সুশীল চৌধুরী ফ্রম প্রসপারিটি টু ডিক্লাইন লিখে বাংলাকে নতুন চোখে দেখতে উতসাহ দেন, নানান মিথ ভাঙতে সাহায্য করেন। যে মিথগুলি ঐতিহাসিক তথ্যে পরিণত হয়েছে নানান প্রখ্যাত ইওরোপমন্য ঐতিহাসিকের উদ্যমে - বিশেষ করে কেম্ব্রিজ ঐতিহাসিকদের ভাবনায়, সেগুলি মিথ্যে প্রমান করেছেন।
পলাশীপূর্ব বাংলার মূলত ব্যবসা এবং কিছুটা রাজনীতি নিয়ে যত সব কুৎসিত প্রচার আছে তার অধিকাংশ একে একে বুক চিতিয়ে তথ্য দিয়ে মিথ্যে প্রমান করেছেন অসামান্য ঐতিহাসিক সুশীল চৌধুরী ফ্রম প্রসপারিটি টু ডিক্লাইন বইটিতে। কীর্তি নারায়ণ চৌধুরী, ওম প্রকাশ, পিটার মার্শাল, ক্রিস্টোফার বেইলি, রজত কান্ত রায়, ব্রিজেন গুপ্ত, তপন রায়চৌধুরীদের মত কেম্ব্রিজ ঘরাণার তাবড় ঐতিহাসিক বা যদুনাথ সরকার বাংলার নবাবি আমল নিয়ে যে সব নিন্দাসূচক মিথ তৈরি করে দিয়েছেন, যে মিথগুলি বাংলা ইতিহাস চর্চার ভিত হিসেবে আজও গণ্য হয়, যেমন
১/ নবাবেরা/সিরাজ তোলাবাজ ছিলেন, এবং নবাবি অত্যাচারে ইওরোপিয়রা বাংলা ব্যবসা এত কমিয়ে দেয় যে বাংলার অর্থনীতি ধ্বংস হয়,
২/ তারা ইওরোপ থেকে এত দামি ধাতু আনত যে বাংলার শ্রেষ্ঠ মহাজন জগতশেঠের কুঠি এবং জমিদার দরবারি অভিজাত ইওরোপিয়দের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং তারা দামি ধাতু আনা কমিয়ে দিলে জগতশেঠেরা অসহায় হয়ে যায় এবং নবাবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে
৩/ যার ফল পলাশী - এতে ইংরেজদের কোন লেনাদেনা নেই, মুল কারবারী মহাজন/ব্যাঙ্কার, অভিজাত আর জমিদার, ইংরেজরা চতুর্থ পক্ষ ছিল, এটা তাদের কাছে চৌদ্দ আনা বিশেষ,
৪/ দাদনি ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় চলে যাওয়া বাংলার অর্থনীতি পতনের লক্ষ্মণ - পলাশীর আগে ইওরোপিয়রা দামি ধাতু আনা কমিয়ে দেওয়ায়, বর্গীর হামলায় বাংলার অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায়, বাজারে পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়ে যাওয়ায় বাংলার ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ধংস হয় এবং দাদনি বণিকেরা দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ায় ইওরোপিয়রা এই সামগ্রিক ধ্বংসের প্রভাব থেকে বাঁচতে দাদনি ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় চলে যায়। এই মিথকে অসামান্য বাস্তব ঘটনা এবং তথ্য দিয়ে মিথ্যে প্রমান করেন তিনি।
৫/ পলাশীর জন্যে ব্রিটিশেরা সরাসরি দায়ি নয় এই মিথও মিথ্যে প্রমান করেছেন সুশীলবাবু।
৬/ ব্রিটশরা মিথ্যে ফরমান দস্তক দেখিয়ে ব্যবসা করত
৭/ পলাশীর আগের দু দুশক ইংরেজদের বেআইনি ব্যক্তিগত ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকায় তাদের ব্যবসা কমতে থাকে আর ফরাসীদের বাড়তে থাকে,
৮/ বাংলার বণিকেরা সামগ্রিক ইওরোপিয়দের থেকে দেড়গুণ বেই ব্যবসা করত
৯/ ফলে বাংলার ব্যবসা জগতে পলাশীপূর্ব সময়ে ইওরোপিয়রা কোনও প্রভাব ফেলতে পারে নি
১০/ বাংলার কারিগরেরা বণিকেরা দাদন ফিরিয়ে দিতে পারত
এ ছাড়াও আরও নানান ইওরোপমন্য মিথকে মিথ্যেতে রূপান্তরিত করেছেন প্রণম্য সুশীল চৌধুরী মশাই।
এই বইএর অনুবাদের সঙ্গে জুড়ে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি কারণ বাংলা নিয়ে দৃষ্টিহীন আমি বাংলা মা'কে নতুন রূপে দেখতে পাচ্ছি।
জয় বাংলা!
১/ নবাবেরা/সিরাজ তোলাবাজ ছিলেন, এবং নবাবি অত্যাচারে ইওরোপিয়রা বাংলা ব্যবসা এত কমিয়ে দেয় যে বাংলার অর্থনীতি ধ্বংস হয়,
২/ তারা ইওরোপ থেকে এত দামি ধাতু আনত যে বাংলার শ্রেষ্ঠ মহাজন জগতশেঠের কুঠি এবং জমিদার দরবারি অভিজাত ইওরোপিয়দের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং তারা দামি ধাতু আনা কমিয়ে দিলে জগতশেঠেরা অসহায় হয়ে যায় এবং নবাবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে
৩/ যার ফল পলাশী - এতে ইংরেজদের কোন লেনাদেনা নেই, মুল কারবারী মহাজন/ব্যাঙ্কার, অভিজাত আর জমিদার, ইংরেজরা চতুর্থ পক্ষ ছিল, এটা তাদের কাছে চৌদ্দ আনা বিশেষ,
৪/ দাদনি ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় চলে যাওয়া বাংলার অর্থনীতি পতনের লক্ষ্মণ - পলাশীর আগে ইওরোপিয়রা দামি ধাতু আনা কমিয়ে দেওয়ায়, বর্গীর হামলায় বাংলার অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায়, বাজারে পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়ে যাওয়ায় বাংলার ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ধংস হয় এবং দাদনি বণিকেরা দুর্দশাগ্রস্ত হওয়ায় ইওরোপিয়রা এই সামগ্রিক ধ্বংসের প্রভাব থেকে বাঁচতে দাদনি ব্যবস্থা থেকে গোমস্তা ব্যবস্থায় চলে যায়। এই মিথকে অসামান্য বাস্তব ঘটনা এবং তথ্য দিয়ে মিথ্যে প্রমান করেন তিনি।
৫/ পলাশীর জন্যে ব্রিটিশেরা সরাসরি দায়ি নয় এই মিথও মিথ্যে প্রমান করেছেন সুশীলবাবু।
৬/ ব্রিটশরা মিথ্যে ফরমান দস্তক দেখিয়ে ব্যবসা করত
৭/ পলাশীর আগের দু দুশক ইংরেজদের বেআইনি ব্যক্তিগত ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকায় তাদের ব্যবসা কমতে থাকে আর ফরাসীদের বাড়তে থাকে,
৮/ বাংলার বণিকেরা সামগ্রিক ইওরোপিয়দের থেকে দেড়গুণ বেই ব্যবসা করত
৯/ ফলে বাংলার ব্যবসা জগতে পলাশীপূর্ব সময়ে ইওরোপিয়রা কোনও প্রভাব ফেলতে পারে নি
১০/ বাংলার কারিগরেরা বণিকেরা দাদন ফিরিয়ে দিতে পারত
এ ছাড়াও আরও নানান ইওরোপমন্য মিথকে মিথ্যেতে রূপান্তরিত করেছেন প্রণম্য সুশীল চৌধুরী মশাই।
এই বইএর অনুবাদের সঙ্গে জুড়ে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি কারণ বাংলা নিয়ে দৃষ্টিহীন আমি বাংলা মা'কে নতুন রূপে দেখতে পাচ্ছি।
জয় বাংলা!