আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় পাতার মিত্তিরজা'র আশ্লীল সাক্ষাতকারটা(তবু লাল ঝাণ্ডা দেখলে
আমি এখনও স্বপ্নময়) আজকের আনন্দবাজারে(১৮ পৌষ, ৩০ ডিসেম্বর) কি কেউ পড়েছেন?
মিত্তিরজাকে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে কিন্তু বাম্পন্থীরা কোনও দিনই তেমন এগোতে পারে নি, এর উত্তরে সারা জীবন বড় পুঁজির দাসত্ব করেও বিপ্লবী থেকে যাওয়া মিত্তিরজা অম্লান বদনে বলছেন -
তার কারণ ব্যাপক নিরক্ষরতা হেতু সমাজসচেতনতার প্রগাঢ অভাব ... এবং কেরলে কেন বামপন্থীরা সফল তার কারণ ...গরীব মানুষদের একটু-আধটু লেখা পড়ার শেখবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
মিত্তিরজাকে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে কিন্তু বাম্পন্থীরা কোনও দিনই তেমন এগোতে পারে নি, এর উত্তরে সারা জীবন বড় পুঁজির দাসত্ব করেও বিপ্লবী থেকে যাওয়া মিত্তিরজা অম্লান বদনে বলছেন -
তার কারণ ব্যাপক নিরক্ষরতা হেতু সমাজসচেতনতার প্রগাঢ অভাব ... এবং কেরলে কেন বামপন্থীরা সফল তার কারণ ...গরীব মানুষদের একটু-আধটু লেখা পড়ার শেখবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
সাধারণ মানুষ নিয়ে ঔপনিবেশিক মধ্যবিত্তের এই অশ্লীল বচন আর কত কাল? গোড়ায় গলদই থেকে গিয়েছে।
কার্ল মার্ক্স কোনোদিনই ভারতীয় গ্রামীণদের বিষয়ে খুব উচ্চধারণা পোষণ করতেন না - ফলে তার অনুগামীরাও তাঁর পথে হেঁটেছেন, আজও হাঁটছেন - এবং ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্তিয় চালচলনে অতিরিক্ত উতসাহী - তাই তাত্ত্বিক আলোচনার আধিবেশনের নাম হয় প্লেনাম, যে কোনো গণসঙ্গঠনের নাম দেওয়া হয় ইংরেজিতে।
মার্ক্স The British Rule in India প্রবন্ধে, (https://www.marxists.org/archive/marx/works/1853/06/25.htm) লিখছেন We must not forget the barbarian egotism which, concentrating on some miserable patch of land, had quietly witnessed the ruin of empires, the perpetration of unspeakable cruelties, the massacre of the population of large towns, with no other consideration bestowed upon them than on natural events, itself the helpless prey of any aggressor who deigned to notice it at all. We must not forget that this undignified, stagnatory, and vegetative life, that this passive sort of existence evoked on the other part, in contradistinction, wild, aimless, unbounded forces of destruction and rendered murder itself a religious rite in Hindostan. ...We must not forget that these little communities were contaminated by distinctions of caste and by slavery, that they subjugated man to external circumstances instead of elevating man the sovereign of circumstances, that they transformed a selfdeveloping social state into never changing natural destiny, and thus brought about a brutalizing worship of nature, exhibiting its degradation in the fact that man, the sovereign of nature, fell down on his knees in adoration of Hanuman, the monkey, and Sabbala, the cow( New-York Daily Tribune, June 25, 1853 প্রকাশিত)।
মার্ক্সএর মতে গ্রাম ভারত মিথ্যা ধর্ম এবং কুসংস্কারের দাস, এবং প্রকৃতি পুজক- brutalizing worship of nature। এখানেই না থেমে আরও বড় করে বললেন, ভারতীয়রা grandeur and historical energies অনুভব করেনি, আর ভারতীয় জনগণ undignified, stagnatory, and vegetative lives যাপন করছেন।
ফলে খুব কম ভারতীয় মার্ক্সবাদীই মিত্তিরজা'র মধ্যবিত্তিয় ধারণার বাইরে বেরোতে পেরেছেন।
দুর্ভাগ্য আমাদের। বা এটাই আমাদের সৌভাগ্যের কারণ - গ্রামীণেরা আজও ইওরোপন্থী মধ্যবিত্ত হয়ে যাননি।
কার্ল মার্ক্স কোনোদিনই ভারতীয় গ্রামীণদের বিষয়ে খুব উচ্চধারণা পোষণ করতেন না - ফলে তার অনুগামীরাও তাঁর পথে হেঁটেছেন, আজও হাঁটছেন - এবং ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্তিয় চালচলনে অতিরিক্ত উতসাহী - তাই তাত্ত্বিক আলোচনার আধিবেশনের নাম হয় প্লেনাম, যে কোনো গণসঙ্গঠনের নাম দেওয়া হয় ইংরেজিতে।
মার্ক্স The British Rule in India প্রবন্ধে, (https://www.marxists.org/archive/marx/works/1853/06/25.htm) লিখছেন We must not forget the barbarian egotism which, concentrating on some miserable patch of land, had quietly witnessed the ruin of empires, the perpetration of unspeakable cruelties, the massacre of the population of large towns, with no other consideration bestowed upon them than on natural events, itself the helpless prey of any aggressor who deigned to notice it at all. We must not forget that this undignified, stagnatory, and vegetative life, that this passive sort of existence evoked on the other part, in contradistinction, wild, aimless, unbounded forces of destruction and rendered murder itself a religious rite in Hindostan. ...We must not forget that these little communities were contaminated by distinctions of caste and by slavery, that they subjugated man to external circumstances instead of elevating man the sovereign of circumstances, that they transformed a selfdeveloping social state into never changing natural destiny, and thus brought about a brutalizing worship of nature, exhibiting its degradation in the fact that man, the sovereign of nature, fell down on his knees in adoration of Hanuman, the monkey, and Sabbala, the cow( New-York Daily Tribune, June 25, 1853 প্রকাশিত)।
মার্ক্সএর মতে গ্রাম ভারত মিথ্যা ধর্ম এবং কুসংস্কারের দাস, এবং প্রকৃতি পুজক- brutalizing worship of nature। এখানেই না থেমে আরও বড় করে বললেন, ভারতীয়রা grandeur and historical energies অনুভব করেনি, আর ভারতীয় জনগণ undignified, stagnatory, and vegetative lives যাপন করছেন।
ফলে খুব কম ভারতীয় মার্ক্সবাদীই মিত্তিরজা'র মধ্যবিত্তিয় ধারণার বাইরে বেরোতে পেরেছেন।
দুর্ভাগ্য আমাদের। বা এটাই আমাদের সৌভাগ্যের কারণ - গ্রামীণেরা আজও ইওরোপন্থী মধ্যবিত্ত হয়ে যাননি।