আমাদের ভাবনাগুলি লেখার বরাত দিয়ে সর্বপ্রথম গ্রন্থিবদ্ধ করার সাহস
দেখিয়েছিলেন কলকাতার বাইরের, হাওড়ার এক সবুজ পত্রিকা আলো। এর পূর্বেই বাঙলা বাজারের বহু পত্রিকা সম্পাদক বিষয় শুনে আঁতকে পিছিয়ে
গিয়েছেন। সুকুমার রুজের সম্পাদনায় বন্ধু
দেবব্রত দে স্পর্ধাভরে দলটির গণেশকে, মধ্যবিত্তের চক্রান্ততত্বটি অবাধে নানা
সংখ্যায় নানা দৃষ্টিভঙ্গীতে লিখতে দিয়ে এই বইটির লেখার বাঁধন তৈরি করতে সাহায্য
করেছেন। কানাঘুষোয় শুনেছি, গণহত্যা সংখ্যায়
আমাদেরই একটি লেখার প্রেক্ষিতে সম্পাদকমন্ডলীকে সরাসরি রাজনৈতিক শাসানিও শুনতে
হয়েছে। সেই লেখাগুলি প্রকাশের পরে পরেই সাহস
পেয়ে নানান পত্রপত্রিকা এই ধরণের লেখা চেয়েছেন। আমাদের ধারণা, তার জন্য রাজনৈতিক পালাবদলই হয়ত প্রধাণতঃ দায়ি। অন্যান্য পত্রিকার সম্পাদকদের ধন্যবাদ জানিয়েও বলি, যে সময়ে বন্ধুত্বের
অসম সাহস দেখিয়েছেন আলোর বন্ধুরা, সে ঋণ কোনও পর্যায়েই, কেনও ভাবেই শোধ
করার যেন স্পর্ধা কলাবতী মুদ্রার সদস্যদের না আসে। সুকুমার, দেবব্রতরমত বন্ধুরা নানানভাবে আমাদের বেড়দিয়ে রয়েছেন, তাই আজ
কৃতঘ্ন শহরটিতেও যেন গ্রামের মায়ামমতার মজা পাই। সম্প্রতি অকালে প্রয়াত হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
মোস্তাফা গোলাম হেসেন। লেখা শুরুর আগে আগেই
তাঁর সঙ্গে বহু সন্ধ্যা আমরা যাদবপুরে কাটিয়েছি, ভাবনাগুলি নতুন করে তাঁকে বলতে
পেরে নিজেরা গুছোনোর সুযোগ পেয়েছি। তাঁর এবং কাজলদার সঙ্গে ডোমকলের গ্রামগুলোতে ঘুরেছি। অনেক কিছু অজানা জেনেছি, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের গ্রাম
সমাজ বিষয়ে।
No comments:
Post a Comment