১) মনে রাখতে হবে তাঁত ব্যবস্থা একটা বাস্তুতন্ত্র অর্থাৎ তাঁতি নির্ভর করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারিগরদের কাজের গুণমানের ওপর। তাঁতির কাজ সর্বশেষ পর্যায়, বোনা। তাঁর আগে তাঁত ব্যবস্থা অনেকগুলো ধাপ পেরোয়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। তাঁত ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে শুধুই তাঁতি নির্ভর। সমস্যা সেখানেই।
২) গত আড়াইশ বছর ধরে একে একে আড়ং ব্যবস্থায় সেই ধাপগুলি ধ্বংস হয়েছে অর্থাৎ তাঁতের সঙ্গে জুড়ে থাকা অন্যান্য কারিগর সরে গিয়ে শুধু তাঁতি নির্ভর হয়েছে এই উৎপাদন ব্যবস্থা
২ক) এখন বাংলায় তুলো উৎপাদন হয় না। সেটা বড় সমস্যা। সে প্রবণতা ব্রিটিশেরা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা ফেরাতে পারি নি।
৩) চরকা কাটনি এবং প্রাকৃতিক রঙএর রঞ্জক(ডাই মাস্টার) আজ প্রায় অদৃশ্য - সেগুলি এখন মিল থেকে কেনা কাঁচামালে সাধিত হয়। ফলে চরকা কাটনি আর রঞ্জক তাঁতিদের থেকে যে লাভ করত এবং তাঁতি তাঁদের থেকে পণ্য কিনে যে লাভ সঞ্চয় করত সেইটা সমাজে থেকে যেত। সেই উদ্বৃত্তের কিছুটা তাঁত ব্যবস্থা পাস করে দিত ভোক্তাদের কাছে - ভোক্তারা কম মূল্যে পণ্য পেত - গোটা বাস্তুতন্ত্র একযোগে কাজ করত - প্রচুর কর্মসংস্থান হত। আজ আড়ং ব্যবস্থা উঠে যাওয়ায় সেই লাভটা চলে যাচ্ছে মিল মালিকদের হেফাজতে। কাপড় তৈরি খরুচে ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ তাঁতের সঙ্গে জুড়ে থাকা কারিগরদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
৩ক) মহিলারা যে কোনও কারিগরির অক্ষদণ্ড। তারা তাঁত ব্যবস্থায় প্রায় নেই - কিছু সামান্য নাটাই ইত্যাদি পারিবারিক কাজে হাত লাগানো ছাড়া। গ্রামে এক সময়য় সর্বস্তরের মহিলা সুতো কাটতেন। সেটা ধ্বংস হয়েছে। গ্রামে বিপুল কর্ম সংস্থান হয় না।ফলে গ্রামের মানুষের তাঁত নির্ভরতা চলে যাচ্ছে।
৪) মূল আড়ংএর মত ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো যদি না তৈরি করা যায় তাহলে আম আদমির জন্যে হাতে তৈরি তাঁতের বিলয় সময়ের অপেক্ষা।শুধু থেকে যাবে বসাকপাড়ার ধনী তাঁতিরা, যারা লক্ষ লক্ষ টাকার তাঁতের কাপড় বেচবে শুধুই ধনীদের।
৫) রাজনৈতিক ভর্তুকি ইত্যাদি কাজকর্ম শুধুই মৃত্যুমুখে যাওয়া রোগীকে কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা।
৬) তাঁতের সঙ্গে থাকা তাঁতিরা এবং সেই ব্যবস্থায় থাকা বিশেষজ্ঞরা মূল জায়গায় হাত দেয় না। যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাঁদের সিঠিক বিষয় অবহিত না করে শুধু ভর্তুকি রাজত্ব চালাবার পক্ষে সওয়াল করেন। কারিগরি ব্যবস্থা শুধুই ভর্তুকিতে চলতে পারে না - যদি না তাঁর স্বতঃচল অর্থনীতি সবল হয়।
৭) এক নতুন এমপির সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। তার এলাকার তাঁতিদের সংগঠন এবং কোঅপারেটিভগুলি তাঁর কাছে তাঁতের রিভাইভ্যাল প্যাকেজ হিসেবে যান্ত্রিক তাঁত চেয়েছে।
8) ঔপনিবেশিক রাজনীতি করা সব দলের রাজনীতিক মনে করেন বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র দেওয়াই কারিগরদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়।
২ক) এখন বাংলায় তুলো উৎপাদন হয় না। সেটা বড় সমস্যা। সে প্রবণতা ব্রিটিশেরা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা ফেরাতে পারি নি।
৩) চরকা কাটনি এবং প্রাকৃতিক রঙএর রঞ্জক(ডাই মাস্টার) আজ প্রায় অদৃশ্য - সেগুলি এখন মিল থেকে কেনা কাঁচামালে সাধিত হয়। ফলে চরকা কাটনি আর রঞ্জক তাঁতিদের থেকে যে লাভ করত এবং তাঁতি তাঁদের থেকে পণ্য কিনে যে লাভ সঞ্চয় করত সেইটা সমাজে থেকে যেত। সেই উদ্বৃত্তের কিছুটা তাঁত ব্যবস্থা পাস করে দিত ভোক্তাদের কাছে - ভোক্তারা কম মূল্যে পণ্য পেত - গোটা বাস্তুতন্ত্র একযোগে কাজ করত - প্রচুর কর্মসংস্থান হত। আজ আড়ং ব্যবস্থা উঠে যাওয়ায় সেই লাভটা চলে যাচ্ছে মিল মালিকদের হেফাজতে। কাপড় তৈরি খরুচে ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ তাঁতের সঙ্গে জুড়ে থাকা কারিগরদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
৩ক) মহিলারা যে কোনও কারিগরির অক্ষদণ্ড। তারা তাঁত ব্যবস্থায় প্রায় নেই - কিছু সামান্য নাটাই ইত্যাদি পারিবারিক কাজে হাত লাগানো ছাড়া। গ্রামে এক সময়য় সর্বস্তরের মহিলা সুতো কাটতেন। সেটা ধ্বংস হয়েছে। গ্রামে বিপুল কর্ম সংস্থান হয় না।ফলে গ্রামের মানুষের তাঁত নির্ভরতা চলে যাচ্ছে।
৪) মূল আড়ংএর মত ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো যদি না তৈরি করা যায় তাহলে আম আদমির জন্যে হাতে তৈরি তাঁতের বিলয় সময়ের অপেক্ষা।শুধু থেকে যাবে বসাকপাড়ার ধনী তাঁতিরা, যারা লক্ষ লক্ষ টাকার তাঁতের কাপড় বেচবে শুধুই ধনীদের।
৫) রাজনৈতিক ভর্তুকি ইত্যাদি কাজকর্ম শুধুই মৃত্যুমুখে যাওয়া রোগীকে কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা।
৬) তাঁতের সঙ্গে থাকা তাঁতিরা এবং সেই ব্যবস্থায় থাকা বিশেষজ্ঞরা মূল জায়গায় হাত দেয় না। যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাঁদের সিঠিক বিষয় অবহিত না করে শুধু ভর্তুকি রাজত্ব চালাবার পক্ষে সওয়াল করেন। কারিগরি ব্যবস্থা শুধুই ভর্তুকিতে চলতে পারে না - যদি না তাঁর স্বতঃচল অর্থনীতি সবল হয়।
৭) এক নতুন এমপির সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। তার এলাকার তাঁতিদের সংগঠন এবং কোঅপারেটিভগুলি তাঁর কাছে তাঁতের রিভাইভ্যাল প্যাকেজ হিসেবে যান্ত্রিক তাঁত চেয়েছে।
8) ঔপনিবেশিক রাজনীতি করা সব দলের রাজনীতিক মনে করেন বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র দেওয়াই কারিগরদের বাঁচানোর একমাত্র উপায়।
সেটা এখন কারিগরেরা ভাবতে শুরু করেছেন।
সেটাই আতঙ্কের।
সেটাই আতঙ্কের।