লাব প্রাঙ্গণে, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২, ১৮ ভাদ্র, ১৪১৯ সকাল ১০টায়. লঙ্কাবর পিলখানা স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারী স্কুলে সংগঠণের এই সম্মেলন আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারনে এই সম্মেলনটি আয়োজিত হল গ্রামেরই এই ক্লাব প্রাঙ্গণে. উপস্থিত ছিলেন, জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মামহাশয়, স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধাণ বিমল বর্মণমহাশয়সহ আরও অনেক ব্যক্তি, উদ্বোধন করলেন প্রবীণ তন্তুবায় খগেন্দ্রনাথ বর্মণমহাশয়. এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠণের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিবৃন্দ. এছাড়ও উপস্থিত ছিলেন সংঘের কেন্দ্রিয় সদস্য মধুমঙ্গল মালাকার, বিশ্বেন্দু নন্দ এবং নারায়ণ পৈত. এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে জলপাইগুড়ির বিধায়ক ও বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া গায়ক এবং   ড. সুখবিলাস বর্মা সংগঠণদুটিকে শুভেচ্ছা জানান, এবং আগামীদিনে এই সংগঠণের রূপরেখা বর্ণনা করেন.
এই প্রথম রাজ্যের লৌকিক, পারম্পরিক কারিগগর, বস্ত্রবয়ন ও অভিকর শিল্পীরা একজোট হয়ে নিজেদের নানান সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন. এই সম্মেলনটি আয়োজন করছেন সংঘের কোচবিহার শাখা. বিগত বছরে পঞ্জীকৃত হওয়া, এই দুটি সংগঠণের শাখা ছড়িয়েছে অন্ততঃ ১৪টি জেলায়. প্রত্যেক জেলা থেকে শিল্পীরা এই উত্তরবঙ্গ সম্মেলনের কোচবিহার সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন. এছাড়াও নানান ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠণের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকেছেন এই সম্মেলনে.
বিগত এক বছর ধরে শুধুই সদস্যদের চাঁদা নির্ভরকরে এই সংগঠঠন বেড়ে উঠেছে বিশালভাবে, যার প্রতিফলন ঘটেছে সংগঠণদুটির উত্তরবঙ্গ সম্মেলনে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে. বিগত ১০-২০মে সংগঠণ কলাবতী মুদ্রা, ব্রতচারী সংগঠণ এবং গুরুসদয় সংগ্রহশালার সঙ্গে মিলে ১১ দিনের একটি উত্তরবঙ্গ উত্সবের আয়োজন করেছিল কোনও দাতা সংগঠণ, বিজ্ঞাপণ এবং সরকারি সাহায্য ছাড়াও. মেলায় দিনাজপুরের শোলা শিল্পী মধুমঙ্গল মালাকারের পারম্পরিক শেলা শিল্পের প্রদর্শণী হয়. মেলায় সারা বাঙলা থেকে প্রায় ৩৫ জনেরও বেশি শিল্পী এই মেলায় অংশগ্রহণ করে.
এই সম্মেলন উদ্বোধন করে জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা বলেন, এই সম্মেলনে উত্থাপিত নানা দাবি দাওয়া তিনি বিধানসভায় পৌঁছে দেওয়ার চিষ্টা করবেন. তিনি বলেন এই প্রথম বাঙলায় এই সবকটি গ্রামশিল্পের শিল্পীদের নিয়ে সংগঠণ গড়ে উঠছে. তিনি খুব খুশি. এবং প্রধান দুই উদ্যোক্তা বিশ্বেন্দু নন্দ এবং মধুমঙ্গল মালাকারকে তিনি বহু কাল থেকেই চেনেন. তিনি এদের কাজকর্মের উত্সাহ দেখে এদের পাশে দাঁড়াবার প্রতিজ্ঞা করছেন. সম্মেলনে বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক দেবব্রত চাকী, স্থনীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধাণ বিমল বর্মণ বক্তৃতা করেন.
এই দুটি সংগঠণ কোচবিহারে সম্মেলনের আয়োজনের নেতৃত্ব দান করছেন কোচবিহার শাখর সম্পাদক বাঁশ ও বেত শিল্পী, গৈরাঙ্গ বর্মণ এবং লঙ্কাবর এলাকার মহিলা পাটশিল্পীদের দল. পনের বছর আগে গৌরাঙ্গ বর্মণ এই অঞ্চলের মহিলাদের নিয়ে পাট ও বাঁশের প্রশিক্ষণ করেন এবং আজ প্রায় ৫০টিরও বেশি পরিবারের ভরণপোষণ হয় এই প্রশিক্ষণ কর্মে. সেই মহিলারাই গৌরাঙ্গ বর্মণের নেতৃত্বে বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এবং বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের প্রথম উত্তরবঙ্গ সম্মেলন আয়োজন করেছেন নিজেদের উদ্যোগেই. আজ এই মহিলারা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে সংঘের উদ্যোগে নতুন করে বাঁচতে চাইছেন, নতুন করে নব দিশার পানে যেতে চাইছেন. কেননা এই প্রথম বাঙলায় একটি সংগঠণ তৈরি হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং পারম্পরিক শিল্পীরা. এতদিন বাঙলায় যে সব সংগঠণ লৌকিক শিল্পীদের কাজ করেছেন, সেই সব সংগঠণে নেতৃত্বে ছিলেন অ-পারম্পরিক শিল্পীরা. তাই আজ এই সংগঠণ নতুন করে পারম্পরিক শিল্পীদের বাঁচার সুযোগ করে দিচ্ছে.
এই সংগঠণে সমগ্র উত্তরবঙ্গের জেগুলোর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন. এবং তাঁরা আগামী দিনে এই সংগঠণ, শিল্প, শিল্পীদের নানান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং এই ইস্যুগুলোকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়েও বিশদে বলেন.
সম্মেলন আগামীদিনে সংগঠণকে আরও ছড়িয়েদেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেষ হয়.

Sunday, September 16, 2012

Unaudited income-expenditure statement of Uttorrongo 12, উত্তররঙ্গ ১২র অপরীক্ষিত আয় ব্যয়ের হিসেব


খরচ(টাকায়)
৪০টি লোকবঙ্গ সম্মান ফলক                                                  ১৬,০০০
পোস্টার ছাপা, ফ্লেক্স তৈরি, লাগানো,                                             ১৮,০০০
আলো, মাইক                                                            ২৫,০০০
স্টেজ, ৩৫টি দোকানের জন্য ৩দিক ঘেরা প্যান্ডেল                                    ২৩,০০০
মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পরিচয়পত্র                                          ০২,২০০
১৫০ জন অংশগ্রহণকারী, লোকবঙ্গ সম্মানের জন্য মানপত্র ছাপা                           ০৩,০০০
খাওয়া, রাঁধুনি, কয়লা ইত্যাদি                                                 ৪০,০০০
বই ছাপা                                                               ০৭,০০০     
১০ নাটক দলগুলোর যাতায়াত খরচ                                               ৩০,০০০
১১ প্রাণকৃষ্ণ দে                                                             ০১,০০০
১২ সংবাদপত্র এবং নানান দূরদর্শনে প্রচারপত্র                                         ০৪,০০০
১২ প্রদর্শণী সংক্রান্ত খরচ                                                       ৫০,০০০
১৩ মেলার জন্য গাড়ি, বাস, ট্যাক্সি, ফোন ইত্যাদি                                      ১০,০০০
১৪ মেলার জন্য জেলায় যাতায়াত                                                 ০৩,০০০
১৫ অন্যান্য ছুটকোছাটকা খরচ                                                   ১০,০০০
মোট খরচ                                                                            ২,৪২,০০০
উঠেছে
মেলায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী এবং শিল্পীবন্ধুদের দান                                    ৭১,৫০০
কলাবতী মুদ্রা                                                             ১,০০,০০০
মধুমঙ্গল                                                                 ৭০,৫০০
                                                                                  ২,৪২,০০০
মেলায় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী হস্তশিল্পী, অভিকরশিল্পীর থাকার যায়গা বিনামূল্যে দিয়েছে বাঙলার ব্রতচারী সমিতি যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা
মেলার মাঠ এবং প্রদর্শণীর স্থান এবং কর্মশালা অনুষ্ঠানের স্থান বিনামূল্যে দিয়েছে গুরুসদয় সংগ্রহশালা সেটিরও আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা
রান্নার সরঞ্জাম, রান্নার স্থান সব বিনামূল্যে দিয়েছে বাঙলার ব্রতচারী সমিতি, এটির আর্থিক মূল্য ১০,০০০ টাকা
মোট                                                                                ১,১০,০০০
মোট                                                                                                                                           ৩,৫২,০০০
(সই) মধুমঙ্গল মালাকার, যুগ্মসম্পাদক, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ, অছি সভ্য, কলাবতী মুদ্রা, কলকাতা, ২৪ জুন ২০১২

Uttorrongo 12, উত্তররঙ্গ১২য় যাঁরা ধন্যবাদ জানানোর ঊর্ধে,


বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘের যে সব সদস্য মেলায় অংশ গ্রহণ করেছেন
১. শেখ বাদল ২. নিতাই নন্দী, ৩. হরিদাস নন্দী, ৪. টিঙ্কু নন্দী, ৫. ধনঞ্জয় পাল ৬. মনোরঞ্জন মন্ডল ৭. অশেক পাল, ৮. নারায়ণ পৈত. ৯. শংকর দাস, ১০. গৌরাঙ্গ বর্মণ, ১১. বুলবুল সরকার, ১২. নির্মল কর্মকার, ১৩. ভবানী বিশ্বাস, ১৪. সুশান্ত সরকার, ১৫. নেপাল সূত্রধর, ১৬. রতন বৈশ্য, ১৭. জোত্স্না দে, ১৮. সন্তোষ দে, ১৯. সোমেশ্বর সরকার, ২০. মালনবালা সরকার, ২১. প্রাণনাথ দে, ২২. প্রণব বিশ্বাস, ২৩. মনোজ কাজী, ২৪. দেবরাজ পারমার, ২৫. বাহার চিত্রকর, ২৬. জামেলা চিত্রকর, ২৭. শান্তি বৈশ্য, ২৮. রবীন্দ্রনাথ পাল, ২৯. পাখি, ৩০. শিবাণী দত্ত, ৩১. সোধন দাস, ৩২. শ্যামল মিস্ত্রী, ৩৩. মধু নায়েক, ৩৪. খুশবু খাতুন ৩৫. ধর্মরাজ পাল, ৩৬. সন্তোষ সরকার, ৩৭. নিমাই সরকার
বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘের যে সব সদস্য মেলায় অংশ গ্রহণ করেছেন
জিতেন বর্মণের সত্পীর আর বিষহরার দল - ১. জিতেন বর্মণ ২. বাবলু নস্কর, ৩. সোমারু বর্মণ, ৪. রাজকুমার সেন, ৫. নিরঞ্জন বর্মণ ৬. পঞ্চানন বর্মণ ৭. প্রিয়নাথ রায়, ৮. দধিমোহন রায়. ৯. নমিতা বর্মণ, ১০. বর্ণালী রায় পাখাধরা, ১১. প্রীতিলতা রায় পাখাধরা, ১২. হৈমন্তী অধিকারী, ১৩. দেবেশ্বর বর্মণ
বদ্রীনাথ বসাকের গমীরা, মুখাখেইলএর দল - ১. মনেরঞ্জন সরকার, ২. কাঞ্চন সরকার, ৩. কৈলাস সরকার, ৪. সোমেন সরকার, ৬. ভদরু সরকার, ৭. মলিন সরকার, ৮. পবিত্র সরকার, ৯. কলেন সরকার, ১০. শ্যামা সরকার, ১১. বদ্রীনাথ বসাক
গণেশ রবিদাসের খন নাটকের দল - ১. সুধন সরকার, ২. শঙ্কর সরকার, ৩. বদ্রীনাথ সরকার, ৪. কৈলাস দেবশর্মা, ৫. সুধন সরকার, ৭. শঙ্কর সরকার, ৮. নিমাই সরকার, ৯. শ্রীমন্ত সরকার, ১০. দয়াল সরকার, ১১. দুর্গা সরকার, ১২. আশানন্দ সরকার
ড. ললিতা ঘোষের কলাবতী মুদ্রা নাচের দল - ১. ভারতী প্রামাণিক ২. বিদিশা ঘোষ, ৩. সম্পূর্ণা চক্রবর্তী, ৪. ঊশ্রী নস্কর, ৫. শালিনী সিনহা, ৭. অদ্রিজা বিশ্বাস, ৮. পুবালী দত্ত, ৯. পিয়ালা দত্ত, ১০. পুর্ণিমা মজুমদার, ১১. অনামিকা দাস, ১২. অঙ্কিতা মজুমদার, ১৩, মেহুলি দাস, ১৪. স্নেহা প্রামীণিক, ১৫. মঞ্জিমা মজুমদার, ১৬. কৌশিকী গাঙ্গুলী, ১৭. প্রদীপ্তা পুরকাইত, ১৮. কোয়েল বিশ্বাস, ১৯. রিয়া পাল, ২০. মধুশ্রী বৈদ্য, ২১. অস্মিতা রায়চৌধুরী, ২২. ঋত্বিকা সামন্ত, ২৩. অনন্যা মুখার্জী, ২৪. স্নেহা চ্যাটার্জী, ২৫. মধুরাই পুরকায়স্থ, ২৬. অরুণিমা হালদার, ২৭. প্রিয়াঞ্জনী গুপ্ত, ২৮. অস্মিতা মাসির
মধুমঙ্গল মালাকারের দিনাজপুরের শোলাশিল্প প্রদর্শণীর কুশীলবেরা - ১. মধুমঙ্গল মালাকার, ২. সন্তোষ সরকার, ৩. নিমাই সরকার, ৪. বিশ্বেন্দু নন্দ, পরিচয়পত্র লিখন

যাঁদের রোজকার পরিশ্রম আর উদ্যোগেই উত্তরঙ্গ১২ উত্সব সফল হল


*        মেলা আহ্বায়ক, মধুমঙ্গল মালাকার, বিশ্বেন্দু নন্দ, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, ড.বিজন মন্ডল
*        অভ্যর্থনা কমিটি, ড.বিজন মন্ডল, শ্যামল মিস্ত্রী, নিমাই সরকার
*        প্রদর্শণী ও মেলা মাঠ কমিটি, বিজন মন্ডল, মধুমঙ্গল মালাকার, নারায়ণ পৈত
*        ব্যবস্থাপনা, ড.বিজন মন্ডল
*        প্রচার, বিশ্বেন্দু নন্দ, ড.বিজন মন্ডল 
*    সাংস্কৃতিক কমিটি, ড. ললিতা ঘোষ, মধুমঙ্গল মালাকার, গণেশ রবিদাস

UTTORRONGO A 12 Report, উত্তররঙ্গ ১২ সমীক্ষা


Uttorrongo 12: A dream come trueThis is the first time in the history of West Bengal, when in a statewide initiative of traditional artists, artisans, weavers & performing artists came together to form two different organizations, Bangiyo Paramparik Kaaru O Bastro Shilpi Sangho & Bangiyo Paramparik Abhikaar Shilpi Sangho. Kalaboti Mudra, a research & documentation pioneer of Bengal initiated and facilitated this initiative & some of its members associated themselves in this process.  
These two organization registered in the month of July, 2011. It has originated a new trend in the cultural landscape of Bengal to launch North Bengal in Southern counterpart without the help of Private or Government donor agencies, or any corporate help. To make this event successful large numbers of people came together to help, including the member artists, artisans & performing artists.
From January onwards, Kalaboti Mudra is planning to organize an exhibition of creative ritual sholapith products of Madhumangal Malakar of Dinajpur, who supposed to be the Joint Secretary of these two. He is one of the finest traditional creative artisans of Bengal who is practicing & preserving his forefather’s cultural icons like, Musk, Horse of Pir, marriage head gear of various communities and participated in various international forums. Later this plan grows and became UTTORONGO 12.  
It was decided that we will not approach any funding or donor agencies to meet its huge cost burden. We are just in the process of searching for friends. Who are willing to contribute not only in this social event, but will be with us. It is an inspiring fact that more and more people organization came together to meet the challenges.   
Then our members came together to make this happen. We have listed at least 100 artisans wanted to participate. But we could accommodate only 35, later came 50. Then came Banglar Bratachari Samity and Gurusaday Museum. Not only they lend their exhibition space, they give away their fair ground, their staying accommodation for more then 200 artists and artisans(for first 4 days), later 75+. They are kind enough to become co-organizers and promised us to lend their helping hand whenever we propose. With the help of these two organizations the date was set to 10th to 20th May, 2012. We have inaugurated UTTORONGO 12 on the birth day of Sri Gurusaday DuttJi.
The organizing committee had promised the members to provide food and tea, accommodation and a shop space. They are ready to participate with their creativity. And thus a new beginning, a new initiative was born out of nowhere. We deliberately choose  the courtyard of Gurusaday Museum because it is beyond the reach of Kolkata. The dwellers of Bratachari Gram patronized these artists and artisan. In these 11 day extravaganza at least artifacts of more than 12 to 15 lakh was sold. All the traditional participants are smiling happily.
UTTORONGO 12 created a space for togetherness to the artists & artisan in a new way so that it can instill an environment of exchange of ideas in between themselves. We had a plan to organize a Story Telling workshop every day, but we could not. We have handed over writing khata to the artisans to write their philosophy, ideas and life & livelihood. And we had a plan to publish these by their name.
We could not forget the participation of Mahasweta Devi how wrote not only in the daily Bartaman, but promised us to be with us. We are thankful to Joya Mitra, Aloka Mitra, Shaktiman Ghosh, Sukhobilas Barma aqnd all the media people who have published and aired out event very spcially.
On the last day Kalaboti Mudra have published DINAJPUR KATHA, an anthology of write ups of noted folk researcher, Sunil Chanda of Dinajpur. We have humbly present Sammanana to Smt Ruby Pal Choudhury and other friends of artists and artisans as a LOKBANDHU SOMMANONA. Artisans also gave sommanona to their fellow artists as LOKBANGA SOMMANONA. The whole event was inaugurated by sri Madhai Rai Mohanta, an octogenarian KHON THEATRE artist and playwright. On that occasion MLA Sukhobilas Barma, Ruby Pal Choudhury, Banrun Chakrabarty,  Madhumangal Malakar, Bireshji were present. 
On the last day with the participation of Joya Mitra, Ratan Basumajumder & Sunil Chanda, the event was declared to be closed to promised all to be present on the next year on the same place on the same time with more planning and vigor. 

Saturday, September 15, 2012

উত্তরবঙ্গ সম্মেলন, কোচবিহার, লঙ্কাবরএর কমিটিগুলি


উপদেষ্টা সমিতি
সুখবিলাস বর্মা
শক্তিমান ঘোষ
বিমল বর্মণ
সুনীল চন্দ
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
হৃদয় বর্মণ

আহ্বায়ক সমিতি
মধুমঙ্গল মালাকার
বিশ্বেন্দু নন্দ
নারায়ণ পৈত
গৌরাঙ্গ বর্মণ

অভ্যর্থনা সমিতি
গীতা বর্মণ
শান্তিলতা বর্মণ(প্রয়াত ধীরেন বর্মণের স্ত্রী)
ঝর্ণা বর্মণ
আরতি বর্মণ
গৌরী বর্মণ
হিরণী বর্মণ
সিন্ধুবালা বর্মণ

প্রস্তুতি সমিতি
গৌরাঙ্গ বর্মণ
নেপাল সুত্রধর
পরেশ সরকার
মাধাই মহান্ত
গণেশ রবিদাস
নারায়ণ পৈত
পরিমল রায়
জিতেন বর্মণ
গজেন মালাকার
বাবলু রায় পাখাধরা
নিতাই নন্দী

Wednesday, September 12, 2012

Uttorongo 12 Repoer2, উত্তররঙ্গ ১২ সমীক্ষা


*        কর্মদ্যোম
এমনই এক পড়ন্ত সময়ে বাঙলার লৌকিক ও আদিবাসী সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে কাজ করা কলাবতী মুদ্রা, গুরুসদয় সংগ্রহশালা, বাঙলার ব্রতচারী সমিতি, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এপ্রিল মাসের ১১ দিনের একটি উত্তরবঙ্গভিত্তিক লোক উতসব, প্রদর্শণী, এবং সম্মান প্রদর্শণ করল গুরুসদয় সংগ্রহশালায়, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি প্রতিনিধিস্থানীয় লোকনাট্য আর শোলাশিল্পকে সামনে রেখে

কলাবতী মুদ্রা ।। গুরুসদয় সংগ্রহশালা ।। বাঙলার ব্রতচারী সমিতি ।। বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ উত্তরঙ্গ ১২।। ১১

উত্তররঙ্গ ১২ সমীক্ষামধুমঙ্গল মালাকার বহুদিন ধরেই বিদেশে তাঁর শিল্প নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন শিল্পের প্রদর্শণী করছেন, বিভিন্ন সংগ্রহশালায় তাঁর কাজ প্রদর্শিত হচ্ছে গভীর ভালবাসায় অথচ বাঙলার সাংস্কৃতিক জগতে তাঁর স্থান আজও তরল, তথাকথিত লৌকিক জীবন নিয়ে কাজ করা গবেষকদের আজও চোখ পড়ে নি তাঁর কাজে ছুটকেছাটকা সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের কথা বাদ দিলে আজও দক্ষিণ দিনাজপুরের ইটাহারের গ্রাম মুস্কিপুরের শেলার কাজ ব্রাত্যই থেকে গিয়েছে লৌকিক গবেষণায় কলাবতী মুদ্রা এবং বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ তাই গুরুসদয় সংগ্রহশালায় উপস্থাপন করলেন মধুমঙ্গলের একক শিল্পকৃতি প্রদর্শণী তার সঙ্গে ছিল, যে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তাঁর কাজ ব্যবহৃত, সেই গমীরা নাচ(মুখা খেইল), ঘোড়া নাচের প্রদর্শণী ইত্যাদি নানান সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
যে লোকনাট্য একদা প্রাণিত করেছিল পশ্চিমবঙ্গের নানান নাট্য পুরোধাকে, সেই নাট্যগুলির গায়ে কেন ধূসর মৃত্যুর ছোঁয়া বিভাস চক্রবর্তীর নির্দেশনায় হালুয়া হালুয়ানির আঙ্গিক নিয়ে মাধব মালঞ্চী কইন্যার প্রয়োজনা ছাড়িয়ে যায় সমস্ত নাট্য রেকর্ড কিন্ত গ্রামীণ নাট্য সেই প্রান্তে কলাবতী মুদ্রা এবং তত্প্রণোদিত দুইটি সংস্থা, বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এবং বঙ্গীয় পারম্পরিক অভিকর শিল্পী সংঘ প্রত্যেক বছরই মে মাসের ১০ থেকে ২০, এগার দিনের একটি উত্তরবঙ্গভিত্তিক উত্সব – উত্তররঙ্গ  আয়োজন করতে থাকবে যে উত্সবে থাকবে উত্তরবঙ্গ সহ বাঙলার লোকনাট্য লোকনৃত্য, লোকসঙ্গীত উত্সব, পারম্পরিক শিল্প প্রদর্শণী, বাঙলার হস্তশিল্প মেলা, গল্পবলা এবং শিল্পী এবং শিল্পী বন্ধু সম্মাননা থাকবে কর্মশালা এবং প্রত্যেক সন্ধ্যায় শিল্পী এবং শিল্পবন্ধুদের গল্পবলার আসর – যে আসরে নিজেদের উন্মুক্ত করে শিল্পীরা বলবেন তাঁদের জীবনের, কর্মের, নানান লড়াই, আনন্দের কাহিনী – আর শহুরে গবেষকদের ভাষ্যে নয়, পারম্পরিক শিল্পীরাই হবেন নতুন সময়ের ভাষ্যকার
*        উদ্বোধন
প্রথম মেলাটি উদ্বোধন করলেন লোকনাট্য খনএর শিল্পী মাধাই রায় মহান্ত গ্রাম শিল্পের অভিভাবক মহাশ্বেতা দেবী কথা দিয়েও আসতে পারেন নি তিনি দুটি আশীর্বাণী দিয়েছেন বর্তমানেও লিখেছেন প্রধাণ অতিথির আসন অলংকৃত করতে অনুরোধ করা হয়েছিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী ড. মানস ভুঁইয়ামহাশয়কে তিন আসতে পারেন নি জনপ্রতিনিধি ও ভাওয়াইয়া গায়ক ড. সুখবিলাস বর্মা এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ছিলেন বাঙলার ব্রতচারী সমিতির কর্মকর্তারা
*        লোক অভিকর শিল্প
২০১২র মে মাসের ১০ থেকে ২০,  এই এগার দিনই নানান সাংস্কৃতিক কর্মাকান্ড উদযাপিত হল
*        সম্বর্ধণা
বাঙলার পারম্পরিক শিল্পীরাই তাঁদের বন্ধুদের সম্বর্ধনা দিলেন সম্বর্ধনা পেলেন গ্রামজীবনের বাইরে থাকা নাগরিক জীবনের নানান মানুষ, যাঁদের প্রচেষ্টায় এই পারম্পরিক গ্রামীণ শিল্পীদের কিছুটা হলেও সুগম ও উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সংগঠণ এই সম্মাননার নাম রাখছে শিল্পীদের জন্য লোকবঙ্গ সম্মাননা আর শিল্পীদের বন্ধুদের জন্য লোকবন্ধু সম্মাননা লোকশিল্পীরা এ বছর লোকশিল্পীদের প্রাণপ্রিয় অভিভাবক সুখবিলাস বর্মামহাশয়কে স্মরণ-বরণ-সম্মান প্রদর্শণ করলেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের দিনে 
*        দিনাজপুরের পারম্পরিক শোলা শিল্প প্রদর্শণী ও কর্মশাল
অন্ততঃ পাঁচ প্রজন্মের শোলাশিল্পী মধুমঙ্গল মালাকারের আচারভিত্তিক নানান সৃষ্টি নিয়ে একটি প্রদর্শণী আয়োজন করা হল উল্লেখ্য মধুমঙ্গল নিজে বাঙলার শিল্পীদের নিয়ে তৈরি দুটি গণ সংগঠণের যুগ্ম-সম্পাদকও বটে এই প্রদর্শণীতে প্রদর্শিত হল আদিবাসী, হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের বিয়ের মুকুট বা ফুল, দশ ধরণের মনসার এবং চন্ডীর মেল্লি(মঞ্জুষ), আকাশপ্রদীপ বা আকাশ বাতি, ফানুষ, অথায়-পাথায়, বেড়া ভাসান, মহরমের ঘোড়া , তাজিয়া, আদিবাসী ঘোড়া, গ্রাম পুজার নানান আচার সামগ্রী,  সরস্বতীসহ নানান দেবদেবীর গয়নার সেট, শোলার মুখোশ, শোলার ফুল, কদম, বাঁশের বোনা মুখোশসহ মোট ৪৫টি সৃষ্টি
প্রত্যেকটি সৃষ্টির সঙ্গে একটি করে লেখনী ছিল, যার দ্বারা মধুমঙ্গলের পারম্পরিক কাজকর্মের নানান দিক উদ্ভাসিত হয়
*        কর্মশালা এই প্রদর্শণী চলাকালীন মধুমঙ্গল মালাকার শোলা শিল্প, নেপাল সুত্রধর ছো মুখোশ, ধনঞ্জয় পাল, পোড়ামাটি, ভবানী বিশ্বাস কাঠেরকাজের কর্মশালা আয়োজন করলেন
*        লৌকিক মেলা উত্তরবঙ্গসব বাঙলার নানান পারম্পরিক উত্পাদিত দ্রব্য সমন্বয়ে একটি মেলারও আয়োজন করা হল সেই এগারদিন এই মেলাতে ঘুঘুমারির শীতলপাটি, দিনাজপুরের শোলা শিল্প, পোড়া মাটি শিল্প, বাঁশ শিল্প, কাঠ শিল্প, গালিচা শিল্প, কলাতন্তু শিল্প, ধোকড়া বুনন, গয়না জনরা, দার্জিলিংএর নকশালবাড়ির কাঠ ও চা গাছের গুঁড়ির শিল্প, জলপাইগুড়ির পোড়ামাটির শিল্প, মালদার বাঁশ শিল্পও উপস্থিত হতে পারে এছাড়াও থাকবে দক্ষিণ বঙ্গের নানান কারু শিল্পও প্রায় ৩৪ জন পারম্পরিক শিল্পী এই মেলায় অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে বিশেষগুরুত্বসহকারে প্রদর্শণ করা হল পুরুলিয়ার শবর শিল্প পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে রোজ মধু নায়েক মাঠে বসেছেন তাঁর পশরা নিয়ে
*        হস্তশিল্প- শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, উত্তররঙ্গকে সফল করতে এসেছেন সারা বাঙলা থেকে নানান সদস্য
শবরশিল্প – মধু নায়েক, পশ্চিম মেদিনীপুর ২ শোলাশিল্প – মধুমঙ্গল মালাকার, দিনাজপুর ২ বাঁশ শিল্প ও আসবাবপত্র – গৌরাঙ্গ বর্মন, কুচবিহার ৩ দার্জিলিংএর কাঠ শিল্প – ভবানী বিশ্বাস, দার্জিলিং ৪ শীতলপাটি ও শীতলপাটির নানান দ্রব্য- জোত্সনা দে, কুচবিহার ৫ উত্তরবঙ্গের কাঠের মুখোশ –সোমেশ সরকার, দিনাজপুর ৬ বাঁশের মুখোশ, আসবাব – শান্তি বৈশ্য, রতন বৈশ্য, দিনাজপুর ৭ ধোকড়া – মালনবালা সরকার, দিনাজপুর ৮ কলাগাছের আঁশের পাটি - মালনবালা সরকার, দিনাজপুর ৯ ছো মুখোশ – নেপাল সূত্রধর, চড়িদা ১০ চা গাছের আসবাবপত্র - ভবানী বিশ্বাস, দার্জিলিং ১১ পেতলের কাজ – রবীন্দ্রনাথ পাল, নবদ্বীপ, ১২ পাট – নারায়ণ পৈত, ২৪ পরগণা ১৩ পাথরের তৈজস – শ্যামল মিস্ত্রি, বেলপাহাড়ি  ১৪ ঝুড়ি, কুলো - শান্তি বৈশ্য, দিনাজপুর ১৫ পট - জামেলা চিত্রকর, বাহার চিত্রকর, মেদিনীপুর ১৬ ডোকরা – পারমার ১৭ কৃষ্ণনগরের পুতুল – ধর্মরাজ পাল, নদিয়া ১৮ তালপাতার সেপাই – সুনীল দাস, ২৪ পরগণা ১৯ মাটি – ধনঞ্জয় পাল, ২৪ পরগণা ২০ বীজের গয়না – খুশবু, বীরভূম ২১ গয়না – গড়বেতা, বীরভূম, বর্ধনাম, কলকাতা, নবদ্বীপ ২২ প্রাণনাথ দাস – বেত ২৩ হরিদাস নন্দী – শঙ্খ, বাঁকুড়া ২৪ পোড়া মাটির গয়না – শ্যামলী দত্ত, কলকাতা, ২৫ গয়না – পাখি, নবদ্বীপ, ২৫ গয়না – শেখ বাদল, বর্ধমান, ২৬ গয়না শেখ মনোজ বীরভূম এবং আরও অনেকে...
*        অনুষ্ঠান নির্ঘন্ট
১০ মে ২০১২ – উদ্বোধন – বিকেল ৪টেয় - মাধাই মোহান্ত ৪.২০ সুখবিলাস রুবি পালচৌধুরী ও অন্যান্য সুধী বরণ, ৪.৩৫ - লোকবঙ্গ ও শিল্পীবন্ধু সম্মাননা, ৫.৩০ – ৮.০০ – খন লোকনাট্য, বন্ধুয়ালা গান, ব্রতচারী নৃত্য
১১ মে, ৫ টা থেকে ৬টা কর্মশালা, ৬টা থেকে ৮টা – গমীরা, খন এবং তুখ্যাগান,
১২ মে, ২০মে, ১১-৭টা শোলা শিল্প প্রদর্শনী, ২-৯টা মেলা, ৫ টা থেকে ৬টা কর্মশালা, ৬টা থেকে ৭টা - বাঙলার লোকনৃত্য
*        পুস্তক প্রকাশ ও অনুষ্ঠান সমাপ্তি
২০ মে, ২০১২ এক বর্ষণমুখ সন্ধ্যায় জয়া মিত্র, রতন বসু মজুমদার এবং দিনাজপুর কথার লেখক সুনীল চন্দর উপস্থিতিতে উত্তররঙ্গ ১২র মধুর পরিসমাপ্তি ঘটে পুস্তকটি উন্মোচন ঘটান জয়া মিত্র পায়েসান্ন সেবনে এবং পরের বছর নতুন করে এই মেলা আয়োজনের করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে শুরু হল উত্তররঙ্গ ১৩