প্রাচীণ যুগ থেকে মধ্য যুগ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসে বাঙালির ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্যোগের পরিচয় পাওয়া যায়। ২০০৫ বা ২০০৬সাল নাগাদ ভারতের বিদেশমন্ত্রী আফ্রিকার প্রান্ত সাহারার কোনো একটি দেশে গিয়ে সেখানে বাংলার বেড়াচাঁপার চন্দ্রকেতুগড় আমলের একটি মুদ্রা পেয়েছিলেন। বাঙলার বণিক অন্ততঃ খ্রিস্টপূর্ব ছহাজার বছর আগেও আফ্রিকায় ব্যবসা করতে যেত। আজও ওড়িশার কটকে ভারতমহাদেশের অন্তর্গত অতীতের বালি দেশে বাণিজ্য করতে যাওয়ার স্মরণে বালি যাত্রা উত্সব পালিত হয়। বর্ধমানের গলসির মল্লসারুলগ্রামে একটি তাম্রশাসন পাওয়াগিয়েছে যেখানে বাংলার নানান ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া যাচ্ছে। যেমন বাকতার হিম দত্ত, বটবল্লকের ষষ্ঠী দত্ত, গোধগ্রামের মহি দত্ত ও রাজ্য দত্ত। চন্ডী অথবা মনসা মঙ্গলে সরাসরি ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া যাচ্ছে। ধণপতিকে বর্ণনা করা হচ্ছে গন্ধবণিক জাতি বিদিত অবনীরূপে। তিনি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বিদেশে ব্যবসা যে করতেন তার উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। অজয়ের তীরে বর্ধমানের উজানি-কোগ্রামে ছিল ধণপতির বাস। খুল্লনার পাত্র নির্বাচনে যে সব বণিকের নাম উল্লেখ পাই, চম্পকনগরের চাঁদ সওদাগর, বর্ধমানের ধুস দত্ত, সাতগাঁর রাম দাঁ, বড়শুলের হরি দত্ত, ফতেপুরের রামকুন্ডু, কর্জনার হরি লাহা, ভাল্লাকীর সোম চন্দ। ধণপতির পিতার শ্রাদ্ধে যাঁরা এসেছিলেন, বর্ধমানের ধুস দত্ত, চম্পাইনগরের চাঁদ সওদাগর, লক্ষ্মী সওদাগর, কর্জনার নীলাম্বর বণিক আর তাঁর সাত ভাই, গণেশপুরের সনাতন চন্দ তাঁর ভাই গোপাল, সাতগাঁর শ্রীধর হাজরা আর রাম দাঁ, সাঁকোর শঙ্খ দত্ত, বিষ্ণু দত্ত আর তাঁর সাত ভাই, কাইতির যাদবেন্দ্র দাস, জাড়গ্রামের রঘু দত্ত, তেঘরার গোপাল দত্ত, পাঁচড়ার চন্ডী দাস খাঁ, খন্ডঘেষের বাসু দত্ত, লাউগাঁর রাম দত্ত, ত্রিবেণীর রাম রায় আর তাঁর দশ ভাই, গোতানের রাম দত্ত, একে একে বণিকের কত কব নাম, সাতশত বেনে আইসে ধণপতিধাম.. পশ্চিমবঙ্গের রাঢ়, বর্ধমান, বাঁকুড়, হুগলি অঞ্চলে প্রত্যকটি নদী ঘিরে গড়ে উঠেছিল নানান বাণিজ্য কেন্দ্র, প্রত্যেকটির ছিল নিজস্বতা, নিজস্ব দ্রব্য নিজস্ব উতপাদন প্রক্রিয়া, যে উত্পাদনকে সারা বিশ্বে নিয়ে যেতেন সাত সমুদ্র বেয়ে সপ্ত ডিঙা নিয়ে এই বাঙালি বণিকেরা। আদও দামোদর, অজয়, সরস্বতী, দ্বারকেশ্বর প্রভৃতি নদনদীর তীরে এই গ্রামগুলির অস্তিত্ব রয়েছে। এই গ্রামগুলিতেই বণিক সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি আর প্রতিপত্তি দেখা যায়। এই প্রতিপত্তি শেষ হয়েযায় ইংরেজদের বাংলা দখল করার পর।মঙ
No comments:
Post a Comment